মাঠ ফাঁকা করতেই বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার
খুলনা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৩ নভেম্বর) সকালে মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আলী, জাহান আলী, আবুল হায়াত শুভ, মাহবুবুর রহমান লিটু, আমিন, রিপন, শাহ আলম, সোহাগ মোল্লা, আলতাফ তালুকদার, মাজাহারুল রাসেল, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, ওহেদুজ্জামান খোকন, হেলাল চৌধুরী, আ. মজিদ গাজী, আলাউদ্দিন, বারেক হাওলাদার, হাসান উল্লাহ, মাসুদ হোসেন, সালাউদ্দিন গাজী, মাস্টার মাসুদুর রহমান, মিজানুর রহমান, জনি ভাণ্ডারি, আরিফ খান, আসাদুজ্জামান রিপন, ইসমাইল হোসেন ও আকসির হোসেন জনিসহ আরও ৮ জন।
শামসুজ্জামান চঞ্চল জানান, গত বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতীকী অনশন কর্মসূচির পর থেকে মহানগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর, দৌলতপুর, আড়ংঘাটা ও খানজাহান আলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়া নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ, গণগ্রেফতার বন্ধ ও মুক্তির দাবি জানিয়েছেন নগর বিএনপির নেতারা।
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে গণগ্রেফতার শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংলাপের ভাষণে রাজনৈতিক মামলায় কারা গ্রেফতার আছেন তাদের নামের তালিকা চেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। অথচ খুলনায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতিদিনই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
মহানগর বিএনপির এক বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা করতেই আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার করছে। অবিলম্বে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভবিষ্যতে রাজনৈতিক কর্মীরা হয়রানির শিকার না হয়, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি যেন বিনা বাধায় আগামী নির্বাচনে কাজ করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের অতি উৎসাহী কর্মকর্তারা বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেফতার করছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। সেই সঙ্গে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। এমনকি জুমার নামাজের পর নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএনপির বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম, সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, মীর কায়সেদ আলী, জাফরুউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, জলিল খান কালাম, ফখরুল আলম, অ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, ইকবাল হোসেন খোকন ও আসাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।