৮৭ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করলো আ.লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের জন্য ৮৭ জন চেয়ারম্যানপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ধানমন্ডিস্থ আওয়সমী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা করেন।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে শুক্রবার স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত। সেখানে ১২ জেলার ৮৭ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে দলটি।

তবে এ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম দলীয় ভাবে ঘোষণা না করে উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের মনোনয়ন বোর্ড বলেও জানান তিনি।

সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চূড়ান্ত নামের তালিকা: (প্রথম ধাপ)

রংপুর বিভাগ

জেলা : পঞ্চগড়

পঞ্চগড় সদর উপজেলা, চেয়ারম্যান  মোঃ আমিরুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া চেয়ারম্যান কাজী মাহামুদুর রহমান,  দেবীগঞ্জ চেয়ারম্যান মোঃ হাসনাৎ জামান চৌধুরী (জর্জ), বোদা চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আলম, আটোয়ারি চেয়ারম্যান মোঃ তৌহিদুল ইসলাম

জেলা : নীলফামারী

নীলফামারী সদর চেয়ারম্যান  শাহিদ মাহমুদ, ডোমার চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, ডিমলা চেয়ারম্যান মোঃ তবিবুল ইসলাম (বীর মুক্তিযোদ্ধা), সৈয়দপুর চেয়ারম্যান মোঃ মোখছেদুল মোমিন, কিশোরগঞ্জ চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন বাবুল,  জলঢাকা চেয়ারম্যান মোঃ আনছার আলী (মিন্টু)

জেলা : লালমনিরহাট

লালমনিরহাট সদর চেয়ারম্যান    মোঃ নজরুল হক পটোয়ারী ভোলা, পাটগ্রাম চেয়ারম্যান   মোঃ রুহুল আমিন বাবুল, হাতীবান্ধা চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত হোসেন, আদিতমারী চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল আলম, কালীগঞ্জ চেয়ারম্যান, মাহবুবুজ্জামান আহমেদ

জেলা : কুড়িগ্রাম

নাগেশ্বরী চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান  , উলিপুর   চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম হোসেন মন্টু , চিলমারী চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার, রৌমারী চেয়ারম্যান      মোঃ মজিবুর রহমান  ,  ভুরুঙ্গামারী চেয়ারম্যান মোঃ নুরুন্নবী চৌধুরী , রাজারহাট          চেয়ারম্যান আবু নুর মোঃ আক্তারুজ্জামান, ফুলবাড়ী চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান, রাজিবপুর চেয়ারম্যান মোঃ শফিউল আলম, কুড়িগ্রাম সদর চেয়ারম্যান          আমান উদ্দিন আহমেদ

রাজশাহী বিভাগ

জেলা : জয়পুরহাট

জয়পুরহাট সদর চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, পাঁচবিবি চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল শহিদ মণ্ডল, আক্কেলপুর চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম আকন্দ, কালাই চেয়ারম্যান মোঃ মিনফুজুর রহমান, ক্ষেতলাল চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাকিম মণ্ডল।

জেলা : রাজশাহী

পবা চেয়ারম্যান মোঃ মুনসুর রহমান , তানোর চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর হায়দার রশীদ, পুঠিয়া চেয়ারম্যান মোঃ জি এম হিরা বাচ্চু, দূর্গাপুর চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম,  বাঘা  চেয়ারম্যান মোঃ লায়েব উদ্দীন,  গোদাগাড়ী চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম,  চারঘাট চেয়ারম্যান মোঃ ফকরুল ইসলাম, মোহনপুর চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম, বাগমারা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার।

জেলা : নাটোর

নাটোর সদর চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল ইসলাম রমজান, গুরুদাসপুর চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম,  বাগাতিপাড়া চেয়ারম্যান মোঃ সেকেন্দার রহমান, সিংড়া চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, লালপুর চেয়ারম্যান মোঃ ইসাহাক আলী।

জেলা : সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ সদর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, চৌহালী চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন,  কাজীপুর চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান সিরাজী, রায়গঞ্জ চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তাং, উল্লাপাড়া চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম, শাহজাদপুর চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ রহমান, বেলকুচি চেয়ারম্যান মোঃ আলী আকন্দ, তাড়াশ চেয়ারম্যান সঞ্জিত কুমার কর্মকার।

ময়মনসিংহ বিভাগ

জেলা : জামালপুর

জামালপুর সদর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন, বকশীগঞ্জ চেয়ারম্যান এ,কে, এম সাইফুল ইসলাম, দেওয়ানগঞ্জ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মেলান্দহ চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান, মাদারগঞ্জ চেয়ারম্যান, মোঃ ওবায়দুর রহমান বেলাল, সরিষাবাড়ী চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন পাঠান, ইসলামপুর চেয়ারম্যান এস.এম. জামাল আব্দুন নাছের

জেলা : নেত্রকোণা

নেত্রকোণা সদর চেয়ারম্যান মোঃ তফসির উদ্দিন খান, খালিয়াজুরী চেয়ারম্যান, গোলাম কিবরিয়ার জব্বার, দূর্গাপুর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমদাদুল হক খান, মোহনগঞ্জ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদ ইকবাল, বারহাট্টা চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম রসুল তালুকদার, কলমাকান্দা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল খালেক, মদন চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান, পূর্বধলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন, কেন্দুয়া চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম।

সিলেট বিভাগ

জেলা : হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জ সদর চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান শামীম, নবীগঞ্জ চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর চৌধুরী, লাখাই চেয়ারম্যান মোঃ মুশফিউল আলম আজাদ, বাহুবল চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই, মাধবপুর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতিকুর রহমান, চুনারুঘাট চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাদির লস্কর, আজমিরীগঞ্জ চেয়ারম্যান মোঃ মর্ত্তুজা হাসান, বানিয়াচং চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী

জেলা : সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জ সদর  চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুল হুদা, জামালগঞ্জ চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ আল আজাদ, শাল্লা চেয়ারম্যান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, বিশ্বম্ভরপুর চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম তালুকদার, ধর্মপাশা চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ মুরাদ, ছাতক চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান, দোয়ারাবাজার চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম,দিরাই চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়, তাহিরপুর চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবলু, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম

   

বিএনপির নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নেতা লন্ডনে কর্মীরা হতাশ, কি করবে, হাল ধরার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, তারা অর্থ পাচার, দুর্নীতির রাজা, সাম্প্রদায়িক। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, রুখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিলেন, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজেরা বিপদে আছে, দেশকে বলে বিপদে আছে। বাংলাদেশ বিপদে নেই, শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছে ইনশাআল্লাহ তার যথাযথ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রমান হয়েছে আমাদের স্ট্যাবিলিটির প্রতীক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মাঝে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি।

এবারের নির্বাচন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারে নির্বাচন কোনো সেমি ডেমোক্রেটিক নির্বাচন না, এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা অংশগ্রহণ করেনি তারপরও ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এটা অনেক উন্নতে দেশেও হয় না।

এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্য সব কিছুর উত্থান-পতন হতে পারে কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলবো নেত্রীর যে প্রায়োরিটি, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করবেন।

এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা শহরের চারশো বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিলো কৃষকদের হাতে। খন্ড খন্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;