প্রার্থী বাছাইয়ে কৌশলী আওয়ামী লীগ



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যক্তি ইমেজ ও পারিবারিক ঐতিহ্য

‘হেড টু হেড’ প্রার্থী নির্ধারণ

‘আউসোর্সিং প্রার্থী’ হিসেবে সেলিব্রেটিদের জনপ্রিয়তা

ভোট ব্যাংক যাদের আছে


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে সতর্ক ও কৌশলী ভূমিকা নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, পারিবারিক ঐতিহ্য, সংকটকালীন ত্যাগ যেমন দেখা হবে তেমনি দেখা হবে ব্যক্তি ইমেজ, ভোট ব্যাংক ও জনপ্রিয়তা। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই আভাষ পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানায়, এবারের প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সিরিয়াস। পুরো বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে খোঁজখরব রাখছেন। গত দেড় বছরে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে জরিপের পর জরিপ, স্থানীয় প্রশাসনের এফসিআর বিবেচনা করে প্রতি আসনের জন্য ‘উইনেবল’প্রার্থী ঠিক করেছেন তিনি। চেহারা দেখে নয় বরং বিভিন্ন জরিপের ফলাফলে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের নমিনেশন দেওয়া হবে বলে, সোমবার (১২ নভেম্বর) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতাদের জানিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে দলের প্রার্থীদের ওপর আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডে ১২টি জরিপ পরিচালনা করেছেন। ১২টি জরিপের ভিত্তিতে নিজ দল ও জোটের যেসব ব্যক্তি অধিক জনপ্রিয় সে ফলাফলও তাঁর টেবিলে চলে গেছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের বড় একটি স্ট্যান্ডার্ড হতে পারে নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ব্যক্তি ইমেজ ও পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে যাদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে; এর পাশাপাশি নৌকা প্রতীকের ভোট যোগ হলে প্রার্থীর বিজয় সম্ভব করতে পারবে যারা, নমিনেশনে তারাই এগিয়ে থাকবেন। অবশ্য সারাদেশে এমন ‘স্ট্রাইকার’প্রার্থীর সংখ্যা কম।

তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদেরও আওয়ামী লীগ কয়েকটি আসনে মনোনয়ন দিতে পারে।  সেক্ষেত্রে তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে নেওয়া হবে। তবে এরকম ‘আউটসোর্সিং প্রার্থী’ বেশি দেওয়ার পক্ষে নয় হাই কমাণ্ড।

ব্যক্তি জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করবে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ২০০৭ সালের ১/১১’র সময়ে কী ভূমিকা ছিল তা যেমন বিবেচনায় নেওয়া হবে তেমনি একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রার্থীর পরিবারের ভূমিকাও পর্যালোচনা হবে। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরমেও এই সংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রশ্ন করে জানতে চাওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কর্মীদের ধারণা, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেখলিই ‘হাইব্রিড’ সুসময়ের লোকদের সহজেই আলাদা করা সম্ভব হবে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের আরেকটি কৌশল ‘হেড টু হেড’ প্রার্থী বাছাই। সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ জোট বিএনপি/ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী দেখে নিজেদের প্রার্থী বাছাই করা হবে। প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সঙ্গে টেক্কা দিয়ে ভোটের মাঠে নৌকার বিজয় যে প্রার্থী ছিনিয়ে আনার ক্ষমতা অন্যতম যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

এছাড়া বিরোধী দল যেখানে ব্যবাসায়ী প্রার্থী/ সুশীল নাগরিকদের প্রার্থী দিবে, সেখানে আওয়ামী লীগও ব্যবসায়ী ও সুশীল প্রতিনিধিদের প্রার্থী দেবে। আর এর অনেক কিছু হবে আওয়ামী লীগের ‘অ্যালায়েন্স; ছোট বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে বিজয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী থাকলে নামসর্বস্ব দল হলেও জোটের প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে।

জাতীয় পার্টিকে আসন ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ কৌশলী হবে। যেসব আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ত্রিমুখী লড়াই হলে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হতে পারে; কিন্তু মহাজোটের প্রার্থী হলে বিএনপিকে হারানো সম্ভব- সেসব আসনে মহাজোটের প্রার্থী হবে। রংপুর ও সিলেট বিভাগে এরকম আসনগুলোও ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, মহাজোটের শরিকদের জন্য ৭০টি আসন ছেড়ে দিয়ে ২৩০টি আসনে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিতে পারে। ৭০টি আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টিকে ৪০টি এবং ১৪ দলসহ অন্য শরিক দলগুলোকে বাকি ৩০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শরিক দলগুলোকে যে আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, সে আসনে তাদের জেতার সম্ভাবনা বেশি। আমরা শুধুমাত্র দল বিবেচনা করে আসন ভাগাভাগি নীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা মনে করি, যেখানে যে যোগ্য, যার জেতার সম্ভাবনা যেখানে বেশি,  সেখানে সেই প্রার্থীকেই আমরা মনোনয়ন দেব।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বার্তা২৪কে বলেন, আমাদের মাঠ পর্যায়ের জরিপ আছে। মাঠ পর্যায়ের জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে সৎ,যোগ্য ও নির্বাচনে জিতে আসার মত প্রার্থীদের আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হবে আগামীকাল বুধবার। মোট ৪ হাজার ২৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্য থেকে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঠিক করবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড। ৩০০ আসনে নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করার পর জোটে আসন ভাগাভাগি হলে সে অনুযায়ী প্রার্থী চূড়ান্ত হবে।

   

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;

গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই বিএনপির: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতবৃন্দ লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে তারা অগুন-সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত অপশক্তি সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের কথা বলে। সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে। তবে যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে- জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে কারণে বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য প্রদান করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন গুরুত্ব অপরিসীম। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা তখন বরাবরের ন্যায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

বিবৃতিতে তিনি বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

;