টেনিসে সর্বকালের সেরা ফেদেরার-নাদাল-জোকোভিচ



শেহজাদ আমান, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
সৌভাগ্যবান বর্তমান সময়ের টেনিসপ্রেমীরা, সর্বকালের সেরা তিন খেলোয়াড়কে একসাথে দেখতে পারছেন

সৌভাগ্যবান বর্তমান সময়ের টেনিসপ্রেমীরা, সর্বকালের সেরা তিন খেলোয়াড়কে একসাথে দেখতে পারছেন

  • Font increase
  • Font Decrease

রজার ফেদেরার। রাফায়েল নাদাল। নোভাক জোকোভিচ। আধুনিক টেনিসের ‘বিগ থ্রি’। এই তিনজনই যে পুরুষদের টেনিসে সর্বকালের সেরা তিনজন, তা নিয়ে খুব কম মানুষই দ্বিমত পোষণ করে। আর এর স্বপক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছে তাঁদের পরিসংখ্যান। রজার ফেদেরার গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন ২০ বার, রাফায়েল নাদাল ১৮ বার ও নোভাক জোকোভিচ ১৫ বার। এই তিনজনের মিলিত গ্র্যান্ড স্লামের সংখ্যা ৫৩! বলাই বাহুল্য, তাদের মতো এত বেশি গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি কেউ জিততে পারেননি পুরুষদের টেনিসের ইতিহাসে। আর আজকের দিনের টেনিসামোদীরা নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারেন—এই তিন কিংবদন্তি বর্তমানে, একই সময়ে খেলে চলেছেন বলে। সর্বকালের সেরা এই তিন খেলোয়াড়কে একসাথে দেখতে পারছেন বলে।

তারা যেসময় খেলছেন, সেই সময়ে গ্র্যান্ড স্লাম ছাড়াও অন্যান্য ট্রফিতেও এই ত্রয়ীর আধিপত্য প্রচণ্ড। বিভিন্ন মাস্টার টুর্নামেন্টের বেশিরভাগের শিরোপা যাচ্ছে এই তিনের ঝুলিতে। গত প্রায় ১৫ বছর ধরেই যেন এই ত্রয়ীর একাধিপত্য টেনিসে। এই দেড় দশক সময়কালে মেয়েদের টেনিস দেখেছে অনেক উত্থান-পতন। ফ্রেঞ্চ ওপেনে যেমন নাদাল, উইম্বলডনে যেমন ফেদেরার বা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যেমন জোকোভিচ টানা শিরোপা জিতেছেন, মেয়েদের টেনিসে এমনটা দেখা যায়নি গত দেড় দশকে। গত দেড় দশকে এক সেরেনা উইলিয়ামস ছাড়া আর কোনো নারী টেনিস তারকাই সেভাবে টিকে থাকতে ও সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। তাও ফেদেরার, নাদাল ও জোকোভিচের মতো অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা নিয়ে নিজেকে তিনি ধরে রাখতে পেরেছেন খুব কমই। গত দশ বছরে প্রায় সব গ্র্যান্ড স্লামেই শিরোপা ঘুরেফিরে গিয়েছে এই ত্রয়ীর হাতে। মাঝে অ্যান্ডি মারে, স্টান ভাভরিঙ্কা ও মারিন চিলিচের মতো কেউ কেউ ৩-৪টি স্লাম শিরোপায় ভাগ বসালেও তারা ধরে রাখতে পারেননি তাদের এই সাফল্য। হতে পারেননি ধারাবাহিক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/20/1566289905892.jpg

একে অন্যের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও তাদের মধ্যে রয়েছে দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক


২০১৭-এর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে ২০১৯-এর উইম্বলডন পর্যন্ত টানা ১১টি গ্র্যান্ড স্লাম ভাগ করে নিয়েছেন এই ত্রয়ী। জোকোভিচ জিতেছেন চারটি, নাদাল তিনটি আর ফেদেরার তিনটি। অথচ তাদের প্রত্যেকেই ত্রিশোর্ধ্ব। নেই তারুণ্যের মধ্যগগণে। ছেলেদের টেনিসে এই তিনজনের দীর্ঘদীনের সাফল্যের রহস্য কী?

প্রথমেই বলা যেতে পারে টেনিসের প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা বা কমিটমেন্টের কথা। এই কমিটমেন্ট না থাকার কারণে অনেক পুরুষ টেনিস খেলোয়াড়ই লম্বা করতে পারেননি তাদের ক্যারিয়ার। তাদের প্রায় সমসাময়িক লেটন হিউয়িট, মারাত সাফিনরা প্রথমদিকে বেশ কিছু সাফল্য পেলেও, র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠলেও, তারা তা ধরে রাখতে পারেননি দীর্ঘদিন। ফেদেরারকে দেখলেই ব্যাপারটা অনেকটা বোঝা যায়। ৩৮ বছর বয়সে যেখানে সবাই অবসরের কথা ভাবে, সেখানে তিনি এখনো খেলে চলেছেন সমান দাপটে। জিতছেন শিরোপাও। ১৯৯৮ থেকে পেশাদার সার্কিটে খেলে চলেছেন তিনি। তবু, অচিরেই অবসরে যাবেন, এই ভাবনা তার এখনো নেই। একই ব্যাপার খেটে যায় নাদাল ও জোকোভিচের বেলায়। ৩৩ ও ৩২ বছর বয়সী এই দুজনও টেনিসকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে টিকে আছেন। ইনজুরির কারণে খেলা থেকে দূরে সরে থাকতে হয় তাদের মাঝেমাঝেই। বিশেষ করে, এই ক্ষেত্রে নাদালের কথা বলতে হয় আলাদা করে। ইনজুরির হানা তার ক্যারিয়ারে নিয়মিত একটা ঘটনা। এমনকি টুর্নামেন্ট চলাকালেও অনেক সময় আক্রান্ত হয়েছেন ইনজুরিতে। তবুও ফাইনালে উঠেছেন, যদিও হয়তো শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি শিরোপা। যেমন, ২০১৭-এর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এই ঘটনাই ঘটেছিল তার সাথে। তেমনি জোকোভিচও মূলত ইনজুরির কারণে ২০১৬’র উইম্বলডন থেকে থেকে ২০১৮’র ফ্রেঞ্চ ওপেন পর্যন্ত পর্যন্ত জিততে পারেননি একটিও গ্র্যান্ড স্লাম। কিন্তু দুরন্ত প্রতাপে ফিরে এসে তিনি জিতে নিয়েছেন পরের পাঁচটি গ্র্যান্ড স্লামের চারটিই। তাই, নিঃসন্দেহে তাদের সাফল্যের আরেকটি কারণ এই হার না মানা মনোভাব।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সও তাদের সাফল্যের আরেকটি কারণ। কী হার্ড কোর্ট, কী ক্লে কোর্ট, কী গ্রাস কোর্ট—সবখানেই শিরোপা জিতেছেন এই ত্রয়ী। তাই, চার ধরনের গ্র্যান্ড স্লামই পকেটে আছে তাদের। যে নোভাক জোকোভিচ জিততে পারছিলেন না ফ্রেঞ্চ ওপেন, তিনিও ২০১৬ সালে তা জিতে দেখালেন। এরকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স আছে টেনিস ইতিহাসের খুব কম খেলোয়াড়েরই। ফেদেরারের ফোরহ্যান্ড, নাদালের ব্যাকহ্যান্ড, জোকোভিচের গ্রাউন্ড স্ট্রোকের মতো অসাধারণ ক্রীড়াশৈলি, খুব কম টেনিস খেলোয়াড়ই দেখাতে পেরেছেন।

আসুন, এবার দেখা যাক গত দেড় যুগে এই তিন মহাতারকার অর্জনগুলো এবং করা যাক পারস্পারিক সাফল্যের একটা তুলনা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/20/1566289973138.jpg
৩৮ বছর বয়সেও সমান দাপটে খেলে চলেছেন রজার ফেদেরার


ফেদেরারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা ২০০৩ সালের উইম্বলডন জয়। অন্যদিকে নাদাল ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেও শিরোপা জেতেন ২০০৫ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনে। জোকোভিচ ২০০৩ সাল থেকে পেশাদার আন্তর্জাতিক টেনিসে বিচরণ করলেও প্রথম বড় সাফল্য তার হাতে ধরা দেয় ২০০৮ সালে। সেবছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তিনি প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জেতেন।

বিগত ১৫ বছরে টেনিসে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী তিন টেনিস তারকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছেন রজার ফেদেরার। তিনি সর্বমোট ৯৮টি প্রতিযোগিতামূলক টেনিস শিরোপা জিতেছেন ও রানার্সআপ হয়েছেন আরো ৫১ বার। ফেদেরারের ৯৮টি টেনিস শিরোপার মধ্যে গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার সংখ্যা ২০টি। তিনি মোট ১০ বার পরাজিত হয়েছেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে। খেলোয়াড়ি জীবনের ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮টি জিতেছেন উইম্বলডনে। গ্র্যান্ড স্ল্যাম ছাড়াও মাস্টার্স শিরোপা প্রতিযোগিতায় ফেদেরার খেলেছেন ৪৭টি ফাইনাল, যার মধ্যে জিতেছেন ২৭টি ও হেরেছেন ২০ বার। এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর প্রতিযোগিতায় ১০ বার ফাইনাল খেলে জিতেছেন ৬ বার ও হেরেছেন ৪ বার। মাস্টার্স ও এটিপি ছাড়াও ফেদেরার ২০১৪ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের একমাত্র ডেভিস কাপ জেতেন। সর্বমোট ফাইনাল খেলা ও শিরোপার সংখ্যার হিসেবে নাদাল ও জোকোভিচের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ফেদেরার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/20/1566290018405.jpg
অদম্য মানসিকতা বড় শক্তি নাদালের। বারবার ইনজুরিতে পড়েও ফিরে এসে জিতেছেন শিরোপা


স্প্যানিশ কিংবদন্তি টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল টেনিস ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (১৮টি) গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতেছেন। খেলোয়াড়ি জীবনে জিতেছেন ৭৬টি টেনিস শিরোপা ও হেরেছেন ৩৬টি ফাইনালে। তিনি তার ১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার মধ্যে ১২টিই জিতেছেন ফ্রেঞ্চ ওপেনে ক্লে কোর্টে। তাই টেনিস বিশ্বে নাদাল পরিচিত ‘ক্লে কোর্টের রাজা’ হিসেবে।

১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে জয়ের বিপরীতে নাদাল হেরেছেন ৭টি ফাইনালে। ফেদেরার ও জোকোভিচের চেয়ে মাস্টার্স শিরোপা জয়ের দিক দিয়ে অবশ্য এগিয়ে রয়েছেন নাদাল। খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি জিতেছেন সর্বমোট ৩২টি মাস্টার্স শিরোপা ও হেরেছেন আরো ১৬টি ফাইনাল। মাস্টার্স ওপেনে সাফল্যের দিক থেকে তার সমকক্ষ টেনিস খেলোয়াড় ইতিহাসে বিরল। তবে তিনি এটিপি ট্যুর প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেননি, হেরেছেন ২টি ফাইনালে। কিন্তু ৪ বার ডেভিস কাপের ফাইনাল খেলে জিতেছেন ৪ বারই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/20/1566290067509.jpg
অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা বড় শক্তি জোকোভিচের


২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার মধ্যদিয়ে টেনিস বিশ্বের লাইমলাইটে আত্মপ্রকাশ ঘটে জোকোভিচের। সেই থেকে এখন পর্যন্ত নোভাক জোকোভিচ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলেছেন ২৩ বার। ১৫টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে জয়ের বিপরীতে হেরেছেন ৯টি ম্যাচে। গ্র্যান্ড স্ল্যাম ছাড়াও অন্যান্য টেনিস প্রতিযোগিতায়ও সাফল্য ধরে রেখেছেন তিনি। মাস্টার্স টেনিস ওপেনে সর্বমোট ৪৪টি ফাইনাল খেলেছেন জোকোভিচ। এর মধ্যে জিতেছেন ৩০টি ও হেরেছেন ১৪টি ম্যাচে।

এটিপি ট্যুর শিরোপা জয়ের দিক দিয়ে ফেদেরারের পরেই জোকোভিচের অবস্থান। মোট ৬ বার ফাইনাল খেলে তিনি শিরোপা জিতেছেন ৫ বার। এছাড়াও খেলোয়াড়ি জীবনের একমাত্র ডেভিস কাপ জেতেন ২০১০ সালে। শিরোপার সংখ্যা বিবেচনায় ফেদেরারের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও নাদালের নিকটবর্তী অবস্থানে রয়েছেন ৬৯টি টেনিস শিরোপা জেতা এই সার্বিয়ান তারকা।

টেনিস বিশ্ব যখন তিন মহাতারকার নিয়ন্ত্রণে, তখন তাদের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অবশ্যই র‍্যাঙ্কিং নিয়েও আলোচনা করা জরুরি।

টেনিস ইতিহাসে সর্বাধিক সময় ধরে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখা খেলোয়াড় রজার ফেদেরার। তিনি সর্বমোট ৩১০ সপ্তাহ টেনিস র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর অবস্থানে ছিলেন। ফেদেরারের পরেই জোকোভিচের অবস্থান। তিনি মোট ২২৩ সপ্তাহ টেনিস র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ অবস্থানে ছিলেন, যা ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। নাদাল অবশ্য ফেদেরার ও জোকোভিচ থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন র‍্যাঙ্কিংয়ের দিক দিয়ে। প্রথম অবস্থানে ছিলেন মোট ১৮২ সপ্তাহ।

টেনিস বিশ্বের সেরা এ তিন খেলোয়াড়ের অলিম্পিকেও রয়েছে সফলতা ও ব্যর্থতা। অলিম্পিকে তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সফল নাদাল। ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে তিনি স্বর্ণপদক জিতেছেন স্পেনের হয়ে। অন্যদিকে অলিম্পিকে ফেদেরারের রয়েছে রৌপ্যপদক ও জোকোভিচের রয়েছে একটি ব্রোঞ্জপদক।

কাজেই, টেনিসের এই তিন মহারথী যে সর্বকালের সেরা তিন টেনিস খেলোয়াড়, এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে খুব কম মানুষের। ‘সর্বকালের সেরা’ এই তিনকে একসাথে দেখতে পাচ্ছেন বলে নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান বলে ভাবতেই পারেন বর্তমান সময়ের টেনিসামোদীরা। একই সময়ে এই তিনজনকে খেলতে দেখার পাশপাশি, এদের মধ্যকার ত্রিমুখী লড়াইটাও কিন্তু কম উপভোগ্য নয়। পরিসংখ্যান বলছে, পরস্পরের মোকাবেলায় এই তিনজনের জয়-পরাজয়ের সংখ্যার ভেতরও নেই খুব একটা পার্থক্য। কে সেরা সেটা নিয়ে তাদের ভক্তদের মধ্যে নিশ্চয় চলে অন্যরকম এক লড়াই। কিন্তু, সর্বকালের সেরা টেনিস-ত্রয়ী যে এই তিনজনই, এনিয়ে লড়াই করতে মনে হয় না এগিয়ে আসবে খুব বেশি মানুষ।

   

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;

নওগাঁয় কালের সাক্ষী কয়েক শ বছরের পুরোনো বটগাছ



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে বট ও পাকুড় গাছের মেল বন্ধন প্রায় ৩০০ বছরের অধিক সময়ের। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে রহস্যময় এই বট গাছটি। প্রায় ৫ থেকে ৬ একর জমির ওপরে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বট ও পাকুর মিলে বিশাল জায়গাজুড়ে কাল্পনিক এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা মাটিয়ে লুটে পড়ে আরেক বটগাছের জন্ম দিয়েছে। কাণ্ডগুলো দেখলে বোঝার উপায় নেই যে এটির মূল শাখা কোনটি। লতা থেকে মাটিতে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি বটগাছ এভাবে অনেকটা জায়গাজুড়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছে স্থানটি। বটগাছের নিচে ও পাশে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কালি মন্দির যেখানে কয়েকদিন পর পর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেন তারা।

মুরাদপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাহা ( ৫০) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে এই গাছটির সঠিক বয়স কত সেটি আমরা কেউ জানিনা। আমার বাবা-দাদা তারাও এখানে পূজা করতেন তবে তারা আমাদেকে সঠিক বয়স বলতে পারেনি। আমার দাদার মুখে শুনেছি উনার ছোটবেলাতে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতেন সে সময় গাছটি ঠিক এমন-ই ছিল। তবে অনুমান করা যায়, এই গাছের বয়স প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের অধিক হতে পারে।

একই গ্রামের গৃহবধূ লাইলী বেগম ( ৫৫) বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর হলো আর তখন থেকেই এই গাছটি দেখে আসছি। বাড়ি কাছে হওয়ায় প্রতিদিন আশেপাশে আসতে হয় বিভিন্ন কাজে। মূল গাছটি আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। একটা গাছ থেকে এতগুলো গাছের সৃষ্টি হয়েছে দেখতে ভালোই লাগে। তবে যদি এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরো কয়েকশ বছর টিকবে বলে মনে করি।

হালঘোষপাড়া থেকে আসা রায়হান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।


কল্পনা রানী ( ৪৮) বলেন, আমার স্বামীর বাবার মুখ থেকে শুনেছি এটির বয়স প্রায় ৩০০ বছরের অধিক। কিছুদিন পর পর এখানে পূজা হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে পূজা দেয়। এমন সুন্দর বটগাছ আমি কোনোদিন দেখিনি।

বিমল সাহা নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রতিদিন আমরা এখানে এসে ক্রিকেট খেলি। এতো পুরাতন একটি বটের গাছ দেখতে পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগে।

এ বিষয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রাকৃতিকভাবে একেকটা উদ্ভিদের আয়ু একেক রকম হয়ে থাকে সেরকম বটগাছ দীর্ঘজীবি উদ্ভিদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় ৫০০ বছর বা অধিক সময়ের বেশি বেঁচে থাকে। এই উদ্ভিদগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি ও পরিবেশের সাথে এদের খাপখাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও বেশি এবং যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে এরা মোকাবিলা করতে সক্ষম। বটগাছ গুলো বেশি পানি না পেলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে আবার খুব বেশি তাপমাত্রা বা তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলেও এ ধরনের উদ্ভিদ সে সময় টিকে থাকতে পারে সেজন্য অনেক সময় বিল্ডিং বাড়ির দেয়ালেও এদের বিস্তার দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো। বটগাছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায় কিন্তু পাকুড় জাতীয় গাছে কম লক্ষ্য করা যায়।

;