উত্তম কুমার: এক্সট্রা থেকে মহানায়ক



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কখনো কখনো এমনও হয়। শূন্য থেকে শীর্ষে চলে যায় মানুষ। উত্তমকুমার তেমনই একজন। যাঁর আত্মপ্রকাশ এক্সট্রার ভূমিকায়। যাঁর প্রথম ছবিটি আজও মুক্তিই পায় নি। যাঁর প্রথম দিকের বেশ কয়েকটি ছবি বক্স অফিসে মোটেও সফল হয় নি। তিনিই পরিণত বয়সে বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক।

অভিনয়ে, গ্ল্যামারে, গানে অপ্রতিদ্বন্দ্বি দক্ষতা থাকলেও উত্তমকুমার কেবলই জোর দিয়েছিলেন অভিনয়ে। যদিও রূপালি পর্দায় গান তিনিই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ঠোট মিলিয়েছেন, তথাপি সেগুলো অন্য শিল্পীর গাওয়া। এমন কি, উত্তমকুমার একাধিক ছবিতে সুর দিলেও নিজের গান স্বকণ্ঠে স্থান দেন নি সিনেমায়। অথচ সমসাময়িক প্রায়-প্রতিটি গায়কের গান ধারণ করেছেন নিজের কণ্ঠে। নিজের সুকণ্ঠকে পর্দায় ব্যবহার না করে বিভিন্ন শিল্পীর গানকেই যুৎসইভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন নিজস্ব অভিনয় শৈলীতে।

গান গাইবার তৈরি গলা ছিল তাঁর। ছিল দীর্ঘকালীন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। ঘরোয়া আসরে যে মানের গান তিনি গাইতেন, তাতে ছবিতে গান গাওয়া তাঁর পক্ষে অসম্ভব ছিল না। কিন্তু নিজের সঙ্গীত পরিচালনায় বা প্রযোজনার ছবিতে নিজে গান গাওয়ার চেষ্টা তিনি করেন নি। পেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গিতে সঙ্গীত শিল্পীর গানই নিয়েছেন।

সম্ভবত গোপন প্রেমের মতো নিজের গলার গানকে লুকিয়ে রাখতেই পছন্দ করতেন উত্তমকুমার। অথচ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র-এর গান পর্দায় এমনভাবে তুলে ধরেছেন যে, মনে হয় তিনিই গাইছেন। শিল্পী বদলের কারণে যে কণ্ঠের পার্থক্য হয়েছে, সেটা দর্শক টেরই পায় নি। মনে করেছে, সবই উত্তমের গাওয়া।

বিচিত্র ধরনের গান, বিভিন্ন পটভূমিতে চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন উত্তমকুমার। ‘শাপমোচন’ ছবির পথ চেয়ে বসে থাকা নায়কের গলায় থেকে ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র পত্নীভক্ত স্বামীর কণ্ঠের আবহে চলে যেতে তাঁর মতো পারঙ্গমতা কেউ দেখাতে পারবেন না। ‘সন্ন্যাসী রাজা’ ছবিতে তিনি বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে দশটি গানে ঠোট মিলিয়ে ছিলেন। কিন্তু কোথাও কোনও ছন্দপতন বা পার্থক্য মনে হয় নি। অভিনয়কে জাত শিল্পীর মতোই ঘটনার আবহের সঙ্গে এমন সুন্দর করে মিশিয়ে দিতেন যে, গানে শিল্পীর কণ্ঠের তারতম্য বোঝাই যায় নি।

আধুনিক মেলোডি গানের অনেকগুলোই এসেছে কলকাতার সিনেমা থেকে, উত্তমের ঠোটে। ‘শাপমোচন’ (১৯৫৫) ছবির গানগুলো শুনলে পর্দার গায়ক উত্তমকুমার আর বাস্তবের গায়ক হেমন্তকে আলাদা করা যায় না। অর্ধশত বছর পেরিয়েও গানগুলো সমান জনপ্রিয়। যেমন, ‘বসে আছি পথ চেয়ে ফাগুনেরই গান গেয়ে’, ‘শোন বন্ধু শোন, প্রাণহীন এই শহরের ইতিকথা’, ‘ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস আজকে হলো সাথী’, ‘সুরের আকাশে তুমি যে গো শুকতারা’।

‘মযাদা’, ‘ওরে যাত্রী’, ‘সহযাত্রী’, ‘নষ্টনীড়’, ‘সঞ্জীবনী’, ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, ‘সদানন্দের মেলা’,, ‘অন্নপূর্ণা মন্দির’, ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘শিল্পী’, ‘পথে হলো দেরী’ ইত্যাদি ছবিতে অসাধারণ সব গান উত্তরকুমারের ঠোটে জীবন্ত হয়ে আছে। অনেক গান, হয়ত গান হিসাবে ভালো, এতোটা জনপ্রিয় ও পরিচিত হতো না, যদি উত্তমের ঠোটে পর্দায় স্থান না পেতো!

উত্তমকুমারের প্রায়-সব ছবিই বাঙালি দর্শকের দেখা। আজকাল তো ইউটিউব সার্চ করলেই মোবাইল ফোনের পর্দায় ছবিগুলো দেখে নেওয়া যায়। আগে অত সহজ ছিল না। ভিসিআরের টেপে ছবিগুলো দেখতে হয়েছে। বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির কাছে ‘রোজভ্যালি’ নামে একটি বড় ভিডিও’র দোকান ছিল। পুরনো স্টেডিয়ামেও তাদের একটি শো-রুম ছিল। আরেকটি ছিল ‘ভিডিও কানেকশন’ নামে। দোকানগুলো এখন উঠে গেছে।

লুপ্ত দোকানগুলোর প্রসঙ্গে উত্তমকুমার বিষয়ক একটি ব্যক্তিগত স্মৃতি আছে। তা হলো, ‘রোজভ্যালি’কে বলে উত্তমের সব ছবির ক্যাসেড আনিয়ে দেখেছিলাম। মাস্টার কপি থেকে কিছু কপিও করেছিলাম। যদিও এখন আর দেখার দরকার হয় না, তবু কিভাবে যেন ক্যাসেডগুলো রয়ে গেছে।

মাঝে মাঝে ক্যাসেগুলোর দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি, ‘আচ্ছা, সিনেমায় ঠোট মেলানো উত্তমের কোন গানটিকে আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মনে হয়?’ আমার উত্তর তৈরিই থাকে। কালবিলম্ব না করে আমি ‘হারানো সুর’ ছবির সেই গানটিকেই বেছে নিই: ‘আজ দুজনার দুটি পথ ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে…।’  

   

‘রামায়ণ’ সিনেমায় মুখোমুখি রণবীর-যশ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যশ(বামে), রণবীর কাপুর(ডানে) / ছবি: সংগৃহীত

যশ(বামে), রণবীর কাপুর(ডানে) / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রীরামের জন্মের দেড়’শ বছর আগে তার জীবনী ‘রামায়ণ’ লিখেছিলেন মহাকবি বাল্মিকী। সেই মহাকাব্যের গল্পের আদলে বলিউডে তৈরি হচ্ছে সিনেমা ‘রামায়ণ’। এই সিনেমা নিয়ে ভক্তদের আকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বী। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় তারকা রণবীর কাপুর সিনেমায় রামের চরিত্রে অভিনয় করবেন। তার বিপরীতে মাতা সীতার চরিত্রে থাকবেন দক্ষিণী সুন্দরী এবং অসাধারণ অভিনেত্রী সাঁই পল্লবী।

এছাড়াও সমগ্র ভারত থেকেই বাঘা বাঘা শিল্পীদের নাম রয়েছে সিনেমার তালিকায়। স্যান্ডলউডের তারকা যশ সুপারহিট ফ্রাঞ্চাইজি কেজিএফের পর রামায়ণ সিনেমায় রাবণের চরিত্রে থাকবেন। এছাড়াও, বিজয় সেথুপাতি, রাকুলপ্রিত সিং, সানি দেওল সহ বড় তারকাদের সম্পৃক্ততার তথ্য সামনে এসেছে। যদিও এখনো সকল চরিত্রের জন্য নির্বাচিত অভিনয় শিল্পীদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।     

সনাতন ধর্মের মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের জীবনীর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ। মানব জীবনের অনুপ্রেরণা প্রদানকারী এই গ্রন্থের গুরুত্ব বেশ প্রভাবশালী। বিভিন্ন সময় রামায়নের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক নাটক সিনেমার চরিত্র তৈরি করা হয়। সরাসরি রামায়ণের গল্পতেও বহু আগে থেকে বিভিন্ন প্রজেক্ট এসেছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ভক্তদের তৈরি করা ফ্যানআর্ট / ছবি: সংগৃহীত
 

সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবেই আসে ‘আদিপুরুষ’ সিনেমার নাম। যদিও এই সিনেমা অতিরিক্ত মাত্রায় সমালোচনার শিকার হয়। কোনো দর্শকেরই এই সিনেমা পছন্দ হয়নি প্রভাস এবং কৃতি স্যানন অভিনীত সিনেমাটি। মূল রামায়ণের গল্পকে একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরেছিলেন ওম রাউত। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছিল সেই সিনেমা।

সেই আঘাতে মলমের কাজ করবে নীতেশ তিওয়ারির পরিচালিত ‘রামায়ণ’-এমনটাই আশা করছেন সকলে। যদিও শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগেই সিনেমার প্রযোজকের দলছুট হওয়ার তথ্য সামনে আসে। তবে এই গোড়ায় গলদ বিশেষ প্রভাবশালী হবে বলে মনে হয় না। নেটিজেনরা সিনেমার ভবিষৎ নিয়ে চিন্তিত হলেও সিনেমা তৈরি হওয়ার আশ্বাসি দিয়েছেন পরিচালক। যদিও সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার তারিখ মার্চের শেষ থেকে পিছিয়ে এপ্রিলে ঠেকেছে।          

;

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ড. হাফিজ রহমানের লেখা দেশাত্মবোধক গান 'আমরা মুক্তি সেনা' রিলিজ হয়েছে। বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকারের সুরে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও সহশিল্পীবৃন্দ।

এমকে মিউজিক ২৪ এর ব্যানারে গানটি গত ২৬ মার্চ তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। গানটির মিউজিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রফিকুল আজাদ খোকন।

'আমরা মুক্তি সেনা' গানটি রিলিজের দুই দিনের মধ্যেই হাজার হাজার ভিউজ হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাফিজ রহমান বলেন,' মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে একটি গান লেখার ইচ্ছে ছিলো। ২৫ মার্চ। পৃথিবীর ইতিহাসের এক কাল রাত্রি। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরীহ নিরপরাধ ঘুমন্ত বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম নৃশংসতা চালায় । তাই আমার লেখা গানটি সেই রাতেই রিলিজ করার পরিকল্পনা করেছিলাম। অবশেষে বাস্তবে রূপায়িত হলো সেই অভিপ্রায়।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকার বলেন, "গানটির কথা খুবই সুন্দর ছিলো। সুর করেছি। কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ সুন্দর কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে।"

;

জন্মদিনে চমকে দিলেন শাকিব খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো ‘তুফানি’ কায়দায় প্রকাশিত হলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আরও একটি নতুন সিনেমার পোস্টার। অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রকাশিত হয় সিনেমার পোস্টার।

দ্রুত শাকিবের নতুন লুক ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লুফে নিয়েছেন ভক্তরা। লম্বা কোঁকড়ানো চুলে সাদা রোদচশমা, গলায় লকেট পরে সোফায় বসে আছেন হিরো! পাশেই মেশিনগান! আর পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভয়ানক রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। নতুন সিনেমা আর জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছেন জনপ্রিয় নায়ক।

শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘তুফান’-এর নতুন পোস্টার

অবশ্য মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি ঝোড়ো তুফানের পূর্বাভাস দেন পরিচালক রায়হান রাফী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন পরিচালক। এরপর বুধবার বিকেলেই প্রকাশ করেন ‘তুফান’-এর ফার্স্ট অফিশিয়াল লুক। এই পোস্টার আসবে বলেই দুদিন ধরে নানা নাটকীয় আভাস দিচ্ছিলেন পরিচালক।

যদিও তুফানি বেগে উড়তে হলে অপেক্ষা করতে হবে আসছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। তখনই সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে এত দ্রুত সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশের পেছনেও আছে বিশেষ কারণ, তা হলো শাকিব খানের জন্মদিন। তারকার বিশেষ দিন উপলক্ষে আর দেরি করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালক।

‘তুফান’-এ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা

তুফানের যৌথ প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের চরকি, আলফা আই আর ভারত থেকে যুক্ত হচ্ছে এসভিএফ। জানা গেছে, ছবিতে শাকিব খান ছাড়াও থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আর বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ অভিনেত্রী নাবিলা। ‘তুফান’-এর ভিলেন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর নামও শোনা যাচ্ছে।

;

নতুন সিনেমায় ভিন্ন আঙ্গিকে আসাদুজ্জামান নূর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে সব ধরনের অভিনয় থেকেই দূরে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এরপর একটু একটু করে শুরু করেন মঞ্চ ও টিভি নাটকে। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন না।

এরপর এক এক করে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এবার পাওয়া গেল নূরের নতুন আরেকটি ছবির খবর। তবে এবার আর অভিনয় নয়। একটু ভিন্নভাবে যুক্ত হওয়া ছবিটির সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের আগেভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’। সেই ছবিতে যুক্ত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবির একটি অংশের জন্য কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি স্টুডিওতে তার কণ্ঠে কবিতাটি রেকর্ডিং হয়। ছবির পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ছবি শেষ হবে আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘কোনো এক মাকে’ কবিতাটির পাঠের মধ্য দিয়ে।

পরিচালক বলেন, ‘এ অংশ ছবির জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছবি শেষ হচ্ছে, নেপথ্যে কবিতাটি শোনা যাচ্ছে। গল্পের সঙ্গে চমৎকারভাবে কবিতাটির কথা, মর্ম মিলে যায়। আমার বিশ্বাস, ওই সময় প্রেক্ষাগৃহে দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি হবে দর্শকের মাঝে।’

কবিতাটি আবৃত্তির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিব আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নূর ভাইয়ের আবৃত্তি শুনে আসছি। তার আবৃত্তির ভঙ্গি দারুণ। আর ছবির এই জায়গায় তার কণ্ঠ ভালো মানিয়ে যায়। এ ছাড়া এই ছবিতে অনেক গুণীজন যুক্ত আছেন। আরেক গুণী মানুষ হিসেবে নূর ভাইকে চেয়েছি।’

আসাদুজ্জামান নূর

জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে কাজটির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি বুঝিয়ে নূর ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনেই রাজি হন তিনি। নানা ব্যস্ততায় কাজটি করে দিতে সময় পাচ্ছিলেন না। আজ সময় বের করে কাজটি করে দিলেন তিনি। আমি মনে করি, নূর ভাইয়ের কারণে আমার ছবির মান আরও বেড়ে গেল।’

২০২১-২২ বছরের সরকারের অনুদানের ছবি এটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর শুটিং শুরু হয়।

পরিচালক আরও জানিয়েছেন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিভিউয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা আছে ছবিটির। সেলিনা হোসেনের গল্প থেকে যৌথভাবে এটি চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইশতিয়াক আহমেদ।

এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, গাজী রাকায়েত, রোকেয়া প্রাচী, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আশনা হাবিব ভাবনা, সমাপ্তি, মৌসুমি হামিদ প্রমুখ।

;