নিশোর সঙ্গে দেখা করতে ভক্তের কাণ্ড



বিনোদন ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
আফরান নিশো ও তুহিন

আফরান নিশো ও তুহিন

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সময়ে ছোটপর্দার অন্যতম জনপ্রিয় ও ব্যস্ত অভিনেতা আফরান নিশো। জনপ্রিয়তার কারণে তার ভক্তের সংখ্যাটাও বেশি। নিশোর তেমনি এক ভক্তের নাম মো: তুহিন। বাড়ি টাঙ্গাইলের কাগমারি এলাকায়। পড়েন স্থানীয় একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে।

প্রিয় অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে গত মাসে ঢাকায় এসেছিলেন তুহিন। এসেই আফরান নিশোর সঙ্গে দেখা করার আকুতি জানিয়ে চিঠি লিখে সেটি ছাপিয়ে উত্তরার বিভিন্ন শুটিং হাউজের দেয়ালে লাগিয়েছেন তুহিন। আর এই চিঠি লাগাতে গিয়ে মারও খেয়েছেন মধ্যরাতে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563973425620.jpg বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের সঙ্গে আলাপকালে তুহিন জানিয়েছেন, ‘গত মাসের শেষ দিকে আমি ঢাকায় যাই, উত্তরা শুটিং হাউজগুলোর আশেপাশে রাতে পোস্টার লাগানোর সময় এক মুরুব্বি এসে আমাকে চড় থাপ্পড় দেয়। অচেনা ঢাকায় নিশো ভাইয়ের জন্য কয়েকদিন ছিলাম তারপর আবার বাড়ি চলে আসি। সেসময় বিভিন্ন শুটিং হাউসের মানুষের কাছে নিশো ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাই। কিন্তু দেখা হয়নি, ঈদের পর আবার ঢাকা যাবো ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য। ভাইকে আমি খুব ভালবাসি।’

তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তুহিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের কাছেও অনুরোধ করেছেন আফরান নিশোর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার। এই ভক্তের ব্যাপারে আফরান নিশো জানেন কি সেই খবর নিতে নিশোর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুহিনের সেই চিঠিটি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563973458183.jpgআফরান নিশোর উদ্দেশে লেখা তুহিনের চিঠিটি
দাদা আমি বলছি
দাদা আমি তুহিন বলছি, প্রথমত আমি আপনার একজন ভক্ত, দ্বিতীয়ত, আমার কাছে একটি বাস্তবতা আছে, যে বাস্তবতা টা আপনাকে ছাড়া অসহায়, বাস্তবতার নাম বিরহের কান্না। টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানাধীন নাটিয়াপাড়াতে আমার বসবাস।

আপনার দেখা পাবার জন্য ঢাকায় এসে খুব কষ্টে আছি, এই অচেনা শহরে ঠিকঠাক মতো খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে না। আমি মনে মনে ভেবে রেখেছি, যে পর্যন্ত আপনার দেখা না পাবো, ততদিন অচেনা এই শহরেই থেকে যাবো।

আমি যে দাদা আপনার একজন ভক্ত, জানেন দাদা আমি আপনার স্টাইলে চুল রাখি, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মধ্যে আপনাকে আঁকার চেষ্টা করি, বাড়ি থেকে বের যখন হয়েছি আপনাকে ছুঁয়ে দেখতেই হবে।

এই অচেনা ঢাকায় আমি অনেক কষ্টে আছি দাদা, আমি রাস্তায় রাস্তায় থাকি, এখন আমার কেউ নেই। নিজেকে দেখতে হয় নিজেকেই।

আপনাকে চাই দাদা, আপনাকে চাই চাই, আপনাকে ছাড়া আমার আমার বিরহের কান্না একদম অসহায়।

কেউ যদি আফরান নিশো দাদার সঠিক ঠিকানা জানেন, তাহলে দয়া করে নিম্ন মোবাইল নম্বরে জানাবেন।

তুহিন
মোবাইল: …. …..

   

আগামী মাসেই সোহেল-নীলা জুটির ‘শ্যামাকাব্য’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

গুণী নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। এই ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন সদ্য ভারতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারজয়ী অভিনেতা সোহেল মণ্ডল ও জনপ্রিয় লাক্স তারকা নীলাঞ্জনা নীলা। তারা ছাড়াও এক ঝাক তারকা শিল্পীকে নিয়ে নির্মিত সরকারি অনুদানের এই সিনেমাটি গত ২৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা ছিল।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

কিন্তু সে সময় ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। তখন নির্মাতা সৌদ জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম, এমন পরিস্থিতিতে দর্শক সিনেমা হলে এসে ছবি দেখতে চাইবেন না। দর্শকের জন্যই তো আমাদের সিনেমা। তাদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা জরুরী। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘শ্যামাকাব্য’ জাতীয় নির্বাচনের পরেই মুক্তি দেব।’’

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

অবশেষে ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ছবিটির নায়ক সোহেল মণ্ডল জানান, ‘‘আসছে ৩ মে আপনার নিকটস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘শ্যামাকাব্য’।’’

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধাচের ছবিটিতে প্রেমের বিষয়টিও বেশ স্পষ্ট। এতে নীলাকে দেখা যাবে শ্যামা’র চরিত্রে। আর সোহেল মণ্ডল রয়েছেন আজাদ নামের একটি চরিত্রটি।

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

নায়ক-নায়িকা দুজনই বললেন, তাদের চরিত্র দুটি একেবারেই নতুন। তাদের রসায়নও দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী। নীলার ভাষায়, শ্যামা মেয়েটি খুব শান্ত। দেখলে চোখে আরাম দেবে। আর সোহেল এখনই তার চরিত্রের কোন গোমর ফাঁস করতে চান না।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

ছবিতে একটি মাত্র গান রয়েছে। নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের লেখা ‘পাখি যাও যাও’ শিরোনামের সেই গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। চমকপ্রদ বিষয় হলো সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত দুজন শিল্পী। একজন হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের কিংবদন্তি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, অন্যজন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী।

;

ধর্মকর্মে মন দিয়েছেন অশ্লিল যুগের নায়ক মেহেদি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢালিউডে যে সময়টা অশ্লিলতায় ছেয়ে গিয়েছিল, সে সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক ছিলেন মেহেদি। ‘পাগল মন’ চলচ্চিত্র দিয়ে সিনেমা জগতে জায়গা করে নেওয়ার পর অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে অশ্লিল ছবির সংখ্যাই বেশি। এখনো ইউটিউবে তার অশ্লিল নাচ গানের ভিডিও’র দেখা মেলে।

কিন্তু মানুষ মাত্রই বদলায়। বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত উক্তি রয়েছে, ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, কিন্তু বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।’

তেমনি বদল ঘটেছে চিত্রনায়ক মেহেদির জীবনেও। অনেক দিন থেকেই চলচ্চিত্র আঙিনায় তাকে দেখা যায় না। আজ তাকে দেখা গেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেহেদি।

চিত্রনায়ক মেহেদি

জানালেন, তিনি এখন ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করেছেন। বললেন, নিয়মিত তবলিগ জামাত চিল্লায় যেতে হচ্ছে। যেহেতু আমি মুসলিম, তাই আমাকে নিয়মিত নামাজ রোজা করতে হবে। এখন সেটা খুব মনোযোগের সঙ্গে করতে হচ্ছে।

চলচ্চিত্র থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হননি তিনি, সামনে তার চলচ্চিত্র আসছে বলেও জানালেন। বললেন, আমি চলচ্চিত্র থেকে একেবারেই হারিয়ে যাইনি। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আমার চারটি চলচ্চিত্র।

;

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে ৪০০ সাংবাদিক!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আজ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসির একটি চিত্র

আজ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসির একটি চিত্র

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কোন উত্তাপ নেই। আজ ১৯ এপ্রিল সকাল থেকে ভোট শুরু হলেও ভোটার উপস্থতি কম। এর কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন, শুক্রবার হওয়ায় ভোটগ্রহণ কম।

তবে এই নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহই নাকি করছেন ৪০০ জন সংবাদকর্মী। এমনটা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৪০০ জন সাংবাদিক চূড়ান্ত করে পাস দিয়েছি।

এতো সংবাদকর্মী কেন? এই প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, ধরেন একটা টেলিভিশন চ্যানেল, তারা আবেদন করে ১০ জনের জন্য। কারণ ক্যামেরা পারসন, সংবাদকর্মী, সহকারী থাকেন। তারা আবার দুই শিফটে কাজ করবেন। তাহলে বলুন একটা প্রতিষ্ঠান থেকে যদি ১০ জন হয়। তাহলে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের ৪০০ জন হবে না?

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকালে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা৩০ মিনিটে অভিনেতা ডা. এজাজের ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ৩০ মিনিটি পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেল দুটি হলো মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।

;

জয় আমাদেরই হবে : মাহমুদ কলি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাহমুদ কলি ও নিপুণ

মাহমুদ কলি ও নিপুণ

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বিএফডিসি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২৪ থেকে ২০২৬ মেয়াদের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।

এ নির্বাচনে জনপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগরের বিপক্ষে সভাপতি পদে লড়ছেন এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা মাহমুদ কলি। ভোটকেন্দ্র থেকে গণমাধ্যমকে মাহমুদ কলি জানান, পুরো প্যানেলসহ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। তার ভাষ্য, আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আশা করছি চলচ্চিত্রের মানুষেরা সুচিন্তিত মতামত দিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলকে জয়যুক্ত করবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত খুবই সুন্দর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতি সবার জন্য ভালো। সকালে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। কিন্তু জুমার নামাযের পর উৎসবমূখর পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। আনন্দঘন পরিবেশে, সৌহার্দপূর্ণভাবে যাতে ভোটগ্রহণ শেষ হয় এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

কলি-নিপুণ প্যানেলের সঙ্গে লড়ছেন মিশা-ডিপজল প্যানেল

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ। এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে গেলো আসরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

প্রসঙ্গত, এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। এবারের মোট ভোটার ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা।

;