মেঘপাহাড়ের ডাক-২

মাওলিননংয়ের পথে....



মাহমুদ হাফিজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
মেঘপাহাড়ের ডাক/ ছবি: বার্তা২৪.কম

মেঘপাহাড়ের ডাক/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উমগট বিধৌত ডাউকি সীমান্ত অতিক্রম করতেই ‘খুবলেই’ ‘খুবলেই’ সমস্বরধ্বণি। প্রথমপ্রহর থেকে এতোক্ষণ ভ্রমণঘোরের মধ্যে ছিলাম। সম্বিত ফিরতে বুঝতে পারি পৌঁছে গেছি খাসি গারো জৈন্তাদের মেঘ-পাহাড়ের রাজ্য মেঘালয়। স্বাগত জানাতে তিনঘন্টা ড্রাইভ করে ছুটে এসেছেন খাসি মেজবান স্ট্রেমলেট ডেখার, বাখিয়া মন, ইভানিশা পাথাও। এই ট্রিপের অন্তত তিনদিন থাকবো স্ট্রিমলেটের বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউসে, তাঁর সরাসরি আতিথ্যে।

এর আগে সাতসকালে বিমানের ফ্লাইট বিজি জিরো সিক্স ফাইভ আমাদের ঠিকঠাক মতোই নামিয়ে দিয়েছে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর থেকে আমাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে সিলেটের পাকা ড্রাইভার দীপক দেবনাথ সাতসকালে পৌঁছে দিয়েছে তামাবিল। নানা ঝক্কি করে দু’পারের ইমিগ্রেশন-কাস্টমস অতিক্রম করেই পেয়ে গেছি মেজবান গ্রুপ ডেখার গংকে। খয়েরি রঙের টাটা সুমো ও দক্ষ গারো গাড়ি চালক দামরেন সাংমাকে নিয়ে তারা সময়মতো হাজির। জীবনে প্রথম ভ্রমণযাত্রা শুরু বিমানে, সীমান্ত অতিক্রম হেঁটে, গন্তব্য গাড়িতে। শানে নুযুল হচ্ছে, ভ্রমণ রুট ঢাকা-সিলেট-তামাবিল-ডাউকি-শিলং। মোড অব ট্রান্সপোর্ট উড়োজাহাজ, মাইক্রোবাস, টাটা সুমো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/09/1560062721306.jpg

মেঘের বাড়ি মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের পথে আমাদের প্রথম যাওয়ার কথা এশিয়ার সবচে’ পরিচ্ছন্ন গ্রাম ‘মাওলিননংয়ে’। ডাউকিতনয়া উমগট পাড়ি দিয়ে পাহাড়ি পথে যেতে হবে মাউলিননং। যাওয়ার পথে দ্রষ্টব্যটি স্পর্শ করে গেলে ভ্রমণের হাফ পয়সা উসুল। কারণ বাংলাদেশ-ভারতে সোস্যাল মিডিয়াভিত্তিক যতোগুলো ভ্রমণ গ্রুপ আছে ডাউকিতে তাঁদের অন্যতম গন্তব্য এই গ্রাম। গুগলের ভ্রমণ রিভিউয়ে ক্লিক করলেই মাউলিননং আর মাউলিননং। সে মতে, শিলংয়ের পথে এখন ছুটে চলেছি গ্রামটি এক্সপ্লোরে। ভ্রমণসঙ্গীরা রাতের প্রথমপ্রহর থেকে যাত্রার ধকলে এখন অনেকটা ক্লান্ত। পাহাড়ি রাস্তার ঝাঁকুনিতে তাদের চোখ ঘুম ঢুলুঢুলু। গুরুবাক্য শিরোধার্য করে জোর করে হলেও নির্নিমেষ তাকিয়ে আছি। আমার ভ্রমণ ও ভ্রমণগদ্য আইডল সৈয়দ মুজতবা আলী বা হালের বুদ্ধদেব গুহ বলেছেন, ক্যামেরার লেন্সে দুনিয়া না দেখে চোখের ক্যামেরায় দেখতে। চোখের থ্রি পয়েন্ট ফাইভ লেন্সে সব জায়গার ছবি তুলে মস্তিষ্কের ডার্করুমে রেখে দাও। যখন খুশি সেই ছবি ডেভেলপ করে নাও। পাহাড়-মেঘ-ঝর্ণার সৌন্দর্য দু’চোখের ক্যামেরায় ধরে রাখতে আমি আর কবি কামরুল হাসান তাকিয়ে আছি। এটা, ওটা দেখে ওই ওই বলে চেঁচিয়ে উঠছি। হাতের মোবাইল ক্যামেরাও সচল হচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে।

মাউলিননং ভিলেজ এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসাবে তকমা পেয়েছে। এ ধরণের তকমার মাপকাঠি বা তকমাদাতা নিয়ে খুব বেশি জানা না গেলেও গ্রামের এই পরিচিতিতে পর্যটকরা ছুটে আসছে, গ্রামের মানুষও সন্তুষ্টচিত্তে এক অভিনব গ্রাম্যসমাজের আওতায় গ্রাম পরিচালনা করছে, পরিচ্ছন্নতাই যার মূল কথা। নিজস্ব উদ্যোগেই এই গ্রামসমাজের সদস্যরা নিয়মিত গ্রাম পরিস্কার করে আবর্জনা নির্দ্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে। এ গ্রামে কিছু ঘরবাড়ি, হোমস্টে, রিসোর্ট, কিছু দোকানপাট আছে। প্রতিমুহুর্তে পরিব্রাজক-পর্যটকের স্রোত গ্রাম পর্যটনে আসছে। পর্যটনশিল্প গ্রামবাসীর আয়ের অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে। এর মাঝে গ্রামের জীবনযাত্রা হারিয়ে গিয়ে মাউলিননং হয়ে উঠেছে ব্যবসাবাণিজ্যের কেন্দ্র। গ্রামের আঁকা বাঁকা প্রতিটি রাস্তার পাশে চমৎকার বাহারি ফুলগাছে। বাড়িতে বাড়িতে নানা পসার নিয়ে বসেছে স্থানীয়রা। মাউলিননং এখন গ্রাম কি গ্রাম না, এ নিয়ে ভাবার সময় পরিব্রাজকদের কারও নেই। তারা এই গ্রামটির নানা আঁকাবাঁকা পথে ছবি সেলফি তুলে, বাঁশ দিয়ে বানানো ভিউপয়েন্টে উঠে এবং নানারকম হস্তজাত সামগ্রীতে ব্যাগ পুরে পাহাড়ি দৌড়াচ্ছে আরেক গন্তব্যে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/09/1560062741768.jpg

ডাউকি থেকে ঘন্টাখানেকের মধ্যেই আমরা মাউলিননংয়ে পৌঁছেছি। মেজবানগণ এখানে যাতায়াতে আগে থেকেই অভ্যস্থ। সৌন্দর্যের আঁধারের মধ্যেই তাঁদের বসবাস, তাই পরিচ্ছন্ন গ্রামে পৌঁছে তাঁদের প্রতিক্রিয়া বোঝা গেল না। ভ্রমণসঙ্গী গৃহবন্ধু জলি, সদ্য কিশোরউত্তীর্ণ তুসু গাড়ি থেকে নেমেই ওয়াও, ওয়াও করতে লাগলো। গ্রামের ভেতরের কোন রেস্টুরেন্টে বসে আমরা চা-কফির বিরতি নিতে চাইলাম। লাস্যময়ী কিশোরী জেস্টারওয়েলের পৈত্রিক রেস্টুরেন্ট বসলাম। রেস্টুরেন্টের নাম কিউ শাপরাঙ। স্থানীয় ভ্রমণসঙ্গী কাম গাইড স্ট্রিমলেট ডেখার জেস্টারওয়েলের কাছে জানেত চাইলেন, এখানে বাইরের খাবার এলাউড কি না। হ্যাঁ সূচক জবাব আসতেই আমাদের অবাক করে দিয়ে তারা তাদের ব্যাকপ্যাক থেকে একের পর এক খাবার বের করতে লাগলেন। দেখলাম,তারা পুরো সকালে নাস্তার জোগারজন্তু করে নিয়ে এসেছেন। স্ট্রিমলেট ওয়ানটাইম প্লেট একেক করে সবার হাতে ধরিয়ে দিয়ে একের পর এক বের করলেন রুটি, আলু ভাজি, ডিম সেদ্ধ ও আচার। কিছুক্ষণের মধ্যে অমৃতসম একপেয়ালা করে চা এনে হাজির করলো কিশোরী জেস্টারওয়েল। আমরা খেয়ে রীতিমতো, পরিতৃপ্ত। কিশোরীর নামটি বিশেষভাবে উল্লেখ হচ্ছে এই কারণে যে, সে শুধু দর্শনধারীই নয়। গরীবঘরের মেয়ে হয়েও নিজেকে সুশ্রী রাখতে নিজের প্রয়োজনীয় যত্ন যে নেয় তা তার চেহারা দেখে বোঝা যায়। এই পাহাড়ের দেশে সে কোথায় বিউটিশিয়ান পায় তা ভেবে অবাক হতে হয়।

আমরা নাস্তা করে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে চাইলাম। চারদিকে পর্যটকরা হৈ হৈ করছে। গ্রামের পার্কিংয়ে লটে অনেকগুলো দোকানে বসেছে গারো খাসিদের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের মেলা। সেই সম্ভার থেকে আগ্রহীরা কিনছে পছন্দের জিনিসপত্র। আমাদের কয়েকজন সেদিকে মনোযোগী। কবি কামরুল হাসান আর আমি মনযোগ দিলাম গ্রামের অন্দর-বাহিরের তত্ত্বানুসন্ধানে। ভ্রমণবিদরাই বলেছেন, ভ্রমণে সব ভ্রামণিকের আগ্রহ এক নয়। আমরা যখন নোটবুকে তথ্য লিখতে ব্যস্ত, আমাদের অন্যসঙ্গীরা তখন ব্যস্ত কেনাকাটায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/09/1560062759057.jpg

মাওলিননং থেকে শিলং যাওয়ার আগে আরও বেশ কয়েকটি পর্যটনস্পট দেখে যাওয়া যায়। অনেকে ট্যাক্সি নিয়ে এগুলো দেখে সন্ধ্যা বা রাতের দিকে শিলংয়ে গিয়ে হোটেলে ওঠে। অনেক ডাউকি হয়ে চেরাপুঞ্জির হোটেল-রিসোর্টকে কেন্দ্র বানিয়ে পরে শিলংয়ে যায়। সরাসরি শিলং পৌঁছালে চেরাপুঞ্জি, ডাউকির স্পটে আসতে উল্টো আসার প্রয়োজন পড়ে। আমরা চেরাপুঞ্জি থাকছি না, আবার ভোররাতে পথে বের হওয়ার ধকলে আগেভাগেই শিলং পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। সে পরিকল্পনা কেড়ে নিল মাউলিননংয়ের অদূরেই লিভিং রুট সেতুর নিচ দিয়ে প্রবাহিত নজরকাড়া জলঝর্ণা। হাজার ফুট ওপর থেকে যে ঝর্ণার অবিরাম কলধ্বণি, কাছেই টানে, দূরে যেতে দেয় না।

   

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;