ভেবেছিলাম পহেলা বৈশাখের র‌্যালি, পরে বুঝেছি নির্বাচনী প্রচারণা: ফেরদৌস



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফেরদৌস

ফেরদৌস

  • Font increase
  • Font Decrease

চিত্রনায়ক ফেরদৌস কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তার পরিবারও পাড়ি দিচ্ছে দুঃসময়। একটি ভুলে দুই বাংলার জনপ্রিয় এই তারকার নাম ঢুকে গেছে ভারতের কালো তালিকায়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন তিনি। এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। কিন্তু কী ঘটেছিলো সেদিন? সেদিনের ঘটনা ও পরের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সংবাদ সংস্থা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ফেরদৌস। বার্তা২৪.কম-এর পাঠকদের জন্য ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারটির বাংলা সংস্করণ রইলো এখানে।

রায়গঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারণায় কিভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন?
ফেরদৌস: আমি কখনও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারণার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমার চেনা একজন প্রযোজক রায়গঞ্জে থাকেন। তিনি যখনই ঢাকায় আসেন, আমরা সবসময় দেখা-সাক্ষাৎ করি। আমিও পশ্চিমবঙ্গে গেলে তার সঙ্গে দেখা করি। আমাদের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। বছর তিনেক আগে তার প্রযোজিত ‘ছেড়ে যাস নে’ ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। ছবিটির ডিজিটাল স্বত্ব নিয়ে আলোচনা করতেই এবার গিয়েছিলাম। আমরা একটি নতুন ছবির পরিকল্পনাও করেছি। সেদিন ছিলো ১৪ এপ্রিল। আমার কয়েকজন সহকর্মী এসে বললেন, পহেলা বৈশাখের একটি র‌্যালি হবে যাবে নাকি। অঙ্কুশ আর পায়েল সরকারও থাকবে। আমি বললাম- চলো যাই, মজা হবে। বাংলাদেশে বৈশাখ অনেক বড় পরিসরে উদযাপন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে দিনটিতে কেমন আমেজ থাকে তা জানার আগ্রহ থেকে সেখানে গিয়েছিলাম। এটি পূর্বনির্ধারিত কিংবা কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্যের প্রদর্শনী ছিল না। আমি সব রাজনৈতিক দল, নেতা ও ভারতের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

বিষয়টি সম্পর্কে আপনি কখন জানতে পারলেন?
ফেরদৌস: সমাবেশ করে আমার প্রযোজক বন্ধুর বাড়িতে নৈশভোজ করেছি। এরপরই একের পর এক বার্তা পেতে শুরু করি আমি। এরপর বুঝতে পারি কী ঘটেছে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/19/1555677985068.jpg

আপনি কি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগারওয়ালকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন?
ফেরদৌস: না, আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। এখনকার মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সক্রিয়, তাই র‌্যালিতে আমার ছবিগুলো মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন কলকাতায় যাই ও সেখান থেকে ঢাকায় ফিরে আসি। কারণ কলকাতায় পৌঁছানোর পরই বুঝতে পারি বিষয়টি খুব জটিল আকার ধারণ করেছে।

একজন শিল্পী হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া ও বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা কতোটা কঠিন ছিল?
ফেরদৌস: ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওপার বাংলায় কাজ করে যাচ্ছি। ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবিতে অভিনয়ের পর দুই বাংলায় নিয়মিত কাজ করে আসছি। ওপার বাংলায় আমার অনেক ভালো বন্ধু আছে। বেশকিছু উৎসবেও অংশ নিয়েছি। কিন্তু কখনও নিজেকে বিদেশি হিসেবে বিবেচনা করিনি। ভারত আমার সেকেন্ড হোম। বলার অপেক্ষা রাখে না, যে ভিসায় ভারতে আসি তার কয়েকটি শর্ত আমাকে পালন করতে হবে। আমার বোকামির কারণে এই বিতর্কের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। একজন বাংলাদেশি হিসেবে সব ভিসার শর্ত আমার জানা থাকতে হবে।

বাড়ি ফেরার পরের অনুভূতি কী?
ফেরদৌস: আগেই উল্লেখ করেছি, দর্শক ও ভক্তদের প্রতি আমার ভালোবাসা অবিরাম। তাদের জন্য এই আবেগ ধরে রাখতে চাই। বুঝতে পেরেছি, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারণায় অংশ নেওয়া আমার অনেক বড় একটি ভুল ছিলো। বাংলাদেশি হয়ে আরেক জাতির নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মনে আঘাত লেগেছে। এটি আমার ভুল ছিলো। আমি এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমার কারণে দুই দেশের সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তা চাই না। ‘কালো তালিকাভুক্ত’ হয়েছি, এটি আমার কাজের শাস্তি হিসেবে দেখছি। আমি মনে করি, সময়ের সঙ্গে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/19/1555678002584.jpg

কলকাতায় আপনার অসমাপ্ত কাজগুলোর কী হবে?
ফেরদৌস: সন্তানদের সময় দিতে কয়েক বছর ধরে ওপার বাংলার চলচ্চিত্রে কাজ কম করছি। ‘সাধের জোনাকি’ ও ‘তুই যদি আমার হতিস’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এছাড়া ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বিপরীতে ‘দত্ত’র শুটিং করছি। আমার কারণে একজন প্রযোজক কোনও পরিস্থিতিতে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তা নিশ্চয়ই আমি চাই না। এরই মধ্যে ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছি গণমাধ্যমে। চলচ্চিত্রে এতোটা বছর নিজেকে নিবেদিত রেখেছি, আশা করছি সবাই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।

টলিউড থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
ফেরদৌস: গত কয়েকদিন ধরে খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কারও সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। আমার বন্ধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও রচনা ব্যানার্জি এই ঘটনায় হতাশ হয়েছে জানি। র‌্যালির একদিন আগেও ঋতুর সঙ্গে ‘দত্ত’র শুটিং করেছি। এমনকি র‌্যালিতে আমার সঙ্গে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তারাও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তবে তারা সবসময় আমার সঙ্গে ছিলেন।

বাংলাদেশ থেকে তো অনেক ফোন কল পেয়েছেন?
ফেরদৌস: হ্যাঁ। আমার পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অনেকেই আমাকে ফোন করেছেন। এতোটা সময় ধরে কাজ করছি, কখনও কোনো বিতর্কে জড়াইনি। ওপার বাংলায় গিয়ে শুটিং করেছি, ছবি দেখেছি, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে আবারও ফিরে এসেছি। আমার যারা চেনেন তারা জানেন, কখনও কাউকে কষ্ট দিয়ে কিছু করিনি। আমার মা, ভাই-বোন, স্ত্রী ও সন্তানেরা এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, সময়ের সঙ্গে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমার এমন কর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করছি, সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/19/1555678023497.jpg

   

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ড. হাফিজ রহমানের লেখা দেশাত্মবোধক গান 'আমরা মুক্তি সেনা' রিলিজ হয়েছে। বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকারের সুরে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও সহশিল্পীবৃন্দ।

এমকে মিউজিক ২৪ এর ব্যানারে গানটি গত ২৬ মার্চ তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। গানটির মিউজিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রফিকুল আজাদ খোকন।

'আমরা মুক্তি সেনা' গানটি রিলিজের দুই দিনের মধ্যেই হাজার হাজার ভিউজ হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাফিজ রহমান বলেন,' মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে একটি গান লেখার ইচ্ছে ছিলো। ২৫ মার্চ। পৃথিবীর ইতিহাসের এক কাল রাত্রি। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরীহ নিরপরাধ ঘুমন্ত বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম নৃশংসতা চালায় । তাই আমার লেখা গানটি সেই রাতেই রিলিজ করার পরিকল্পনা করেছিলাম। অবশেষে বাস্তবে রূপায়িত হলো সেই অভিপ্রায়।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকার বলেন, "গানটির কথা খুবই সুন্দর ছিলো। সুর করেছি। কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ সুন্দর কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে।"

;

জন্মদিনে চমকে দিলেন শাকিব খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো ‘তুফানি’ কায়দায় প্রকাশিত হলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আরও একটি নতুন সিনেমার পোস্টার। অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রকাশিত হয় সিনেমার পোস্টার।

দ্রুত শাকিবের নতুন লুক ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লুফে নিয়েছেন ভক্তরা। লম্বা কোঁকড়ানো চুলে সাদা রোদচশমা, গলায় লকেট পরে সোফায় বসে আছেন হিরো! পাশেই মেশিনগান! আর পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভয়ানক রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। নতুন সিনেমা আর জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছেন জনপ্রিয় নায়ক।

শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘তুফান’-এর নতুন পোস্টার

অবশ্য মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি ঝোড়ো তুফানের পূর্বাভাস দেন পরিচালক রায়হান রাফী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন পরিচালক। এরপর বুধবার বিকেলেই প্রকাশ করেন ‘তুফান’-এর ফার্স্ট অফিশিয়াল লুক। এই পোস্টার আসবে বলেই দুদিন ধরে নানা নাটকীয় আভাস দিচ্ছিলেন পরিচালক।

যদিও তুফানি বেগে উড়তে হলে অপেক্ষা করতে হবে আসছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। তখনই সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে এত দ্রুত সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশের পেছনেও আছে বিশেষ কারণ, তা হলো শাকিব খানের জন্মদিন। তারকার বিশেষ দিন উপলক্ষে আর দেরি করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালক।

‘তুফান’-এ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা

তুফানের যৌথ প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের চরকি, আলফা আই আর ভারত থেকে যুক্ত হচ্ছে এসভিএফ। জানা গেছে, ছবিতে শাকিব খান ছাড়াও থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আর বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ অভিনেত্রী নাবিলা। ‘তুফান’-এর ভিলেন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর নামও শোনা যাচ্ছে।

;

নতুন সিনেমায় ভিন্ন আঙ্গিকে আসাদুজ্জামান নূর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে সব ধরনের অভিনয় থেকেই দূরে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এরপর একটু একটু করে শুরু করেন মঞ্চ ও টিভি নাটকে। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন না।

এরপর এক এক করে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এবার পাওয়া গেল নূরের নতুন আরেকটি ছবির খবর। তবে এবার আর অভিনয় নয়। একটু ভিন্নভাবে যুক্ত হওয়া ছবিটির সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের আগেভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’। সেই ছবিতে যুক্ত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবির একটি অংশের জন্য কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি স্টুডিওতে তার কণ্ঠে কবিতাটি রেকর্ডিং হয়। ছবির পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ছবি শেষ হবে আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘কোনো এক মাকে’ কবিতাটির পাঠের মধ্য দিয়ে।

পরিচালক বলেন, ‘এ অংশ ছবির জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছবি শেষ হচ্ছে, নেপথ্যে কবিতাটি শোনা যাচ্ছে। গল্পের সঙ্গে চমৎকারভাবে কবিতাটির কথা, মর্ম মিলে যায়। আমার বিশ্বাস, ওই সময় প্রেক্ষাগৃহে দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি হবে দর্শকের মাঝে।’

কবিতাটি আবৃত্তির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিব আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নূর ভাইয়ের আবৃত্তি শুনে আসছি। তার আবৃত্তির ভঙ্গি দারুণ। আর ছবির এই জায়গায় তার কণ্ঠ ভালো মানিয়ে যায়। এ ছাড়া এই ছবিতে অনেক গুণীজন যুক্ত আছেন। আরেক গুণী মানুষ হিসেবে নূর ভাইকে চেয়েছি।’

আসাদুজ্জামান নূর

জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে কাজটির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি বুঝিয়ে নূর ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনেই রাজি হন তিনি। নানা ব্যস্ততায় কাজটি করে দিতে সময় পাচ্ছিলেন না। আজ সময় বের করে কাজটি করে দিলেন তিনি। আমি মনে করি, নূর ভাইয়ের কারণে আমার ছবির মান আরও বেড়ে গেল।’

২০২১-২২ বছরের সরকারের অনুদানের ছবি এটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর শুটিং শুরু হয়।

পরিচালক আরও জানিয়েছেন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিভিউয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা আছে ছবিটির। সেলিনা হোসেনের গল্প থেকে যৌথভাবে এটি চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইশতিয়াক আহমেদ।

এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, গাজী রাকায়েত, রোকেয়া প্রাচী, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আশনা হাবিব ভাবনা, সমাপ্তি, মৌসুমি হামিদ প্রমুখ।

;

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলায়’ পদাতিকের ‘গুনজান বিবির পালা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলা’য় আমন্ত্রন পেয়েছে বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের দল পদাতিক নাট্য সংসদ টিএসসি। আগামীকাল ২৯ মার্চ কলকাতার অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে প্রদর্শিত হবে পদাতিকের ৪১ তম প্রযোজনা ‘গুনজান বিবির পালা’। এই শো উপলক্ষ্যে পদাতিক নাট্য সংসদেও ২২ সদস্য এখন কলকাতায়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী।

নাটকে অনেকটা অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পালা গানের আঙ্গিকে করা। যে পালা বসে গ্রামের আসরে, বয়াতিদের এক শৈল্পিক নাট্য বয়ানে। শুধু পালাগান নয়, নাটকটিতে কাওয়ালি, পুঁথিসহ আরও অনেক লোকজ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

যার প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার দল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্য যাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। সেই দলের প্রধান নাটকের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজী। দলটির একটি নাটক ‘পালা’ আকারে মঞ্চায়ন করা হবে, যা সাত ভাই চ¤পা অবলম্বনে ‘গুনজান বিবির পালা’ নামে দর্শকদের কাছে মঞ্চায়িত হবে। অর্থাৎ নাটকের মধ্যে আরেক নাটক দেখা যায় এই প্রযোজনায়।

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমিনুল হক দীপু, মশিউর রহমান, শামছি আরা সায়েকা, আমানুজ্জামান, রাবেয়া, নুরুন্নাহার পাপিয়া, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, জয়, সালমান শুভ, আবু নাসেম লিমন, মোঃ ইমরান খাঁন, শরীফুল ইসলাম, জিতু, পলাশ, জিয়া, জেনি, সৃজা, নাজমা ও শ্রেষ্ঠা।

মঞ্চ-সঞ্জীব কুমার দে, আলো- অতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক, দ্রব্য ও কোরিওগ্রাফিÑ সাঈদা শামছি আরা, সঙ্গীত- হুমায়ন আজম রেওয়াজ, প্রযোজনা অধীকর্তাÑ সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন টিটো।

;