নেলসন ম্যান্ডেলা : সংগ্রামই যার জীবন



তানিম কায়সার, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
নেলসন ম্যান্ডেলা

নেলসন ম্যান্ডেলা

  • Font increase
  • Font Decrease

সংগ্রামী জীবন বলে যদি কোনো জীবনকে আখ্যায়িত করা যায় তবে সেখানে একজন ব্যক্তি অনায়াসেই জায়গা করে নেবেন। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলা। যিনি নিজের জীবনের ২৭টি বসন্ত কাটিয়ে দিয়েছেন চার দেওয়ালের ভেতর। অপরাধ ছিল একটাই, মানুষের ন্যায্য অধিকার নিয়ে কথা বলা। আর এই অপরাধের কারণেই তাকে বরণ করে নিতে হয়েছিল এক বন্দী জীবন। তিনি চাইলেই অবশ্য এরচেয়ে ভালো জীবন বেছে নিতে পারতেন। আপোস করে, একটু অন্যায়ের কাছে অনুগত হলে তাকে এমন জীবন কাটাতে হতো না। কিন্তু যার শরীরে ছিল ঐতিহ্যবাহী থেম্বু রাজবংশের রক্ত, সে মানুষ কেমন করে এমন সাধারণ জীবন যাপন করবেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যান্ডেলা পরিচিত মাদিবা নামে। সেখানকার মানুষেরা তাকে আদর করে, সম্মান করে মাদিবা বলে ডাকে। মাদিবা শব্দের বাংলা হলো জাতির জনক। শুনলে হয়তো অবাক হবেন, ম্যান্ডেলার হাতের ছাপ অবিকল আফ্রিকান মহাদেশের আকৃতির মতো! হ্যাঁ এটা একেবারে সত্যি ঘটনা কিন্তু! সুতরাং চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় এ লোকের জন্মই হয়েছিল মাদিবা হওয়ার জন্য, জাতির জনক হওয়ার জন্য।

একজন সাধারণ ম্যান্ডেলা থেকে মাদিবা হয়ে যাওয়ার এই পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না। এর জন্য তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ পথ। যেই পথের প্রতিটা বাঁকে বাঁকেই ছিল কাঁটা বিছানো। এই পথ চলতে গিয়ে কোনো কাঁটা বিঁধেছে পায়ে, কোনোটা হাতে, আবার কোনোটা একদম হৃদয়ের প্রকোষ্ঠে। কিন্তু নেতৃত্বের গুণাবলি যার রক্তে, সংগ্রাম করে নিজের জাতিকে রক্ষার ইতিহাস যার বংশে, সেই মানুষকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধা দেবে, এমন কাঁটা তখনও সৃষ্টি হয়নি। মেন্ডেলা তাই এসব কাঁটা একে একে সরিয়ে, ক্ষত বিক্ষত শরীর নিয়ে অনেক উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে পিছিয়ে পড়া একটা জাতিকে নিয়ে আসেন আলোর মশালের তলে।

জন্মগতভাবে কালো হওয়ার কারণে যাদেরকে সহ্য করতে হতো সীমাহীন অত্যাচার, মানুষ হয়েও যাদের কাটাতে হতো পশুর চেয়েও হীন জীবন, তাদের জন্য বিলিয়ে দিলিয়েছিলেন নিজের টগবগে যৌবন। এই ম্যান্ডেলাকে আদর করে, ভালোবেসে মাদিবা ডাকবে না তো কাকে ডাকবে বলুন?

১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ প্রদেশের একটি সম্ভ্রান্ত গোত্র প্রধানের পরিবারে তার জন্ম। মা তার ডাক নাম রেখেছিলেন রোলিহলাহা, যার অর্থ যে ডাল ভেঙে ফেলে, অর্থাৎ দুষ্টু। এই দুষ্টু ছেলে বড় হয়ে একদিন একটা সমাজকে ভেঙে দেবে, তা হয়তো তার মাও ভাবেননি। বলতে গেলে সোনার চামচ মুখে নিয়েই জন্ম হয় তার। কিন্তু যার কপালে লেপা আছে সংগ্রামের তিলক, তার মুখে সোনার চামচ কি মানায়?

মাত্র নয় বছর বয়সে বাবা হারান ম্যান্ডেলা। নিজের জন্মভূমি ত্যাগ করতে হয় তৎকালীন ঔপনিবেশিক সরকারের চক্ষুশূল হওয়ার কারণে। শুরু হয় সংগ্রামের জীবন। কিন্তু সেই জীবনকেও ম্যান্ডেলা জয় করতে থাকেন সাহস এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে। স্কুলে তাই এক শিক্ষিকা তার নামের আগে জুড়ে দেন নেলসন শব্দটি। সেই থেকে রোলিহলাহলা ডালিভুঙ্গা ম্যান্ডেলা হয়ে ওঠেন নেলসন ম্যান্ডেলা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/18/1563465245164.jpg
তরুণ ম্যান্ডেলা ◢

 

পড়াশোনায় তুমুল মেধাবী ম্যান্ডেলা সারা বিশ্বের কাছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আজন্ম প্রতিবাদী ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে আজকে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার সেই প্রতিবাদী স্বভাবের শুরুটা শেশব কৈশোর থেকেই। ফোর্ট হেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সংগ্রামী জীবনের সঙ্গী টাম্বোর সাথে পরিচয় ঘটে তার। যার সাথে ম্যান্ডেলা সারা জীবন খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীনই ম্যান্ডেলা জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। প্রথম বর্ষেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্র সংসদের ডাকা আন্দোলনে অংশ নেন। ফলস্বরূপ বেরিয়ে যেতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেখান থেকে চলে যান জোহানসবার্গ। একটি খনিতে প্রহরীর কাজ নেন। পরবর্তীতে একটি আইনি সেবাদান প্রতিষ্ঠানের কেরানি হিসেবে চাকরি শুরু করেন। এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সময়েই তিনি তার স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এখানে তার সাথে পরিচয় হয় জো স্লাভো, হ্যারি শোয়ার্জ এবং রুথ ফাস্টের। পরবর্তী সময়ে এদেরকে নিয়েই তিনি তার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/18/1563465592154.jpg
যুবক বয়সে ম্যান্ডেলা ◢

 

আন্দোলনের শুরুতে ভারতের মহাত্মা গান্ধির 'অহিংস' মতকে গ্রহণ করেছিলেন ম্যান্ডেলা এবং তার সহযোগীরা। তাই তারা কাউকেই আঘাতের পক্ষপাতি ছিলেন না। এরই মাঝে ১৯৪৮ সালে ক্ষমতায় আসে আফ্রিকানদের দল ন্যাশনাল পার্টি। এই দলটি বর্ণবাদে বিশ্বাসী ছিল। আর ম্যান্ডেলাও একই সময়ে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। ধীরে ধীরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন এগিয়ে যায়। সংলাপ, শান্তি আলোচনা ইত্যাদির মাধ্যমে জনমত তৈরির কাজ চলে। ১৯৫২ সালে তিনি অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। কিন্তু সেই শান্তি বেশি দিন স্থায়ী হয় না। বর্ণবাদী সরকার তাদের প্রতি মারমুখী আচরণ শুরু করে। বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ সরকার ১৯৫৬ সালের ৫ ডিসেম্বর ম্যান্ডেলাসহ ১৫০ জন বর্ণবাদবিরোধী নেতাকে দেশদ্রোহিতার অপরাধে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে মুক্তি পান।

মুক্তি পাবার পর আন্দোলন আরো বেগবান হয়। মানুষ তাদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হতে শুরু করে। ১৯৬০ সালে শার্পভিলে কৃষ্ণাঙ্গ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি ছুড়তে থাকে। ৬৯ জন নিহত হলে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠে। শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলন রূপ নেয় সহিংস আন্দোলনে।

এসময় এক বক্তৃতায় নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, সরকার যখন নিরস্ত্র এবং প্রতিরোধবিহীন মানুষের ওপর পাশবিক আক্রমণ চালাচ্ছে, তখন সরকারের সঙ্গে শান্তি এবং আলোচনার কথা বলা নিস্ফল। ফলস্বরূপ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। তারা অহিংস আন্দোলনের পথ থেকে সরে এসে ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’ পদ্ধতি অবলম্বন করেন। ম্যান্ডেলা পরবর্তীতে স্বীকার করেন যে এই আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক সময় অনেক নিরীহ লোককে প্রাণ হারাতে হয়েছে। আর এটিকে কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ম্যান্ডেলা ও তার দল এএনসিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে তারা ম্যান্ডেলার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

সহিংস আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে ১৯৬২ সনের ৫ আগস্ট ৪০ বছর বয়সী ম্যান্ডেলাকে গ্রেফতার করা হয়। যার ফলে তার জীবন থেকে হারিয়ে যায় ২৭ টি বছর। তবে জেলে থেকেও ম্যান্ডেলা দমে যাননি। জেলে বসেই তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় পড়াশোনা শুরু করেন এবং আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। 

জেলে থাকাকালীন তিনি প্রায় নানা সময়ে তার প্রিয়জনদের কাছে চিঠি লিখতেন। স্ত্রী, পুত্র, কন্যাসহ অনেকের কাছেই চিঠি পাঠাতেন। জেলে থাকাকালীনই তার মা মারা যান। কিন্তু তাকে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। নির্জন কারাগারে বসে তিনি লেখেন, “তোমাকে আর কোনোদিন দেখতে পাব না! ভাবতেই পারছি না।” এই ক্ষত মুছতে না মুছতেই তার এক ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তিনি ম্যান্ডেলার একটি প্যান্ট পরেছিলেন। ম্যান্ডেলা লেখেন, “মৃত্যুর সময় আমার একটি প্যান্ট পরে ছিল সে। সেটা তার বড়ই হওয়ার কথা। তার যথেষ্ট কাপড়চোপড় থাকা সত্ত্বেও আমার কাপড় পরার কোনো কারণ ছিল না। তবু সে পরেছিল। এই যে আবেগ, এটাই আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে আমার অনুপস্থিতি, আমার কারাগারে থাকা, সন্তানদের ওপর কী মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলেছিল; তা আমার মনকে উত্তাল করে দিল।” এমনি দুঃখ কষ্টে তার জীবন কাটতে থাকে নির্জন অন্ধকারে। কিন্তু তবুও তার এ নিয়ে কোন অভিযোগ ছিল না। তিনি বলতেন, “যদি জেলে না যেতাম, তাহলে অনেক কিছু শেখা বাকি থাকত।”

কথায় আছে, আপনি হয়তো একজনকে মেরে ফেলতে পারবেন, কিন্তু তার আদর্শকে কখনো মেরে ফেলতে পারবেন না। এই কথাই যেন প্রতিফলিত ম্যান্ডলার জীবনে। ম্যান্ডেলা জেলে থাকাকালীনই ম্যান্ডেলার পক্ষে সারা বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরি হতে থাকে। দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। এরপরে তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস তথা এএনসির দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৪ সালে ক্ষমতায় আসীন হন। যা ১৯৯৯ পর্যন্ত ব্যাপ্ত ছিল। সেই সময় তিনি সারা বিশ্বের কাছে হয়েছিলেন সমাদৃত, সিক্ত হয়েছিলেন ভালোবাসায়। 

 

 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/18/1563466238205.jpg

বাংলাদেশে ম্যান্ডেলা ◢

 

আমরা অনেকেই জানিনা নেলসন ম্যান্ডেলা একবার আমাদের বাংলাদেশেই এসেছিলেন। সময়টা ১৯৯৭ সাল। মার্চের ২৬ তারিখ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী দিবস। আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা বাংলাদেশে এসেছেন। একই সময়ে এসেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত ও তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান সুলেমান ডেমিরেলের মতো বিশ্বনেতা। বাংলাদেশে এসে তিনি এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে নিজের বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকে তুলনা করে দুটি আন্দোলনকেই মানুষের মুক্তির আন্দোলন হিসেবে আখ্যা দেন। বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনার কথা বলছিলেন তিনি। বলেছিলেন, কিছু আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ করলেই কিন্তু দেশটি পাল্টে যেতে পারে। এজন্য দরকার স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। নইলে দেশ মুখ থুবড়ে পড়বে। কারণ, স্বচ্ছতা না থাকলে দায়বদ্ধতাও থাকবে না। তখন দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়বে। তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন শিক্ষা-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার কথাও।

আজকেও আমরা ম্যান্ডেলার কথাগুলোর যৌক্তিকতা গভীরভাবে উপলব্ধি করি। তার এই সামান্য কয়টি কথা থেকেই বোঝা যায় তিনি আসলে কত গভীর এবং কত বিচক্ষণ মাপের রাজনীতিবিদ ছিলেন।

বর্ণিল জীবনে তিনি দুইশ’র বেশি পুরস্কার পেয়েছিলেন। তার মধ্যে রয়েছেন নোবেল পুরস্কার ও ভারতরত্ন পুরস্কারের মতো বড় বড় সব অর্জন।

শেষ জীবনে এসে রোগ ব্যাধি বাসা বাঁধে শরীরে। ২০১৩ সালের ৮ জুন তিনি ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে প্রায় দুই মাস হাসপাতালে কাটান। ২১ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই মহান সংগ্রামী।

নেলসন ম্যান্ডেলাকে একবার জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কিভাবে মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকতে চান? উত্তরে বলেন তিনি বলেন, “আমি চাই আমার সম্পর্কে লোকে এমন কথাই বলুক যে, এখানে এমন এক ব্যক্তি ঘুমিয়ে আছেন, যিনি পৃথিবীতে তার কর্তব্য সম্পাদন করেছেন।”

ম্যান্ডেলার এই ইচ্ছেটাও হয়তো পূরণ হয়েছে আজ।

   

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;

নওগাঁয় কালের সাক্ষী কয়েক শ বছরের পুরোনো বটগাছ



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে বট ও পাকুড় গাছের মেল বন্ধন প্রায় ৩০০ বছরের অধিক সময়ের। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে রহস্যময় এই বট গাছটি। প্রায় ৫ থেকে ৬ একর জমির ওপরে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বট ও পাকুর মিলে বিশাল জায়গাজুড়ে কাল্পনিক এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা মাটিয়ে লুটে পড়ে আরেক বটগাছের জন্ম দিয়েছে। কাণ্ডগুলো দেখলে বোঝার উপায় নেই যে এটির মূল শাখা কোনটি। লতা থেকে মাটিতে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি বটগাছ এভাবে অনেকটা জায়গাজুড়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছে স্থানটি। বটগাছের নিচে ও পাশে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কালি মন্দির যেখানে কয়েকদিন পর পর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেন তারা।

মুরাদপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাহা ( ৫০) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে এই গাছটির সঠিক বয়স কত সেটি আমরা কেউ জানিনা। আমার বাবা-দাদা তারাও এখানে পূজা করতেন তবে তারা আমাদেকে সঠিক বয়স বলতে পারেনি। আমার দাদার মুখে শুনেছি উনার ছোটবেলাতে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতেন সে সময় গাছটি ঠিক এমন-ই ছিল। তবে অনুমান করা যায়, এই গাছের বয়স প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের অধিক হতে পারে।

একই গ্রামের গৃহবধূ লাইলী বেগম ( ৫৫) বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর হলো আর তখন থেকেই এই গাছটি দেখে আসছি। বাড়ি কাছে হওয়ায় প্রতিদিন আশেপাশে আসতে হয় বিভিন্ন কাজে। মূল গাছটি আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। একটা গাছ থেকে এতগুলো গাছের সৃষ্টি হয়েছে দেখতে ভালোই লাগে। তবে যদি এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরো কয়েকশ বছর টিকবে বলে মনে করি।

হালঘোষপাড়া থেকে আসা রায়হান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।


কল্পনা রানী ( ৪৮) বলেন, আমার স্বামীর বাবার মুখ থেকে শুনেছি এটির বয়স প্রায় ৩০০ বছরের অধিক। কিছুদিন পর পর এখানে পূজা হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে পূজা দেয়। এমন সুন্দর বটগাছ আমি কোনোদিন দেখিনি।

বিমল সাহা নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রতিদিন আমরা এখানে এসে ক্রিকেট খেলি। এতো পুরাতন একটি বটের গাছ দেখতে পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগে।

এ বিষয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রাকৃতিকভাবে একেকটা উদ্ভিদের আয়ু একেক রকম হয়ে থাকে সেরকম বটগাছ দীর্ঘজীবি উদ্ভিদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় ৫০০ বছর বা অধিক সময়ের বেশি বেঁচে থাকে। এই উদ্ভিদগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি ও পরিবেশের সাথে এদের খাপখাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও বেশি এবং যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে এরা মোকাবিলা করতে সক্ষম। বটগাছ গুলো বেশি পানি না পেলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে আবার খুব বেশি তাপমাত্রা বা তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলেও এ ধরনের উদ্ভিদ সে সময় টিকে থাকতে পারে সেজন্য অনেক সময় বিল্ডিং বাড়ির দেয়ালেও এদের বিস্তার দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো। বটগাছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায় কিন্তু পাকুড় জাতীয় গাছে কম লক্ষ্য করা যায়।

;