খালেদাকে মুক্ত করেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি : ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪

  • Font increase
  • Font Decrease
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কারণেই দল আজ অন্য সময়ের তুলনায় বেশি ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। তাকে বাইরে রেখে প্রহসনের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করে খালেদা জিয়ারর নেতৃত্ব আমরা কিভাবে নির্বাচনে যাবো তা বিএনপি ঠিক করবে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়। ‘আপনারা (বিএনপি) এতোই শক্তিশালী মনে করেন তাহলে এখন আর নির্বাচনে আসতে অসুবিধা কিসে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কি বলছি, যে অসুবিধে। আমরা তো এখনো বলছি, খালেদা জিয়া অনেক বেশি শক্তিশালী, জনপ্রিয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অপর নাম খালেদা জিয়া হয়ে গেছে। খালেদা জিয়াকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা তাতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। খালেদা জিয়াকে আমরা যারা দেশনেত্রী বললাম এখন দেশবাসী তাকে ‘মা’ বলে ডাকে। দেশনেত্রী থেকে খালেদা জিয়া দেশমাতায় পরিণত হয়েছেন। জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা কোনো ফাঁদে পা দেব না, কোনো উস্কানিতে পা দেবো না। আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায় করবো। ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার কোনো কারণ নেই, কোনো যুক্তি নেই। একটি স্বৈরাচারি ফ্যাসিস্ট ভোটারবিহীন সরকার তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রেখে একতরফা নির্বাচনের হীন উদ্দেশে মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় রায় দেয়া হয়েছে। মামলা একটি ওসিলা জানিয়ে তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ করেছে এ মর্মে একটি মিথ্যা মামলা হয়েছে। জাল জালিয়াতি করে কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে। যেখানে কারো স্বাক্ষর নেই, ঘষামাজা করে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে। এবং সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নথির মূল কপি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে হারিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কোনো নথি হারায় নাই। তারা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বলেছে, এই তহবিলের টাকা তসরুফ হয়েছে, আত্মসাৎ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। অথচ আদালতেই প্রমাণ হয়েছে যে এই তহবিলের একটি টাকাও তোলা হয়নি, বরং তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা এই আদালতেই প্রমাণিত হয়েছে। তাহলে আমরা কি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে পারিনা, যে আপনি কিভাবে এই বানোয়াট কথা বলেন। যেখানে একটি টাকাও তছরুফ হয় নাই। তাহলে কিভাবে এই মামলায় সাজা হয়। ড. মোশাররফ বলেন, এই মামলায় রায় দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীরা বিচারকের হাত পা বেঁধে দিলেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, তিনি (খালেদা) এতিমের টাকা খেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলার পর আর কার কি বলার থাকে। মন্ত্রীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার জেল হবে, শাস্তি হবেই। তারা কিভাবে এসব কথা বলেন। আর আদালত কি করলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫, ২ এর অধীনে। আর বিচারক শর্ট রায়ে দন্ডবিধি ৪০৯ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম সাজা দিলেন। এই মামলায় চার্জশিট হলো দুর্নীতি দমন আইন ৫, ২ ধারায়, আর সাজা হলো দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারায়। কেন? শাস্তি তাকে দিতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন, বিচারক প্রতিধ্বনি তুলে বলতে পারেন নাই যে এই ফান্ড থেকে খালেদা জিয়া টাকা তুলেন নাই। দেশের কোনো মানুষ বিশ্বাস করে নাই যে এই মামলায় খালেদা জিয়া কোনো সম্পৃক্তা ছিল। অতএব রাজনৈতিক  প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এই তথাকথিত মামলায় শাস্তি দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপর তাকে কোথায় রাখা হলো, একটা নির্জন কারাগারে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, মন্ত্রী হিসেবে, সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি ডিভিশন পাবেন। অথচ  কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, ডিভিশন পেতে হলে, আদালত কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমতি লাগবে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা আগে ছিল, ২০০৫ সালে পরিবর্তন হয়েছে। জেলের সুপার সরাসরি ডিভিশন দিতে পারবেন। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার কারাগারে গেছি। আমাকে জেলগেট থেকে ডিভিশন দিয়েছে। তাহলে কেন খালেদা জিয়াকে দেয়া হবে না। খালেদা জিয়াকে অনৈতিকভাবে তিনদিন সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখার জন্য একদিন এই জেল কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে আবদ্ধ করার পর বিএনপি এই মুহূর্তে নতুন একটি পরিবর্তনের মধ্যে চলে এসেছে। বিএনপি এর আগে যে অবস্থায় ছিল তা থেকে এখন অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী এবং সংঘবদ্ধ। তাকে কারাগারে রাখার পর তিনি আর খালেদা জিয়া নেই। তিনি এখন দেশ মাতায় উপনীত হয়েছেন। ড. এমাজউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলবো, এই হিংসা প্রতিহিংসার প্রয়োজনীয়তা কি? আপনার পিতা অনেক কথা বলেছেন। অহিংস রাজনীতির কথা বলেছেন। যা তিনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন। আপনি অন্যকে পড়তে বলেন, আপনিও পড়ুন উপকৃত হবেন। স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ'র সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এলডিপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
   

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;

গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই বিএনপির: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতবৃন্দ লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে তারা অগুন-সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত অপশক্তি সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের কথা বলে। সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে। তবে যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে- জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে কারণে বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য প্রদান করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন গুরুত্ব অপরিসীম। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা তখন বরাবরের ন্যায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

বিবৃতিতে তিনি বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

;