‘সংলাপ’ ব্যর্থ হলে লংমার্চ-হরতাল-অবরোধ



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি

বিএনপি

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন নির্বাচনে অংশহণ অথবা দাবি আদায়ে আন্দোলন উভয় পথেই চলতে চায় বিএনপি। চলমান সংলাপ সফল হলে নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং সফল না হলে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে ইতোমধ্যে তৃণমূলকে নির্দেশ দিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। তৃণমূলও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন বা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

দলের তৃণমূল ও মহানগরের একাধিক নেতার সাথে আলোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। তাদের মতে, দাবি আদায় না হলে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে পারে।

বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত সরকারকে চাপে রাখতে তিনটি কৌশল অবলম্বন করে আন্দোলনের ছক তৈরি করা হয়েছে। আন্দোলনের প্রথম ধাপে মানববন্ধন, গণঅনশন, গণসংযোগ কর্মসূচি থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে লংমার্চ-রোডমার্চ এবং তৃতীয় ধাপে হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে। তবে সরকারের সাথে আলোচনার পথও খোলা রাখতে চায় দলটি।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির আগে ঢাকায় বড় ধরনের জনসভা করতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের জনশক্তি না থাকায় জনসভার সব আয়োজন ও কর্মী সংস্থান বিএনপিকেই যোগান দিতে হবে।  আগামী ৬ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই জনসভা করবে ঐক্যফ্রন্ট, যেখান থেকে সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দেয়া হবে। তারপরও যদি সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়া যায় তাহলে দুই ধাপে কর্মসূচি দেবে জোট। সবশেষে চূড়ান্ত আন্দোলন যাবে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বার্তা২৪.কম’কে  বলেন, ‘সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া ভিন্ন কোনো পথ নেই। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যা কিছু অর্জন তা ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। তাই সংগ্রাম থেমে থাকবে না, সংগ্রাম চলছে, চলবে। জনগণের দাবি আদায়ের প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে যারাই মাঠে নামবে আমরা তাদের স্বাগত জানাতে পারি। সে যে দলেরই (জামায়াত) হোক। কেউ যদি অতীতে ভুল করে এখন জনগণের পক্ষে থাকে তাকে আমি স্বাগত জানাবো, এটাই রাজনীতির নিয়ম।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এই বক্তব্যে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, তারা জামায়াতকে সঙ্গে নিয়েই আন্দোলনের ছক আঁকছেন। তবে বিএনপি মনে করে, সরকার সহজে তার অবস্থান থেকে সরে আসবে না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায় করতে হলে জনগণকে সম্পৃক্ত করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে দলটির।

বিএনপি নেতাদের দাবি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠায় নিজেদের সক্ষমতা বেড়েছে। দলটি মূলত নির্বাচন ও আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু সরকার সংলাপে রাজি হওয়ায় সুযোগটিকে হাতছাড়া করতে চায়না দলটি। তাই আগে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে, পরে আন্দোলন।

বিএনপির সাংগঠনিক পদের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনকে হাতে রেখে একদিকে গতানুগতিক সভা, সমাবেশ করা হবে, অপরদিকে ধারাবাহিকভাবে দেশ অচল করে দেয়ার মতো কর্মসূচিও দেয়া হবে। তবে এখনি এদিকে না গিয়ে সরকার সংলাপ সমঝোতায় কতটা সম্মতি দেয় তা বিবেচনা করা হবে।

সম্প্রতি গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কর্যালয় ও নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। বৈঠকে সরকারের সঙ্গে সংলাপ, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভূমিকা ও নিজেদের সক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দলের নেতারা মনে করেন এখনও বিএনপির জনপ্রিয়তা আছে, মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত লোকবল আছে। তবে তৃণমূল চাচ্ছে কেন্দ্রের নির্দেশনা। সরকারকে কেন ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের সুযোগ দেয়া হবে? আন্দোলনের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার পরামর্শ দেন মধ্যম সারির নেতারা। সেখানে যুগপৎ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

   

উপজেলা নির্বাচনেও যাচ্ছে না বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সিদ্ধান্তের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলশ্রুতিতে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ই মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

আরও বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের নিকট জবাবদিহি করে সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংস্র রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে।

আওয়ামী লীগের আমলে কখনো জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। দখলদার শাসকগোষ্ঠী প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে।

আরও বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সকল জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়ন পত্র তোলা ও জমা দেয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেয়া হয়। অনেককে মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

বিএনপি বলছে, অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পরও তারা আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেয়া, ইন্টারনেটের গতি শ্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজিরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিনাশী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর আগেও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের নানাভাবে বাধা প্রদান করা হয়। কিছু এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও পরক্ষণেই তাদেরকে বের করে দেয়া হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনও কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। গুম, খুন অব্যাহত রয়েছে।

;

সরকারের উদাসীনতার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের অব্যবস্থাপনা ও চরম উদাসীনতার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের দিগনগর তেঁতুলতলা এলাকায় বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন সদস্যসহ ১৩ জনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে- এ বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ ফরিদপুরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ১৩ জনের প্রাণহানি খুবই হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী। দেশব্যাপী প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারাচ্ছে ও আহত হচ্ছে তাদের স্বজনদের মতো আমিও গভীরভাবে ব্যথিত ও শোকাভিভূত। বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সরকারের অব্যবস্থাপনা ও চরম উদাসীনতার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব নিহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং সারা দেশে প্রতিনিয়ত এ ধরনের দুর্ঘটনায় মানুষের হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

 

;

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত এই দিনটিকে বরাবরের ন্যায় স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্ববাসী সকলের সাথে একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসমূহ যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সাথে স্মরণ ও পালন করবে।

কর্মসূচির মধ্য রয়েছে আগামী ১৭ এপ্রিল ভোর ৬ টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭ টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

এদিকে মুজিবনগরের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে ভোর ৬ টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৯ টায় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে গার্ড অব অনার। সকাল ১০ টায় শেখ হাসিনা মঞ্চ মুজিবনগর দিবসের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. কামাল হোসেন, এডভোকেট আফজাল হোসেন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সঞ্চালনা করবেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম. মোজাম্মেল হক।

এছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা, এডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম, এ খালেক এবং মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক।

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মী এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহসহ সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

;

শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে নিয়ে কটূক্তির মামলায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবীর শুনানি শেষে এ পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার তানিম বাদী হয়ে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার আবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ১ জুন আসামি ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের নামে সমাবেশ ডেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীকে (সাবেক উপমন্ত্রী) বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করেছেন। এরপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেছেন। যে ভিডিওতে শিক্ষামন্ত্রীকে ‘গুন্ডাবাহিনী বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৪ জুন মামলাটি দায়ের করা হলে ২৮ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।

বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্তভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দিলে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আজ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

;