‘নির্বাচনটা খুব জরুরি’



খুররম জামান, মানসুরা চামেলী, মুজাহিদুল ইসলাম
বার্তা২৪.কম-এর মুখোমুখি বঙ্গবীর-ছবি: শাহরিয়ার তামিম।

বার্তা২৪.কম-এর মুখোমুখি বঙ্গবীর-ছবি: শাহরিয়ার তামিম।

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বর্তমানে দেশে নির্বাচন সবচাইতে কাঙ্ক্ষিত। দেশে যে অস্থিরতা চলছে, অশান্তি চলছে- সবকিছু থাকতেও কেনো জানি একটা নাই নাই ভাব। একটা নির্বাচন করতে পারলে পরের দিনেই অর্ধেক অশান্তি দূর হয়ে যাবে। সেজন্য নির্বাচনটা খুব জরুরি।’


কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমর নায়ক। মুক্তিযুদ্ধের সময় কাদেরিয়া বাহিনী গঠন করে পরিচিত হন ‘বাঘা কাদের’ নামে। পেয়েছিলেন বঙ্গবীর উপাধি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বার্তা২৪.কম-এর একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হয়েছিলেন বীর এই মুক্তিযোদ্ধা,আপোষহীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আলাপচারিতায় উঠে আসে বঙ্গবন্ধু, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, নির্বাচনসহ নানা ইস্যু।

নির্বাচন হলে অশান্তি দূর হবে জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশে নির্বাচনটা সবচাইতে কাঙ্ক্ষিত, তবে তা পাঁতানো নির্বাচন নয়। সেটা হতে হবে বিশ্বাসযোগ্য একটি নির্বাচন। ভোটার নিজে ভোট দেয় নাই ভোট হয়ে গেছে-এমনটি নয়। প্রত্যেকে যেন বলতে পারে নিজের ইচ্ছাতে ভোট দিয়েছি। এমন নির্বাচন দিতে পারলে দেশে যে অস্থিরতা চলছে তা দূর হবে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, আপনি আলোচনায় বসুন, দেশকে বাঁচান। প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী লাগাতার ধর্মঘট, হরতাল ও অবরোধ দিয়েছিলেন। তাকেও বলেছিলাম, গরীব মানুষের কষ্ট হচ্ছে আপনি অবরোধ তুলে নিন। কেউ কথা শুনেনি। জননেত্রী শেখ হাসিনাও শুনেননি, খালেদা জিয়াও তার অবরোধ কিন্তু প্রত্যাহার করেননি। তারপর দু’বছর জনগণই প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537363565326.jpg


২০১৪ সালের নির্বাচন পর একটি ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, একবার আমি বিস্মিত হয়েছি, আমি যখন হেঁটে আসছিলাম তখন এক রিক্সাওয়ালা আমাকে বলেছিলো, ‘আমি ভোট দিতে পারি নাই ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করেন। একবেলা না খেয়ে থাকতে রাজি আছি, কিন্তু আমি আমার ভোট চাই।’ এমন কথা আমাকে স্পর্শ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকেও এই স্পর্শ করা উচিত। আমার মনে হয় তাকেও স্পর্শ করে। কিন্তু, তার আশে পাশে যারা আছে তাদের কারণে এটা ভালোভাবে তার শরীরে স্পর্শ করতে পারে না।


বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে বঙ্গবীর বলেন, নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সম্মানজনক এবং স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। সাংবিধানিকভাবে প্রচুর ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠান। শিডিউল ঘোষণার পর সরকারের চাইতেও এটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে যতো নির্বাচন কমিশন হয়েছে এইরকম নির্বাচন কমিশনের মতো অথর্ব, অযোগ্য অদক্ষ, কমিশন হয়নি। তারা যতোগুলো নির্বাচন করেছে একটাতেও তাদের স্বার্থকতা দেখাতে পারেনি। এখন তাদেরকে দিয়ে যদি নির্বাচন করা হয় তাহলে বর্তমান সরকারেরই সব থেকে বদনাম বেশি হবে। সেই বদনামের ৯০ ভাগ জননেত্রী শেখ হাসিনার হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537363584225.jpg

নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়েছি। সংসদ না ভেঙে নির্বাচন হয়, এটা আমি কোনদিন দেখিনি। সংসদ বহাল থাকলে সাংসদরা সংবিধান অনুসারে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। আবার সংসদ সদস্য থাকতেই নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে দাঁড়াবার কোন সুযোগ নেই। সংসদ নির্বাচনের ৯০ দিন আগে আপনা আপনি ভেঙে যাবে। এটা কাউকে ভেঙে দিতেও হবে না, রাখতেও হবে না। এটা সংবিধানের কথা। আরও পড়ুন‘সরকার পতনের প্রচেষ্টায় যদি ঐক্য হয়- তাতে আমি নাই’

অন্তবর্তীকালীন সরকারে থাকছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব কথা সবসময় বলা যায় না। উপযুক্ত কথা উপযুক্ত সময়ে বলব। তবে আমরা দলের ইচ্ছার বাইরে এবং মানুষ কি চাই সে সম্পর্কে আমাদের যে উপলব্ধি আছে তার বাইরে যাবো না। 

বঙ্গবন্ধু না থাকায় জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমি কি হতাম তা জানিনা। তবে জাতির প্রচণ্ড উপকার হতো, বঙ্গবন্ধু না থাকায় জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এক সময় আমাদের অনুদানে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও নেপালের ছেলেরা এখানে লেখাপড়া করত। আজকে তাদের ওখানে বেগার খাটতে যায়। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমার বাঙালি মালয়েশিয়ায় জঙ্গল কাটতে যেতো না।


‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করে তথাকথিত আওয়ামী লীগের কাছেও আমাকে নিন্দা শুনতে হয়। আর যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রক্রিয়া সৃষ্টি করেছেন, হত্যায় জড়িত ছিলেন, হত্যা করেছেন তারা আজকে সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে-বলে জানিয়েছেন এই মুক্তিযোদ্ধা।


দেশের রাজনীতিতে বিদেশিরা কতটা প্রভাব রাখতে পারবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশিদের আমাদেরকে ‍কিছু করার সুযোগ নেই। আমরা যদি সুযোগ না দিই। আমরা আমাদের মর্যাদা রক্ষা করে যদি চলি, বিদেশিদের যতখানি করা দরকার তার বাইরে তারা যেতে চাইবে না।

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;