সাবটাইটেল ছাড়াই শাহরুখের সিনেমা দেখেন জার্মানরা
জার্মানরা অন্যান্য ভাষার সিনেমার বেশির ভাগই ইংরেজি সাবটাইটেলের মাধ্যমে দেখলেও শাহরুখ খানের বেলায় থাকে ভিন্নতা। তারা নাকি শাহরুখ খানের অভিনয় দেখেই তার সিনেমার সংলাপ বুঝে নেন। সম্প্রতি এক সেমিনারে এমনটাই জানালেন বলিউডের এই অভিনেতা।
লন্ডনের দ্যা ইউনিভার্সিটি অব ল থেকে ফিলানথ্রপিতে ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে কিং খানকে। ওই অনুষ্ঠানে নিজের বিপুল জনপ্রিয়তার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “সংস্কৃতি, হাস্যরস, বিনোদনের কোনো সীমানা থাকে না। সংস্কৃতি বিভিন্ন জাতি, দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধন তৈরি করে। বন্ধন তৈরিতে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান হলো বিনোদন। এসব থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। একবার জার্মানিতে এক সন্ধ্যা কিছু ভক্তের সঙ্গে দেখা হয় আমার। তারা কেউ হিন্দির একটি শব্দও বোঝে না। কিন্তু তারা দিব্যি আমার সিনেমা দেখে কোনো সাবটাইটেল ছাড়াই।”
তবে এমনটা হওয়ার পিছনে গল্পের কাহিনিতে গুরুত্ব দিয়েছেন শাহরুখ। শাহরুখের মতে, বলিউডের গল্পের কাহিনিগুলো জীবনধর্মী হয়। মানুষ তার নিজের জীবনের সঙ্গে গল্পের মিল পান। তাছাড়া যে আবেগ, অনুভূতি ও ভাব প্রকাশের যে ভঙ্গি থাকে তাতেই তারা বুঝতে পারেন।
১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। ২৭ বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ৮০টির বেশি ছবিটিতে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’র মতো ব্লকবাস্টার ছবি। সবশেষে আনন্দ এল রাই পরিচালিত ‘জিরো’ ছবিতে দেখা গেছে বলিউড কিংকে।
শুধু অভিনয় নয়, প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেন শাহরুখ খান। রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট নামে তার একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। পাশাপাশি রেড চিলিস ভিএফএক্স ও কালার্স নামে স্টুডিও রয়েছে তার নামে। খেলার দুনিয়াতেও উজ্জ্বল কিং খানের নাম। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স টিমের অন্যতম মালিক তিনি।
এখানেই শেষ নয়, পালস পোলিও, ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (NACO)-সহ একাধিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত শাহরুখ। কাজ করেছেন মানবাধিকার নিয়েও। নিজের এনজিও রয়েছে তার। যেখানে অ্যাসিড আক্রান্তদের জন্যও কাজ করছেন তিনি। এর জন্য তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তরফ থেকে ২০১৮ সালে ক্রিস্টাল অ্যাওয়ার্ড পান। পেয়েছেন পদশ্রী পুরস্কারও।