একদিন চলে যাবো দূরে, বহুদূরে



প্রভাষ আমিন
আইয়ুব বাচ্চু আর নেই, ছবি: সংগৃহীত

আইয়ুব বাচ্চু আর নেই, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সকালে অফিস থেকে ফোন করে গনি আদম যখন বললেন, দাদা! একটা দুঃসংবাদ দিয়ে দিন শুরু করবো। আমি মনে মনে তৈরি হচ্ছিলাম অধ্যাপক মমতাজউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুসংবাদ শোনার জন্য। আমার সরাসরি শিক্ষক মমতাজ স্যার অসুস্থ। বেশ কয়েকদিন ধরে অ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। কিন্তু গনি আদম যেটা জানালেন, সেটা অবিশ্বাস্য। আমিও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, গনিও নয়। গনি জানালেন, তিনি শুনলেও বিশ্বাস করতে পারছেন না, তাই ব্রেকিং দিতে পারছেন না। আমি ফোন করলাম এরশাদুল হক টিঙ্কুকে। কান্নাভেজা কণ্ঠে টিঙ্কু নিশ্চিত করলেন, আইয়ুব বাচ্চু আর নেই।

কী রকম অবিশ্বাস্য কথা। মাত্র ৫৬ বছর বয়স। একদিন আগেও রংপুরে কনসার্ট করে এসেছেন। একদিন পর যাওয়ার কথা ছিল রাজশাহীতে। আর মাঝখানে তিনি কিনা আকাশের তারা হয়ে গেলেন। সবাইকে একদিন যেতে হয়। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের যাওয়া বড় বেশি শূন্যতা তৈরি করে। কিছু শূন্যতা আসলেই পূরণ হয় না। আইয়ুব বাচ্চু তেমনই একজন। শুধু বাংলাদেশ নয়, আইয়ুব বাচ্চু উপমহাদেশেরই অন্যতম সেরা গিটারিস্ট। আইয়ুব বাচ্চুর অসময়ে চলে যাওয়া আমাদের হৃদয়ে হাহাকার তৈরি করে।

স্বাধীনতার পর শুরু হয় দেশ গড়ার সংগ্রাম। সবাই যার যার অবস্থান থেকে লড়াই করছিলেন। শিল্পীদের লড়াইটা ছিল বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, নিজস্ব গান গড়ার। আজম খান, ফিরোজ সাই, ফেরদৌস ওয়াহিদরা আনলেন নতুন ধরনের পপ গান। এর পর আসে ব্যান্ড গান। আশির দশকজুড়েই ছিল ব্যান্ড গানের জোয়ার। এই জোয়ারে সবচেয়ে বড় স্রোতটা আসে চট্টগ্রাম থেকে। সোলস নিয়ে আসে এক ঝাঁক শিল্পী। আইয়ুব বাচ্চু, তপন চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ, নকীব খান, নাসিম আলী খান, পার্থ বড়ুয়া- থোকা থোকা সব নাম। চট্টগ্রামের এই শিল্পীরা পরে দখল করে নেন গোটা বাংলাদেশ। সুরের আকাশে একেকজন মহাতারকা।

আশির দশকে ব্যান্ড গানের সেই জোয়ারে ভেসে গিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু আস্তে আস্তে পেশাগত জীবনে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় ব্যান্ড গান আর সেভাবে ফলো করা হয়নি। কিন্তু আইয়ুব বাচ্চু যে নিজেকে ভেঙ্গেচুড়ে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তা চোখের সামনেই দেখেছি। নব্বই দশকের শুরুতে এলআরবি দিয়ে শুরু হয় আইয়ুব বাচ্চুর নবযাত্রা। আইয়ুব বাচ্চু শুধু বাংলাদেশ নয়, এই উপমহাদেশেরই অন্যতম সেরা গিটারিস্ট।

ইদানীং ব্যান্ড গান শুনলে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। যন্ত্রের আধিক্যে গান বোঝা যায় না। এই ভীড়ে আইয়ুব বাচ্চু দারুণ ব্যতিক্রম। আইয়ুব বাচ্চুর গান শুনতে গেলেই চমকে যেতাম, গানের কথায় কী দারুণ কাব্যময়তা, কী অসাধারণ আধ্যাতিকতা। মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে বা হাসতে দেখো, গাইতে দেখো বা এক আকাশের তারা বা এখন অনেক রাত কোনটা ফেলে কোনটা শুনবেন।

আমরা যারা পঞ্চাশে পা রেখেছি, তারা আইয়ুব বাচ্চুকে ঠিক বুঝতে পারবো না। তরুণ প্রজন্মের ওপর আইয়ুব বাচ্চুর প্রবল প্রভাব। তাদের কাছে তিনি আইডল, প্রিয় এবি।

আরেকটা কারণে আইয়ুব বাচ্চুকে মিস করবে সঙ্গীতাঙ্গন। এত ব্যস্ততার মধ্যেও কোনো শিল্পী অসুস্থ হলে বা বিপদে পড়লে ছুটে যেতেন তিনি। এমন আরেকজন আইয়ুব বাচ্চু কোথায় পাওয়া যাবে?

আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবরে শোকের ঢেউ দেখে চমকে গেছেন অনেকেই। ঢুকতে পারবে না জেনেও হাসপাতালের সামনে হাজারো ভক্তের ভিড়। একজন শিল্পীর এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে। একজন শিল্পীর আসলে মৃত্যু নেই। আইয়ুব বাচ্চু বেঁচে থাকবেন তার গানে।

আইয়ুব বাচ্চু গেয়েছিলেন, 'এই রুপালি গিটার ফেলে/একদিন চলে যাব দুরে, বহুদূরে/সেদিন অশ্রু তুমি রেখো/গোপন করে... ' কিন্তু রূপালী গিটার ফেলে যেদিন তিনি দূর আকাশের তারা হয়ে গেলেন, কেউ অশ্রু গোপন করতে পারেনি। সঙ্গীতপ্রেমীদের বুক জুড়ে হাহাকার, কান্না।

প্রভাষ আমিন: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

   

২৩ এপ্রিলকে চলচ্চিত্রের কালো দিবস ঘোষণা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর সংঘবদ্ধ হামলার প্রতিবাদে বুধবার (২৪ এপ্রিল) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনসহ বিনোদন সাংবাদিকেরা। এ সময় ২৩ এপ্রিলকে চলচ্চিত্রের কালো দিবস বলে ঘোষণা দেন তারা।

এদিকে, রাতে সাংবাদিক ও শিল্পী সমিতি মিলে গঠিত তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্তে শিল্পী সমিতি সাংবাদিকদের পাঁচ দফা দাবির চারটিই মেনে নেন। তবে জয় চৌধুরীকে দুই বছরের জন্য সমিতি থেকে বহিষ্কারের দাবি না মেনে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধসহ সবার সামনে দুঃখ প্রকাশ করতে বলা হয়। কিন্তু জয় চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ না করে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সাংবাদিকরা।

বুধবার দুপুরে এফডিসির গেটে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে ঘটনার সাথে যুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, এফডিসিতে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী, অভিনেতা শিবা শানু ও খলনায়ক আলেকজান্ডার ব্রো এর নেতৃত্বে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা পূর্ব পরিকল্পিত ও হত্যাচেষ্টার ঘটনা।

মানববন্ধনের পর সাংবাদিকরা এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানান।

এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য এফডিসিতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার পাশাপাশি ২৩ এপ্রিলকে চলচ্চিত্রের কালো দিবস বলে ঘোষণা দেন।

;

সুচিত্রা সেন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের থিম সং-এ কাজী মুস্তা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কাজী মুস্তা

নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কাজী মুস্তা

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য শেষ হলো প্রথমবারের মতো আয়োজিত বাংলা সিনেমার মহানায়িকা ‘সুচিত্রা সেন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এন্ড অ্যাওয়ার্ডস’-এর আসর। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আয়োজিত দুদিনব্যাপী এই আয়োজনে হাজির হন বাংলাদেশ, ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র তারকা, প্রযোজক, পরিচালক ও সিনেমাপ্রেমীরা।

এই সম্মানজনক ও বড় পরিসরের আয়োজনের থিম সং-এর কোরিওগ্রাফি এবং পারফর্ম করেছেন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মেধাবী নৃত্যশিল্পী কাজী মুস্তা। সাড়ে ৫ মিনিটের এই গানে যুক্তরাষ্ট্রের দারুণ বেশ কয়েকটি লোকেশনে বেশ কয়েকটি পোশাক পরিবর্তন করে নৃত্য পরিবেশন করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। সঙ্গে ছিলেন তার সহশিল্পীরা।

থিম সঙের দৃশ্যে সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজী মুস্তা

কাজী মুস্তা বাংলাদেশের স্বনামধণ্য নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কবিরুল ইসলাম রতনের ছাত্র। তবে পড়াশুনা ও পরবর্তীতে পেশাগত কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কেই অবস্থান করছেন। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও নাচকে তিনি ভুলে যাননি। যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি কমিউনিটির নানা আয়োজনে তিনি নৃত্য পরিবেশনের জন্য ডাক পেয়ে থাকেন। ফলে নিয়মিতই তাকে নানা আয়োজনে নাচতে দেখা যায়।

নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কাজী মুস্তা

থিম সঙে কাজ করা প্রসঙ্গে কাজী মুস্তা বলেন, ‘এটা অবশ্যই একজন শিল্পীর জন্য সম্মানের। সুচিত্রা সেনের ভক্ত নন এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত করেছেন। সেই মহানায়িকার নামে প্রথমবার চলচ্চিত্র উৎসব হলো, তাও আবার যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত বিশ্বে। সেখানে থিম সং-এ নিজের আর্টকে প্রকাশ করতে পেরে আমি গর্বিত। আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা সুযোগটা আমাকে দিয়েছেন বলে।’

জনপ্রিয় মডেল ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌয়ের সঙ্গে কাজী মুস্তা

‘সুচিত্রা সেন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল এন্ড অ্যাওয়ার্ডস’-এর থিম সঙের সুর ও সঙ্গীতায়োজনের জন্য রাজর্ষী শীল। ভিডিও পরিচালনা করেছেন সৈয়দ ইমন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে থেকে এই উৎসবে যোগ দিতে নিউইয়র্ক গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ও সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, চিত্রনায়িকা তমা মির্জা, সোহানা সাবা, ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়াল হোসেনসহ আরও বেশ ক’জন তারকা। কলকাতা থেকে উপস্থিত হন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো তারকা।

নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কাজী মুস্তা

 

;

শাকিব খান বুবলীর প্রথম স্বামী নন, আগের ঘরে রয়েছে মেয়েও!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
(বাঁমে) শবনম বুবলী, শাকিব খান ও বুবলীর সঙ্গে বীর (ডানে)

(বাঁমে) শবনম বুবলী, শাকিব খান ও বুবলীর সঙ্গে বীর (ডানে)

  • Font increase
  • Font Decrease

কারণে-অকারণে সারা বছরই আলোচনায় থাকেন ঢালিউডের তিন তারকা শাকিব খান, অপু বিশ^াস আর শবনম বুবলী। বিশেষ করে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ির জন্যই বেশি আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাদের।

ঈদের আগে থেকেই টানা আলোচনায় অপু আর বুবলী। বিশেষ করে ঈদের একাধিক শোতে অপু ও বুবলী একে অপরের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন কড়াভাবে।

সেই আলোচনা-সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রকাশ্যে এলো শবনম বুবলীকে নিয়ে নতুন তথ্য। তাও আবার যেনতেন খবর না, এ যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে শাপ বের হওয়ার মতো খবর।

বুবলী ও সুরুজ বাঙালি

সম্প্রতি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ঢাকাই সিনেমার প্রবীণ কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি। সেখানেই তিনি বুবলীর জীবনের এক অজানা অধ্যায়ের কথা বলেন। সুরুজের দাবী, শাকিব খানই বুবলীর প্রথম স্বামী নন। তার আগেই বুবলীর আরও একটি বিয়ে ছিল। শুধু তাই নয়, সেই ঘরে নাকি বুবলীর একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে!

সুরুজের ভাষ্য, বুবলীকে সংবাদ পাঠিকা থেকে সিনেমায় সুযোগ দেন শাকিব খান। শাকিবের জন্যই সে এতোদূর উঠেছে। শাকিবের সঙ্গে ১০টি ছবি করেছে। শাকিব ছাড়া বুবলী কিছুই না। শাকিব খান সহজ সরল বলে তাকে সুন্দর একটি জায়গায় নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সে কোনদিন জানতো না যে বুবলীর আগে একটি বিয়ে ছিল। যখন জানতে পেরেছে তখন থেকে বুবলীকে এড়িয়ে চলছে। তবে বীর যেহেতু তার নিজের সন্তান, তাই বীরকে সে ফেলে দিতে পারে না। তার বর্তমান ভবিষ্যৎ সবকিছুর দায়িত্ব শাকিব খানই পালন করছে। কিন্তু এখন সে শাকিবের ঘাড়ে বন্দুক চালাতে চাচ্ছে। বীরকে ব্যবহার করে শাকিবের ধন দৈলত সব আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে।’

কক্সবাজারে শবনম বুবলী ও বীর

এটিএন নিউজে এই খবর প্রকাশের পর থেকেই নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা ঘিরে ধরেছে বুবলীকে। শাকিব খান আর অপু বিশ^াস জুটি ভেঙে যাওয়ার জন্য এখনো বুবলীকেই দায়ী করে অনেক দর্শক। তারা এই খবরে আবারও বুবলীকে নানাভাবে সমালোচনা করছে।

তবে বুবলীর ভক্তরাও দাঁড়িয়েছেন নায়িকার পাশে। তারা বলছে, বুবলীর যদি সত্যি বিয়ে থেকে থাকে তাহলে সেই স্বামী ও সন্তানকে সামনে আনা হোক। নয়ত অযথা একজন জনপ্রিয় তারকার নামে এমন খবর প্রকাশ করা অনুচিত।

বুবলী বর্তমানে সিয়াম আহমেদের কামব্যাক সিনেমা ‘জংলি’তে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত

 

;

মানসম্মত কাজে আগ্রহী মডেল আইরিন



নিউজ ডেস্ক
মানসম্মত কাজে আগ্রহী মডেল আইরিন

মানসম্মত কাজে আগ্রহী মডেল আইরিন

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের মেয়ে আইরিন। পুরো নাম আইরিন সুলতানা । কলেজে ওঠার পর হঠাৎ শখ হয় শোবিজে মডেল হিসেবে নাম লেখাবেন। তবে তখনই ভাবেননি যে, প্রতিনিয়ত একটা সময় ক্যামেরার সামনে থাকতে হবে। সেই ২০১৪ সালের কথা । কলেজে পড়া অবস্থায় শখের বসেই প্যারাসুট এডভান্স বেলিফুল স্টাইলিশ হেয়ার অফ দ্যা ক্যাম্পাস নামে এক প্রতিযোগিতায় নাম লেখান আইরিন। এরপর সাড়াও পান।সেখানে দ্যা মোস্ট বিউটিফুল হেয়ার অফ দ্যা ক্যাম্পাস এর পুরস্কার জিতে নেন।


এরপর দুয়ার খোলে বিজ্ঞাপন জগতের । মডেল হিসেবে প্যারাসুট এর একটা বিজ্ঞাপন করেন আইরিন। এরপর বিরতি । কিন্তু কেনো ? এর জবাবে আইরিন বলেন, পড়াশুনার জন্য মূলত মিডিয়া থেকে পুরোপুরি দূরে ছিলাম প্রায় ছয় বছর। ঢাকায় মাস্টার্স করতে আসার সুবাদে আবার টুকটাক শখের বসেই কাজ শুরু করা।


অভিনয় এর প্রতি আগ্রহ থেকে প্রাচ্যনাট থিয়েটার স্কুলে ভর্তি হয়ে ছয় মাসের কোর্স সম্পন্ন করেছি। ফ্যাশন মডেল হিসেবে নিয়মিত প্রথম আলোর ফ্যাশন পাতা নকশাতে মডেল হিসেবে কাজ করা হয়।

এছাড়া বিটলস ক্যাফে( বিজ্ঞাপন), স্বপ্ন মশারী(বিজ্ঞাপন), কিয়াম এভি, কিয়াম কুকিং শো ( হোস্ট)- ডিরেক্টর ইমন খানের নির্দেশনায় বেশ কিছু কাজ করা হয়। এছাড়া নিমন মোর্শেদ ও তৌফিক অংকুরের কাজও করা হয়।


সামনে নাটক নাকি চলচ্চিত্র কিসে আগ্রহ বেশি জানতে চাইলে জবাবে আইরিন বলেন, যেখানেই ভালো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আছে সেখানেই অভিনয় করতে চাই। হোক সেটা নাটক, সিনেমা কিংবা বিজ্ঞাপন। তবে চলচ্চিত্র যেহেতু বেশ বড় একটা ধাপ, তাই সেদিকে একটু ধীরে ধীরেই এগুতে চাই। কোয়ান্টিটি থেকে কোয়ালিটি আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেছে বেছে কাজ করতে শুরু থেকেই পছন্দ করি আমি ।

ঢাকার লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে মাস্টার্স করেছেন আইরিন । সামনে বুঝে শুনে ভালো কিছু কাজ দর্শকদের উপহার দিতে চান তিনি।

;