বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই ‘ট্রেন-বাস-লঞ্চে’ আ.লীগের নির্বাচনী প্রচারণা!



তপন কান্তি রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহীতে নদী পথে নৌকায় করে নির্বাচনী প্রচারণায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান।

রাজশাহীতে নদী পথে নৌকায় করে নির্বাচনী প্রচারণায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান।

  • Font increase
  • Font Decrease

শোষণ নি‌র্যাতন থেকে দেশকে মুক্ত করতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্রেন-বাস-লঞ্চে করে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন। তার সেই স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে আওয়ামী লীগ টানা দুইবার সরকারের ক্ষমতায় থেকে দেশের যে উন্নয়ন কর্ম করছেন সেইসব উন্নয়ন জনগণের নজরে আনতেই এবার বঙ্গবন্ধুর পথেই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন দলটি।

নি‌র্যাতিত বাঙালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে সত্তরের আগে নির্বাচনী প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু যেমন উত্তরবঙ্গে গেছেন ট্রেনে; তেমনি লঞ্চে গিয়েছিলেন দক্ষিণাঞ্চল। পাকিস্তান শাসকের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে ঘুরে বেরিয়েছেন ট্রেনে-লঞ্চে।

এর আগেও ১৯৫৪ সালে তেমনি গেছেন প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে। কখন নৌকায় আবার কখনওবা ট্রেনে। তিনি বুঝাতেও সক্ষম হয়েছিলেন অপমর জনতাকে পাকিসস্তানের শোষণের কথা। স্বাধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে মুক্তও করছেন শোষণ আর বঞ্ছনার হাত থেকে।

বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন; তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও ১৯৯৬ নির্বাচনের আগে ও ২০০০ সালের পরে ট্রেনে দেশের পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েছিলেন ট্রেনে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598688457.jpg

আসন্ন একাদশ নির্বাচনকে সামনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ১০ বছরের উন্নয়ন কর্মসূচি জনতার কাছে পৌঁছাতে উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতৃত্বে এবার সড়কপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় রওনা হয়েছে দলটি।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গে ট্রেনযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। যাত্রা পথে স্টেশনে স্টেশনে নির্বাচনী পথসভাও করে দলের নেতারা।

ট্রেন বাস আর লঞ্চে নির্বাচনীর প্রচারণার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের রাজনীতির দিকনির্দেশক ও আদর্শ বঙ্গবন্ধু; আমরা তাঁর রাজনৈতিক দিক নির্দেশনাকেই অনুসরণ করি।

‘সেই সময় জনগণকে সম্পৃক্ত; এভাবে (ট্রেন-লঞ্চ ) বঙ্গবন্ধু তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা করেছিলেন। শেখ হাসিনা ২০০১ সালে নির্বাচনে প্রচারণায় ট্রেনে সিলেট এবং খুলনা থেকে সৈয়দপুর গিয়েছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598713119.jpg

এসময় সৈয়দপুরের উদ্দেশ্য যাত্রাপথে নাটোরে গুলি করেছিল বিএনপি সন্ত্রাসীরা বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, ১০ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার; সেই উন্নয়ন জাগরণের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততায় জন্য নির্বাচনের প্রচারণা চলছে।

ট্রেন বাস ও লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণার পাশাপাশি ডিজিটাল গণমাধ্যমেও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানের গণমাধ্যম এখন অনেক শক্তিশালী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণা বেশি হবে। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্যই এ কর্মসূচি।’

বঙ্গবন্ধু ট্রেন-লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন বলেও জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্‌্য ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু দেশের অাপামর জনতার কাছে বাঙালির মুক্তির কথা তুলে ধরেছিলেন। সেসময়ে যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ছিল বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। সেগুলোতে করে বঙ্গবন্ধু যেমন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা করেছিলেন, তেমনি বাঙালির মুক্তির দাবিগুলো তিনি তুলে ধরেছিলেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি নৌকায় করেও নির্বাচনী প্রচারণার করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598730172.jpg

এই নির্বাচনী প্রচারণা বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করেই করছে আওয়ামী লীগ-বলে জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হারুন অর রশিদ।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগ। তারা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার। বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক মুক্তি আর উন্নত জাতি প্রতিষ্ঠা করে যেতে পারেননি। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার, আদর্শেরও উত্তরাধিকার বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর যে আর্দশ ও তার দেখানো সে পথে তিনি চলছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর্দশ বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যা কিছু করছে। নির্বাচন হোক; নির্বাচনী প্রচারের কৌশল হোক; যে কর্মসূচি বা পরিকল্পনা হাতে নেয়; বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও তার নির্দেশিত পথ অবলম্বন করে আসছে এবং তার সেই রাজনৈতিক শিক্ষা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ চলে।

‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে আওয়ামী লীগ অগ্রসর হচ্ছে। নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রচার যদি বলি; তাও বলা যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর পথেই আওয়ামী লীগ হাঁটছে। এর আগে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট ও সত্তরে নির্বাচনে ট্রেন,বাস ও লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের জনগণের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধু লঞ্চের করে বরিশালের রাজাপুরে নির্বাচনীর প্রচারণার স্মৃতিচারণও করেন এই শিক্ষক। সেসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন বলেও জানান ।

অধ্যাপক হারুন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন লঞ্চের করে বরিশালের রাজাপুরে নির্বাচনীর প্রচারণায় যান; তখন আমি নিজেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজাপুরে হ্যান্ডসেইক করেছিলাম এবং তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) রিসিভও করেছিলাম।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণা একটি গণসংযোগ। গণপরিবহন, বাস, লঞ্চ ট্রেনের মাধ্যমে দ্রুত সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব ছিল সে সময়ে। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। কাজেই সেই সময়ে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে এগুলো ব্যবহার করেছিলেন।’  

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;