ঘুরে দাঁড়ানো আরিফের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: বার্তা২৪.কম

সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট নগর ভবনে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন রাজনীতিতে বার বার ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যক্তিত্ব আরিফুল হক চৌধুরী। সোমবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন খাদের কিনার থেকে উঠে আসা আরিফ। অবশ্য এর আগে কাউন্সিলর হিসেবেও আরও একটি মেয়াদে ছিলেন তিনি। আলোচিত আরিফের পুরোটা জীবনই যেন ‘ক্রিকেট খেলার মতো’। তার কাজই যেন ‘শেষ বলে ছক্কা অথবা চার মেরে জয় ছিনিয়ে আনা’।

ঘটনাবহুল জীবনের অধিকারী আরিফুল হক চৌধুরী গ্রেনেড হামলায় নিহত আলোচিত সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি। ২০১৩ সালে প্রথম মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হলেও ২৭ মাস ওই মামলায় জেলে ছিলেন তিনি। সেই মামলার খড়গ মাথায় নিয়ে পুনরায় মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আরিফুল হক চৌধুরী। চলতি বছরের ১১ আগস্ট আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে হারিয়ে নগর পিতা নির্বাচিত হন তিনি।

গেল নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে আরিফুল হক চৌধুরী যখন মেয়রের দায়িত্ব ছেড়ে যান তখন পরিস্থিতি অনেকটা প্রতিকূলে ছিল। খোদ নগর ভবনের অনেক কর্মকর্তা সরকারদলীয় প্রাথীর্র সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিলেন। একই সঙ্গে আবার নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিমকে নিয়েও আরিফ ছিলেন চরম বিপাকে।

সবশেষ ৩০ জুলাই নির্বাচনের দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ নানা ঘটনার পর দিন শেষে বাসায় চলে গিয়েছিলেন আরিফ। এরপর কেন্দ্রের ফলাফল আসতে শুরু করলে ছুটে যান রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে। জয় অনেকটা নিশ্চিত হওয়ার পরও দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ার কারণে ঝুলে যায় আরিফের ভাগ্য। অবশ্য ১১ আগস্ট দুটি কেন্দ্রের পুন:নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী।

চলতি বছরে অনুষ্ঠিত সারাদেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের মধ্যে বিএনপি থেকে একমাত্র দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হন। গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এক সঙ্গে শপথ গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/08/1539002232452.jpg

এদিকে আরিফুল হক চৌধুরী তার মা, স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়ে শপথ নিতে গিয়েছিলেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, শপথ পড়ানো শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরিফুল হক চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফটোসেশন করেন। এই সুযোগটি হাত ছাড়া করতে চাননি আরিফের মা আমিনা খাতুন ও মেয়ে সাইকা তাবাসসুম চৌধুরী। আমিনা খাতুন চোখের পানি ছেড়ে ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রীও শ্রদ্ধায় কাছে টেনে নেন আমিনা খাতুনকে। সান্ত্বনা দেন আপনার ছেলের কিছুই হবে না।

বিএনপির মহাজোট সরকারের আমলের সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের একান্ত আস্থাভাজন ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেটে সাইফুর রহমানের উন্নয়ন যজ্ঞের প্রধান সারথি ছিলেন আরিফ। ওয়ান ইলেভেনের সময়ও তিনি বেশ কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। ওই সময়ে একেবারেই সবদিক থেকে নিঃসঙ্গ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে ঘুরে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন সিলেট সিটির মেয়র। বিরোধী দলের মেয়র হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ‘ম্যানেজ’ করে সিলেট নগরীতে করেছেন ব্যাপক উন্নয়ন। এর ফল স্বরূপ তিনি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন।

আরিফ মূলত সব কূল রক্ষা করেই চলছেন। লন্ডন সফরে গিয়ে দেখা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও।

সোমবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের মেয়র পদে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর মাজার জিয়ারত শেষে নগর ভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আলোচিত আরিফুল হক চৌধুরী।

   

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;

পানি সংকটে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, এই ভরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটের কারণে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই খরাকালে তিস্তা নদীতে আর পানি মিলছে না বললেই চলে। নদীতে পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা ব্যারেজ রোডমার্চ ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে মরুকরণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বামজোট নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, রংপুর অঞ্চলের ধান, পাট, আলুসহ অন্যান্য কৃষি ফসল দেশের অনেকাংশে চাহিদা পূরণ করে। এখন পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত আর ক্রমান্বয়ে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, সদস্য অমল সরকার ও ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উজানের দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলো জালের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেশের ঋতুবৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, কৃষিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ভারত আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ প্রকল্পের নামে একে একে ৪৯টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করার আগ্রাসীনীতি গ্রহণ করেছে।

বামজোট নেতারা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরীপূর্ণ হলেও তারা সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করেনি। সরকার দাবি করে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বন্ধুত্বের নমুনা পানি প্রত্যাহারে বর্ষাকালে সবগেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। আবার সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদী ভারত দেশে ভূ-প্রাকৃতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।

প্রসঙ্গত; গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে এই রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল রোডমার্চের সমাপনী দিন। সমাবেশে শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক পথ রংপুর জিলা স্কুল মোড় গিয়ে রোড মার্চটি তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা করে।

;

এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি করল জেলা আওয়ামী লীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কি থেকে বহষ্কিার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাহিরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।

;

বানারীপাড়ায় ইউপি যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বানারীপাড়ায় পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমিটিতে যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মো. ইয়াসিন নামের এক সক্রিয় যুবদল কর্মীকে বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মিজান ফকির আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মো. ইয়াসিন জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ওই অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে মো. ইয়াসিনকে সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এমন কী বিভিন্ন সময় মিজান ফকির তার স্ত্রীর বিকাশ নম্বরে ও নগদে আড়াই লাখ টাকা পেমেন্ট নিয়েছেন।

মো. ইয়াসিন অভিযোগ করেন, টাকা নিয়েও তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়নি। বরং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অতি সম্প্রতি মো. আবুল কালামকে আহ্বায়ক ও ফিরোজ মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।

পদবঞ্চিত যুবদল নেতা মো. ইয়াসিন লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, জন্মলগ্ন থেকে তার পরিবার বিএনপি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এজন্য তাকে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। এরপরেও তাকে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া সত্ত্বেও অন্য পক্ষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ইয়াসিন বলেন, ‘আমাকে সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিভিন্ন সময় বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে যে টাকা নিয়েছেন, তার প্রমাণসহ স্টেটমেন্ট জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়ের করা অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে'।

পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদার ও সদস্য সচিব মিজান ফকির বলেন, মূলত পদবঞ্চিতরা এসব মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

;