শান্ত ছাত্রলীগ, স্বস্তিতে আওয়ামী লীগ



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সেক্রেটারী রব্বানি, ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সেক্রেটারী রব্বানি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেপরোয়া আচরণের জন্য যে ছাত্রলীগকে নিয়ে দু:শ্চিন্তার অন্ত ছিলো না আওয়ামী লীগের, সেই ছাত্রলীগই এখন ‘স্বস্তি’ বয়ে আনছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘শৃঙ্খলা ফিরে’ এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটিতে।

সরকারের উন্নয়ন বার্তা নিয়ে তৃণমূলে পৌঁছানোর পাশাপাশি মানবিক আচরণের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনের দিকে মনোযোগ ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের। হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধারে বর্তমান তাদের বেশ কিছু কর্মকাণ্ড বিভিন্ন মহলে প্রশংসাও কুড়িয়েছে। ছাত্রলীগ ‘শৃঙ্খলিত’ থাকায় আওয়ামী লীগ তথা সরকারের মধ্যেও স্বস্তি বিরাজ করছে।

 

বিগত এক দশকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারিদের কমিটি হওয়ার পরদিন থেকেই ঢাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বসবাস করতে দেখা গেছে। সেখানে ব্যতিক্রম ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এখনো হলের কক্ষেই থাকছেন।

শোভন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবেই হলে থাকছি। কেননা ছাত্রদের সংগঠনের নেতা হিসেবে যদি আমি ছাত্রদের সঙ্গে মিশি তবেই তারা আমাকে সম্মান করবে।’

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে মাঠে নেমেছেন গোলাম রব্বানি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সবার আগে সংহতি জানিয়ে তিনি বিভিন্ন কলেজে ছুটে বেরিয়েছেন। সরকারের বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আন্দোলনকে প্রশমিত করতে, বিএনপি-জামায়াতের পাতা ফাঁদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন পা না দেয় সে জন্য ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের কৌশল পরবর্তীতে বিভিন্ন মহলে প্রশংসা কুড়ায়। দায়িত্ব পালনের অতীত অভিজ্ঞতা ও মানবিক গুণাবলির জন্য রব্বানিকে ছাত্রলীগের তৃণমূলের কর্মীরা ‘মানবতার ফেরিওয়লা’ বলেও ডাকে।

গোলাম রব্বানি বার্তা২৪কে বলেন, ‘নেতৃত্ব আমানতের মতো। দেশরত্নের দেওয়া আমানত রক্ষার চেষ্টা করব আমি। ছাত্রলীগের ইমেজ পুনরূদ্ধারে কাজ করে যাব।’

ছাত্রলীগের এক নম্বর ইউনিট হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বলা হয়ে থাকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত থাকলে বাংলাদেশ শান্ত থাকে। নির্বাচনের বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শান্ত রাখার গুরু দায়িত্ব পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের ওপর। তারা দু’জনেই আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। সৃজনশীল উপায়ে নিজেদের ‘ক্যারিশমা’ দেখানোর চেষ্টা করছেন তারা। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল টিএসসিভিত্তিক প্রগতিশীল সংগঠনগুলোকে এক ব্যানারে আনতে তারা গঠন করেছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ।’

এই ব্যানার থেকে সম্প্রতি ঢাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে স্বাগত জানাতে ৭ মার্চকে স্মরণ করতে ১৯৭১ ফুট দীর্ঘ ও ৭ ফুট চওড়া আলপনা আঁকা হয়েছিল। দৃষ্টিনন্দন সে আলপনা অনেকের নজর কাড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যত্রতত্র ব্যানার ফেস্টুনের ব্যবহার, পড়ার পরিবেশ নষ্ট হয় এমন উচ্চ শব্দসম্পন্ন মাইকের ব্যবহার তারা নিষিদ্ধ করেছে। সম্প্রতি শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষায় আগত বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর সুবিধার্থে আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত, তথ্যকেন্দ্র স্থাপন, ফ্রি বাইক সার্ভিস, মেডিকেল টিম, সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা নিয়েছে, যা আগত নবীনদের মাঝে সংগঠনের ইতিবাচক ইমেজকেই বৃদ্ধি করেছে।

শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় অন্যান্য ইউনিটেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শিক্ষর্থীবান্ধব নানা কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের প্রথম বোনস লাইব্রেরি স্থাপন করেছে। ১৫ সেট বোনস এবং এনাটমির প্রায় ১৩০টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করা ‘প্রফেসর ডাঃ মনসুর খলিল বোনস লাইব্রেরি’ চমেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালেয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ আপেলের উদ্যোগে স্থাপিত ‘জয় বাংলা’ ভাস্কর্য নজর কেড়েছে। সাম্প্রতিক বন্যা, ভূমিধ্বসসহ প্রাকৃতিক দুযোর্গে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল দেখার মত।

সম্প্রতি মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে জেব্রা ক্রসিং একেঁছে, হেলমেট পরিধান করে মোটরসাইকেল চালানোর ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। নিরক্ষরতা দূরীকরণে ‘স্বাক্ষরতা অভিযান’ শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। অনলাইনে বিভিন্ন মহলের সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডার জবাব দিতে অনলাইনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ। ইতোমধ্যে সংগঠনের বেশ কিছু নেতা-কর্মী সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালায় যোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ‘বঙ্গবন্ধু সাইবার ব্রিগেড’ নামে একটি আইটি সেল গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে।

গত দেড় মাস নেতিবাচক খবরের শিরোনামে ছাত্রলীগ না থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝেও স্বস্তি বিরাজ করছে। তারা চান ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে ছাত্রলীগের ইমেজ পুনরুদ্ধারের এই যাত্রা অব্যাহত থাকুক। আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা আলাপকালে বার্তা২৪কে বলেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা অনেক যাচাই-বাছাই করে এবার ছাত্রলীগের কমিটি করে দিয়েছেন। তাই তাদের কাছে সবার প্রত্যাশা অনেকে। এখন ছাত্রলীগ যেভাবে চলছে তাতে ইতিবাচক কিছু প্রত্যাশাই করা যায়।

তবে এই পথচলাতে শঙ্কার কথা জানিয়েছে ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। তারা বলেন, শোভন-রব্বানী কেবলমাত্র দায়িত্ব নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করাসহ যখন বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠন করবে তখন তাদের মূল দক্ষতা কিংবা মুন্সীয়ানার পরিচয় পাওয়া যাবে। এখন কমিটির প্রত্যাশায় সবাই চুপচাপ আছে। কমিটি হওয়া শুরু করলেই গ্রুপিং, ঐক্যে ভাঙ্গন, সংঘর্ষ, ব্লেমগেম মোকাবেলার নানা চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে আসবে।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের আড়াই মাস পর নানা নাটকীয়তা শেষে ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করেন। কেন্দ্রের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটিও ঘোষণা দেন তিনি। এর মধ্যদিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকা কথিত ‘সিন্ডিকেট’ সংগঠনটির কর্তৃত্ব হারায়।

   

২৬ এপ্রিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা বিএনপির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নয়াপল্টনে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার (২০ এপ্রিল) এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানকে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দলটি।

দলীয় সূত্র জানায়, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং সাজার প্রতিবাদে এ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।

৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে সর্বশেষ সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে চলে জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘর্ষ। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।

;

শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ দলের অন্যান্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা তার গদি নিয়ে আতঙ্কে আছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা জানে জনগণ তাকে ভোট দেয়নি, ৯৭ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। তিনি আমি আর ডামি, আমরা আর মামুদের নির্বাচন করেছেন। তিনি ভালো করেই জানেন তার গদি চোরাবালির উপর দাঁড়ানো। যেকোনো সময় বালুর মধ্যে ঢুকে যাবে। তিনি সে আতঙ্কেই হাবিবুর রশিদ হাবিব, রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে রেখেছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দিনের আলোয় থাকার চেয়ে বেশি লাল দেয়ালের মধ্যেই থাকেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এতটাই আতঙ্কিত যে, নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও গ্রেফতার কর্মসূচি যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর কারণও আছে। শেখ হাসিনা জানে তার সরকারের কোনও জনসমর্থন নেই।

বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্দীদশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বললেন যে, তাদের (বিএনপি নেতাদের) কোন রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়নি, তারা বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী। তাই তারা জেলে। কিন্তু আপনি যে ১/১১ এর সময় চাঁদা নিয়েছিলেন যার সাক্ষী আপনারই ফুফাতো ভাই এবং ওবায়দুল কাদের। তারা গোয়েন্দাদের কাছে অনেক কথা বলেছেন। আপনার তো কিছু হল না, আপনি তাহলে কে, আপনার মামলার কি হল?

তিনি বলেন, যারা স্বৈরাচারী, যারা একনায়ক, তারা জনগণের পক্ষের মানুষকে কারাগারে ভরে রাখে। হাবিবুর রশিদ হাবিব কি কারো ঘরবাড়ি দখল করেছে, নাকি নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া এমপিদের মতো নিষ্পাপ শিশু ত্বকি হত্যার অভিযোগ রয়েছে? তাহলে তাদের গ্রেফতার না করে কেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিবকে গ্রেফতার করা হল?

রিজভী আরও বলেন, আজ জনগণের টাকা লুট হচ্ছে। মানুষের টাকা এমপিদের পকেটে ঢুকছে, বিদেশে পাচার হচ্ছে। সেদিকে আপনি দেখছেন না, আপনি বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। মনে রাখবেন, ভালোর জয় হবেই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব মজনু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাকর্মীরা।

;

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক আগামী ৩০ এপ্রিল। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্বে করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা অপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবে তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বিশৃঙ্খলা কর্মকাণ্ড করেছে তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দলের সাংগঠনিক বিষয়সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ বিষয় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

;

‘উপজেলা নির্বাচনকালে আ. লীগের কমিটি গঠন-সম্মেলন বন্ধ থাকবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকালীন সময়ে আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়াটা বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটাত্মীয়দের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চায় তাদেরকেও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে কিভাবে বলা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;