রূপকারের বুননে ‘বার্তা২৪.কম’



সাব্বিন হাসান
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতার জগতে প্রধান সম্পাদক হিসেবে আলমগীর হোসেন একজন পরীক্ষিত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমি তখন দৈনিক ‘সমকাল’ পত্রিকার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে কাজ করি। হঠাৎই একদিন উপসম্পাদক হিসেবে যোগ দিলেন আলমগীর হোসেন।

আমি যেহেতু ফিচার বিভাগে কাজ করতাম সে সুবাদে নিয়মিত সাপ্তাহিক সভায় উপস্থিত থাকতে হতো। মূলত ওখানেই রুদ্ধদার বৈঠকিতে আলমগীর ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। আমি সেই সময় একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সে কথা থাক।

বয়সে তারুণ্য থাকার কারণেই হয়তো ওরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু একেবারেই অচেনা কেউ শুধু স্নেহের পরশে এভাবে রাতারাতি ওই সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারেন তা আমার সত্যিই আজও বোধগম্য হয়নি। যার কারণ একেবারেই অজানা। শেষ অবধি আলমগীর ভাইয়ের ইচ্ছার কাছেই পরাজয় মেনে নিয়েছিলাম। তবে এই হেরে যাওয়া আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। মানিয়ে নেওয়া, মেনে নেওয়া এসব এক কঠিন পরীক্ষা রপ্ত করতে পেরেছিলাম।

সমকাল অনলাইন বিভাগকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিলেন তিনি। দায়িত্ব দিলেন আমাকে পরিকল্পনা করার জন্য। এরপর নিয়মিত সভায় আলমগীর ভাই আমাকে বিভিন্ন ধরনের ইনপুট দিতেন। আমি তা নানাভাবে টুকে রাখতাম। সময় এলে সব গুছিয়ে উপস্থাপন করতাম।

আলমগীর ভাইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উনি বয়সের ব্যবধানকে একেবারে বুঝতেই দেন না। আমি যখন ওনার সঙ্গে কাজ নিয়ে বসতাম বুঝতেই পারতাম না উনি আমার বাবার বয়সী একজন মানুষ। কথায় কথায় খুনসুটি করা ওনার একটা কৌশল। খুনসুটির মধ্যেই কখনো ভুল ধরিয়ে দিতেন। কখনো বা কাজের প্রশংসা করতেন।

সহজে হাল ছাড়ার ব্যক্তি ছিলেন না তিনি। খুব সকালে উঠে কাজ করা তার চিরদিনের অভ্যাস। আমি ঠিক উল্টো। অনেকটা বিপরীতমুখী হওয়ায় আমাকে অবশ্য মাঝেমধ্যে কিছু প্রশংসা (বকা) বাণী শুনতে হতো। নিয়মিত আড্ডায় কফি অফার করতেন। সে অড্ডা থেকেই সারাদিনের মিডিয়ার কথা আলাপ হয়ে যেত। বলতে দ্বিধা নেই, সম্পাদক আর একেবারেই বয়সে তরুণ কোনো কর্মীর মধ্যে এমন আলাপচারিতা অনেকের কাছেই খটকা লাগত। তবে সত্যিটা হচ্ছে, আলাপ হতো দেশি-বিদেশি মিডিয়ার সবকিছু নিয়েই। বিশেষ গুরুত্ব পেত তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) আর টেলিযোগাযোগ। দূরদৃষ্টি না থাকলে প্রতিদিনের মিডিয়ায় প্রতিনিধিত্ব করা সত্যিই অসাধ্য। এ কৌশলটা আলমগীর ভাইয়ের কাছেই শেখা।

অনেকটা হুট করেই একদিন সমকাল ছেড়ে গেলেন আলমগীর ভাই। অবশ্য তার আগে তিনি সমকালের ‘নির্বাহী সম্পাদক’ হয়েছিলেন। সমকাল ছাড়লেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। প্রতিনিয়তই আইডিয়া শেয়ার হতো। নতুন কিছু করার প্রচণ্ড আগ্রহ তখন। সুযোগ আর সঠিক সময়ের অপেক্ষা চলছিল। অবশেষে (২৭ জানুয়ারি, ২০১০) সে সুযোগ এল। নতুন একটি অনলাইন করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ তাকে প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব দিলেন। আমার আবারও সুযোগ হলো তাঁর সঙ্গে থেকে শুরু থেকে কাজ করার। ওই সময় পরিকল্পিতভাবেই ‘বাংলানিউজ’ যাত্রা শুরু করে। চারদিকে আলোড়ন সৃষ্টি করেই (১ জুলাই, ২০১০) আত্মপ্রকাশ করে ২৪ ঘণ্টার অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজ।

তবে যাত্রার সূচনায় কোনো জাকজমকপূর্ণতা করেনি বাংলানিউজ। অনেকটা নীরবেই পথচলার শুরু। কিন্তু প্রতিদিনই বাংলানিউজ নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। ওই সময় তারুণ্যনির্ভর সাংবাদিকতার অনন্য উদাহরণ তৈরি করে বাংলানিউজ। করপোরেট ব্র্যান্ডগুলো তাদের যেকোনো আয়োজনের খবর বাংলানিউজে প্রকাশের অপেক্ষায় থাকত। একেবারে শূন্য থেকে সফলতার শীর্ষে চলে আসে বাংলানিউজ। অ্যালেক্সা র‌্যাংকিংয়ে ‘প্রথম আলো’কে ছাড়িয়ে শীর্ষে এসে নিজের দাপুটে উপস্থিতির জানান দেয়।

ভালো কোনো কিছুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আলমগীর ভাই কখনোই খুব বেশি সময় নেন না। এটা অনলাইন সাংবাদিকতার জন্য বড় একটি বৈশিষ্ট্য। কারণ অনলাইন সাংবাদিকতায় খুবই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

বাংলাদেশে অনলাইন সাংবাদিকতার রূপকার আলমগীর হোসেন এখন দিনরাত নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘বার্তা২৪.কম’। পরিসর সমৃদ্ধ হচ্ছে। বাড়ছে পরিবারের সদস্য।

ইতিমধ্যে এক পেরিয়ে মানে জন্মের কঠিনতম প্রথম বছর পার করে এসেছে বার্তা২৪.কম। গত ১৮ মে বার্তা২৪.কম ঢাকাস্থ গুলশান অফিসে তার প্রথম জন্মদিন উদযাপন করেছে। অপেক্ষাকৃত তরুণেরাই কাজ করছে এখানে।

উল্লেখ্য, বাংলানিউজের এক সময়ের তরুণ সাংবাদিকেরাই এখন দেশের বিভিন্ন অনলাইনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। অর্থাৎ আলমগীর হোসেন উদীয়মান সাংবাদিক তৈরি করেন। কে কোন বিষয়ে মেধাবী বা আগ্রহী তা খুঁজে বের করে তাকে সেই দায়িত্ব দেন।

ইতিমধ্যে দেশের গণমাধ্যমে ‘বার্তা২৪.কম’ নিজের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে। আর নতুন কিছুর প্রত্যয়ে প্রতিদিনই এগিয়ে চলেছে। সংবাদে ইনফোগ্রাফিক্স উপস্থাপন করে পাঠকদের আকৃষ্ট করার কাজটি করা হচ্ছে সযত্নে।

‘নিউ মিডিয়া’র মাল্টিমিডিয়াকেন্দ্রিক যে সাংবাদিকতার কথা আজ থেকে ১০ বছর আগে তিনি ভেবেছিলেন সেটাই আজ জনপ্রিয় ও বাস্তব। শুধু জনপ্রিয় নয়, এটি ব্যবসা সফল মিডিয়াও। সারা দেশজুড়ে অনেক অনলাইন মিডিয়া এসেছে আবার তা গুটিয়েও গেছে। কিন্তু গোছানো আর সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে অনলাইন মিডিয়ায় ব্যবসা সফল হয়ে টিকে থাকা সম্ভব। স্যোশাল মিডিয়ার কল্যাণে সাংবাদিকতার ধরন এখন অনেকটাই বদলে গেছে। সংবাদ হয়ে উঠছে সংক্ষিপ্ত তথ্য।

সংবাদ এখন ‘টু ওয়ে’ ইন্টারঅ্যাকটিভ মিডিয়া অর্থাৎ প্রতিটি সংবাদে পাঠক তার মন্তব্য দিয়ে সরাসরি অংশগ্রহণ করছে। এতে সাংবাদিকদের অনেকটাই চাপে থাকতে হয়। সামান্য কোনো ভুলেও পাঠক কঠিন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।

নতুনত্বের এবারের যাত্রায় ‘বার্তা২৪.কম’ সাফল্য অর্জন করুক, হয়ে উঠুক সারা বিশ্বের কোটি বাঙালির জনপ্রিয় আর অন্যতম সংবাদমাধ্যম। ‘বাংলা, বাঙালির সংবাদ সারথি’ হয়ে বিরামহীনভাবে নিরন্তন এগিয়ে যাক অপ্রতিরোধ্য বার্তা২৪.কম। শুভকামনা...

   

বরিশালের শত বছরের ঐতিহ্যের স্মারক শীতলপাটি



এস এল টি তুহিন, করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের পাটিকররা তাদের নিপুণ হাতের তৈরি শীতলপাটির জন্য বিখ্যাত।

উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের কাজলাকাঠী গ্রাম, রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাঠালিয়া, রাজাপুর গ্রাম ও গারুড়িয়া ইউনিয়নের সুখী নীলগঞ্জ ও হেলেঞ্চা গ্রামে এখনো তৈরি হয়, ঐতিহ্যের অনন্য স্মারক দেশ বিখ্যাত শীতলপাটি।

এই উপজেলায় এখন এক হাজারের বেশি পরিবার শীতলপাটি তৈরি করে সংসার চালাচ্ছে।

উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামে প্রবেশ করে যতদূর দু’চোখ যায়, দেখা মেলে পাইত্রাগাছের বাগান। গ্রামীণ সড়কের দুই পাশে দেখা মেলে বড় বড় পাইত্রা বা মোর্তাগাছের ঝোপ। বাড়ির আঙিনা, পরিত্যক্ত ফসলি জমি, পুকুর পাড়, সব জায়গাতেই বর্ষজীবী উদ্ভিদ তরতাজা পাইত্রাগাছ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গ্রামীণ জনপদের আভিজাত্যের স্মারক শীতলপাটি তৈরি হয়, এই পাইত্রাগাছের বেতি দিয়ে।

জানা গেছে, এসব গ্রামে পাইত্রাগাছের আবাদ হয়ে আসছে শত শত বছর ধরে। পাটিকরদের পূর্বপুরুষেরা যে পেশায় নিয়োজিত ছিলেন, আজও সেই পেশা ধরে রেখেছেন বাকেরগঞ্জের পাটিকররা।

এখনো এই সব গ্রামে ‘পাটিকর’ পেশায় টিকে আছে প্রায় এক হাজার পরিবার। আর তাদের সবার পেশাই শীতলপাটি বুনন। ফলে, উপজেলার এসব গ্রাম এখন ‘পাটিকর গ্রাম’ নামে পরিচিত।

সরেজমিন দেখা যায়, কাঁঠালিয়া, রাজাপুর ও গারুড়িয়া ইউনিয়নের সুখী নীলগঞ্জ ও হেলেঞ্চা গ্রামে এখনো গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই ছোট ছোট টিনশেড ও আধাপাকা ঘরগুলোর বারান্দায় নারী-পুরুষ ও শিশুরা মিলে নানান রঙের শীতলপাটি বুনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কাঁঠালিয়া গ্রামের সবিতা রানীর পরিবারের সবাই মিলে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটান শীতলপাটি তৈরি করতে। একটু সামনে এগুতেই কথা হয়, প্রিয়লাল পাটিকরের সঙ্গে।

তিনি বলেন, পরিবারের পাঁচ সদস্য মিলে একটি পাটি তৈরি করতে কয়েকদিন চলে যায়। প্রতিজনের দৈনিক মজুরি ১০০ টাকা করেও আসে না। তারপরেও কিছু করার নেই। বাপ-দাদার পেশা হিসেবে এখনো শীতল পাটি বুনে যাচ্ছি। একদিকে, এখন গরম বেড়েছে, অপরদিকে, বৈশাখ মাস চলছে। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বৈশাখী মেলায় শীতলপাটির চাহিদা থাকে। তাই, পাইকাররা এসে আমাদের এলাকা থেকে পাটি কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করেন।

স্থানীয় পাটিকররা জানান, এখানকার তৈরি শীতলপাটি আন্তর্জাতিক মানের। কিন্তু প্লাস্টিক পাটির কারণে বাজারে শীতলপাটির চাহিদা কমে গেছে। সে কারণে সরকারিভাবে বিদেশে শীতলপাটি রফতানির কোনো ব্যবস্থা করা হলে পাটিকরদের জীবন-জীবিকা ভালো চলতো।

পাশাপাশি শীতলপাটি টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তারা। নয়ত এই পেশায় টিকে থাকা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

এ বিষয়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসন, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাসহ জাইকা সংস্থার মাধ্যমে উপজেলার পাটিকরদের মধ্যে বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ফলে, নতুন নতুন ডিজাইনের শীতলপাটি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা তাদের সরকারি বিভিন্ন রকম সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

;

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;