এতিমদের টাকা চোররা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা এতিমদের টাকা চুরি করেছে, তারা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে; সেজন্য আমি সবার কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। গতকাল বুধবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি উদযাপন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি একথা বলেন। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নচিত্র দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে এই জনসভার আয়োজন করা হয়। এতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় প্রচারের দিকটাও ছিল উল্লেখ করার মতো। দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে বিভিন্ন রংয়ের পোশাক পরে বর্তমান ও সম্ভ্যব্য প্রার্থীর সমর্থকদের শক্তির জানান দিতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের আগে নৌকা আকৃতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ তার ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটি শোনান। জনসভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, লে কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। জনকল্যাণে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে থাকে। আমাদের লক্ষ্য জনগণের উন্নয়ন। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। কিন্তু এর আগে যারা সরকারে ছিল, সেই জিয়া সরকার, এরশাদ সরকার বা খালেদা জিয়ার সরকারের সময় দেশ তো এত উন্নত হয়নি। কারণ তারা স্বাধীনতাই বিশ^াস করে না। তারা শুধু নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। ভাঙ্গা সুটকেস জাদুর বাক্স হয়ে গেছে। আর ছেড়া গেঞ্জি থেকে ফ্রেন্স শিপন বের হয়। জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ ও খালেদা জিয়া কখনো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেননি অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাই আপনাদের কাছে আমার আহ্বান, যুদ্ধাপরাধী-খুনিরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য সবাই সতর্ক থাকবেন। খালেদা জিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যারা এতিমদের টাকা চুরি করেছে, দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। দেশের মানুষকে হত্যা করে, আগুন দিয়ে পোড়ায়, এরা যেন আর কোনো দিন ক্ষমতায় না আসতে পারে। দেশকে যেন আর ধ্বংসের দিকে না নিতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যেন বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এসময় তিনি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশকে সন্ত্রাসের অভ্যারণ্যে পরিণত করেছিল অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা দেশকে একটা নরকে পরিণত করেছিল। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে প্রায় তিন হাজার মানুষকে পুড়িয়েছে। এটা যেন একটা উৎসব। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতির ২৩ বছরের সংগ্রাম ও বঞ্চনার ইতিহাস এবং মুক্তির জন্য সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন তার কন্যা। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসে। যেখানেই এই ৭ মার্চের ভাষণ বাজতো, তারা বাধা দিত। আমি স্যালুট জানাই, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আমাদের নেতাকর্মীদের। সকল বাধা উপেক্ষা করে এই ভাষণ বাজানো হয়। জাতির পিতার নামটিও তারা মুছে ফেলতে চেষ্টা করেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস কেউ নিশ্চিহ্ন করতে পারে না। ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়। আজকে তা প্রমাণ হয়েছে। তিনি বলেন, এই ৭ মার্চের ভাষণ আজ ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে স্বীকৃতি পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বক্ষণে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ পুরো জাতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সময় ইয়াহিয়ার সামরিক ফরমান বাংলাদেশের মানুষ ছুড়ে ফেলে দিত। ৩২ নম্বর থেকে যে নির্দেশনা দিত, তারা মেনে নিত, এমনকি সে নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করত। সাতই মার্চের ভাষণের আবেদন শেষ হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে স্বাধীনতার কথা, অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেন। স্বাধীনতা অর্জন করা গেলেও, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন সম্ভব হয়নি। আমাদের দায়িত্ব তার সেই আকাঙ্খা পূরণ করা। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এর আগে ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সাতই মার্চের কর্মসূচি শুরু করে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ও পরে দলীয় সভাপতি হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
   

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের চার নেতাকে গুলি: স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ কারাগারে ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগের চার নেতাকে গুলির ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ৩ জনকে আটকের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

তারা হলেন- থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন (২৭) ও একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বাবু।

এর আগে ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ভিকটিম এম. সজীবের মা পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী বুলি বেগম বাদী হয়ে থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ১৮/২০ জনসহ মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত দেড়টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম জয়, মো. রাফি, তারেক হোসেন ও রাসেদসহ ৬জন মোটরসাইকেলযোগে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. মাসুদকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় এম. সজীবসহ অন্যান্যরা পাঁচপাড়া গ্রামের যৌদের পুকুর পাড় এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা কফিল উদ্দীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীবসহ ৪জনকে গুলি করে ও দুইজনকে কুপিয়ে আহত করে। আহতদের স্বজনরা ও এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী ও রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।

মামলার বাদী বুলি বেগম জানান, মারাত্মক আহত এম. সজীবের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শাহিদ হোসাইন জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগের চার জনকে গুলি করে ও দুই জনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ১১জন এজাহারনামীয়সহ মোট ৩১জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ২নং আসামি তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই হামলার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানিয়েছেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এম. সজীবসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর উপর হামলা চালানো হয়েছিল। গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দি এবং পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন- চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

;

মুজিবনগর দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর সকাল ৯:৪৫মিনিটে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

এদিন সকাল ১০টায় মেহেরপুরের মুজিবনগরের শেখ হাসিনা মঞ্চে এক আলোচনা সভা করা হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল- আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সঞ্চালনা করবেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম মোজাম্মেল হক।

এতে আরও উপস্থিত থাকবেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, সাধারণ সম্পাদক এম, এ খালেক এবং মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিনস পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সকল স্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

;

আগুনে ঘর পোড়া চার শিক্ষার্থীর পাশে ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগুন লাগার খবর শুনে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিল তারা। সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেনি কোনো কাপড়চোপড়ও। অদূরে দাঁড়িয়ে দেখেছে পুড়ছে তাদের কাপড়, পুড়ছে সব। এরপর থেকে এক কাপড়েই ছিল এই তরুণীরা। সেই তরুণীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নূরুন নবী সাহেদ। নগরীর টেকপাড়া ও এয়াকুব নগর এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সামগ্রী ও নতুন পোশাক কিনে দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ৪ শিক্ষার্থী সুবংকর দাশ, বাবলু দাশ, পূর্ণা দাশ ও অঙ্কিতা দাশকে এ শিক্ষা উপকরণ ও নতুন জামা তুলে দেন নূরুন নবী সাহেদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিল্পব, পাথরঘাটার কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বেবি দোভাস, নগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ব্যক্তিগত সহকারী রাহুল দাশ প্রমুখ।

এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে আগুনে ওই এলাকার ৮৭টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

 

;

উপজেলা নির্বাচনেও যাচ্ছে না বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সিদ্ধান্তের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলশ্রুতিতে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ই মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

আরও বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের নিকট জবাবদিহি করে সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংস্র রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে।

আওয়ামী লীগের আমলে কখনো জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। দখলদার শাসকগোষ্ঠী প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে।

আরও বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সকল জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়ন পত্র তোলা ও জমা দেয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেয়া হয়। অনেককে মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

বিএনপি বলছে, অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পরও তারা আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেয়া, ইন্টারনেটের গতি শ্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজিরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিনাশী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর আগেও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের নানাভাবে বাধা প্রদান করা হয়। কিছু এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও পরক্ষণেই তাদেরকে বের করে দেয়া হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনও কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। গুম, খুন অব্যাহত রয়েছে।

;