নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে প্রহসন করেছে সরকার: রিজভী
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে প্রহসন করেছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আজ সারাদেশে জাতীয় সড়ক দিবস পালিত হচ্ছে কিন্তু গণপরিবহনের নৈরাজ্য থামেনি। এখনও শিশু কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষের লাশ রাজপথে থেঁতলে যাচ্ছে।
সোমবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আমজনতা শিশু কিশোরদের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিল। সরকার তাদের হামলা মামলা দিয়ে প্রতিরোধ করেছিল। নিরাপদ সড়কের নামে একটি লোক দেখানো আইন করেছিল কিন্তু আজও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি।
'তরুণ প্রজন্মকে দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি আখ্যায়িত করে তাদের কর্মসংস্থানে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনে তাদের ভোট চেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।'
প্রধানমন্ত্রীর উল্লিখিত বক্তব্যের সঙ্গে সত্যের কোন সম্পর্ক নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনে গত ১০ বছরে দেশের জনগণ অভূতপূর্ব উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে। শেখ হাসিনা এ কথা বলে কি তরুণদের উপহাস করছেন?
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী দেশে বর্তমানে প্রায় ৫ কোটি শিক্ষিত ও কর্মক্ষম বেকার। দেশে কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেনি সরকার। বরং কল-কারখানা প্রতিদিনই বন্ধ হচ্ছে, গার্মেন্টস শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। এ সেক্টর এখন বাংলাদেশীদের হাত ছাড়া হয়ে গেছে। গ্যাস-বিদ্যুতের অভাব তো রয়েছে তার ওপর বর্তমান দুঃশাসনের কারণে বিদেশী বিনিয়োগ নাই। ব্যাংকগুলো হরিলুট করায় ব্যবসায়ীরা মুখ থুবড়ে বসে আছেন।
'২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ১০ টাকায় চাল খাওয়াব, ঘরে ঘরে চাকরি দিব।' যোগ করেন রিজভী।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি চাকুরিতে দলীয়করণের কারণে উচ্চ শিক্ষিত বেকার বেড়েছে। গত ১০ বছরে দুঃশাসনে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বৈরাচার সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বেকার উপহার দিয়েছেন। আর ১০ টাকার চালতো এখন কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকায়। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও চালের দাম বৃদ্ধির উন্নয়ন ছাড়া শেখ হাসিনার আর কোন অর্জন নেই।