শহর কলকাতার উত্থানপর্ব

সুতানুটি গ্রাম থেকে রাজধানী হলো কলকাতা



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
ব্রিটিশদের শাসন ও শোষণের নির্মমতার সাক্ষী সুতানুটি গ্রাম হয়ে উঠে রাজধানী কলকাতা / ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশদের শাসন ও শোষণের নির্মমতার সাক্ষী সুতানুটি গ্রাম হয়ে উঠে রাজধানী কলকাতা / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধীরে ধীরে বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রচুর মুনাফা ও জাঁকিয়ে বসার খবর খোদ ইংল্যান্ডে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে। কোম্পানির হেড অফিসেও বাংলার সাফল্য গোপন থাকেনি। আরও সম্ভাবনার দ্বার যে বাংলায় খুলছে, তা বুঝতে ভুল করেনি বাণিজ্যপ্রিয় ইংরেজরা।

ফলে উৎসাহিত ইংরেজ ব্যবসায়ীদের একটি দল ১৬৯৮ সালে ইংল্যান্ডে আরেকটি নতুন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠন করে। এর নাম রাখা হয় ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং পুরনো কোম্পানিটির নাম হয় লন্ডন কোম্পানি। নতুন কোম্পানির কর্তারা ইংল্যান্ডের রাজকীয় সনদ নিয়ে বাংলায় বাণিজ্য করতে আসেন এবং দিল্লির দরবারে একজন দূত পাঠিয়ে এ অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে সচেষ্ট হন। নতুন কোম্পানি বাণিজ্য-স্বত্ব লাভের জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালাতে লাগলেন। ফলে নতুন ও পুরনো, উভয় কোম্পানির মধ্যে প্রচণ্ড বিরোধ দেখা দেয়।

তৎকালীন নবাব আজিমুশ্বান কোম্পানিদ্বয়ের প্রতিযোগিতার কারণ ও উদ্দেশ্য অনুধাবনে ব্যর্থ হন। তিনি উভয় কোম্পানির কাছ থেকেই টাকা নেন বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার জন্য। পুরনো কোম্পানি তখন ১৬ হাজার টাকা এবং নতুন কোম্পানি ১৪ হাজার টাকা প্রদান করে।

এই পরিস্থিতিতে বিচক্ষণ ইংরেজগণ দেখলেন যে, দুইটি কোম্পানির কারণে উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং বাংলার নবাব দুই কোম্পানির কাছ থেকেই টাকা উসুল করছেন। তখন ১৭০২ সালে দুটি কোম্পানির কর্তারা একত্রে বসে নিজেরা সংযুক্ত হয়ে একটি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৭০৪ সালে এটি কার্যকর হওয়ায় একটি কোম্পানি একচ্ছত্রভাবে বাংলায় তৎপরতা চালাতে থাকে। যার পরিণতিতে ঐক্যবদ্ধ ইংরেজরা প্রবলভাবে শক্তিশালী হয় এবং শেষ পর্যন্ত পলাশীর চক্রান্তের মাধ্যমে বাংলা গ্রাসের করুণ ঘটনাটিও সফল করতে পারে।

আদিতে মাত্র ৩০ জন সৈন্য নিয়ে বার্ষিক তিন হাজার টাকা খাজনায় দূরদর্শী ইংরেজরা বাংলার মাটিতে পা রাখার শক্ত জায়গা তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছিল কলকাতাকে কেন্দ্র করে। কালক্রমে সেটাই বিশাল আকার ধারণ করে কলকাতা হয় তাদের বাংলা ও ভারত দখলের ভিত্তিমূল। জব চার্নক পরিকল্পিত কলকাতা পরিণত হয় দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশে ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসনের কেন্দ্রবিন্দু।

কলকাতার কর্মকর্তাদের তদবির ও তৎপরতায় ১৬৯০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় বাণিজ্য সনদ পায়। তারপর একে একে বাড়তে থাকে বাণিজ্য কুঠি। ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজ কলকাতা দখল করলেও তা ধরে রাখতে পারেননি; পরের বছরই ইংরেজ কোম্পানি ফের দখল নেয় শহরের। তারপর আস্তে আস্তে বাংলায় প্রতিপত্তি বাড়িয়ে পলাশীর ষড়যন্ত্রমূলক বিজয়ের পর ১৭৯৩ সালে কোম্পানি বাংলার যাবতীয় নিজামত বা স্বায়ত্তশাসনের অবলুপ্তি ঘটিয়ে কায়েম করে তাদের মৌরসি পাট্টা। কোম্পানি শাসন ও ব্রিটিশ রাজশক্তির প্রত্যক্ষ শাসনের প্রথমার্ধে কলকাতা ছিল একই সঙ্গে বাংলা ও ভারতের রাজধানী।

কলকাতায় আশ্রয় নিয়ে ইংরেজরা শুধু বাংলা বা ভারত রাজনৈতিকভাবে দখল ও শাসন-শোষণই করেনি, সমাজ-অর্থনীতি-শিক্ষা-ধর্ম-দর্শন ইত্যাদি জীবনের সকল ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। বাংলার সব কিছু লুটে নিয়ে চরম দুর্ভিক্ষ দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, ঔপনিবেশিক দখলদার-শক্তি, জনতাকে বুভুক্ষ রেখে সাহেবি ও মোসাহেবি সমাজে ভোজসভায় পরস্পরকে লক্ষ্য করে রুটির টুকরো ছুড়ে মারার খেলা খেলে।

ইংরেজ পৃষ্ঠপোষকতায়-সৃষ্ট নব্য-ধনী শোভাবাজারের রাজা নবকৃষ্ণ দেবের বাড়িতে মদের চৌবাচ্চায় পদ্মফুল ভাসিয়ে সকলে মিলে মুখে করে পাইপে টেনে মদ্যপানের আমোদ-আহ্লাদে লিপ্ত হন। চরম নির্মমতায় গ্রাম-গঞ্জ থেকে ধরে আনা প্রতিবাদী মানুষদের বেঁধে ওড়ানো হয় তোপের মুখে। কাঠের তক্তায় গর্ত করে আটক প্রজার পা দু'টি ঢুকিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বীভৎস নির্যাতন চালায়। পরবর্তী প্রায় ২০০ বছর ধরে সাধারণ মানুষের ওপরে চলতে থাকে এহেন ঔপনিবেশিক নিপীড়ন।

বাংলা তথা ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের নির্মমতার সাক্ষী হয়ে বিকশিত হতে থাকে সুতানুটি গ্রাম থেকে রাজধানী কলকাতা।

আরও পড়ুন: ১৬৯৯ সালে প্রেসিডেন্সি হয় কলকাতা

আরও পড়ুন: জব চার্নকের কলকাতা

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বদলে ইংরেজদের কাছে গুরুত্ব পায় কলকাতা

   

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;

৪ লাখ বছর আগে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ লাখ বছর আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করে এই গোত্রের মানুষ পরে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সাইবেরিয়ায় নতুন একটি এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ১৭ হাজার বছর আগে হোমিনিনস (Hominins) গোত্রের মানুষের উপস্থিতি ছিল। এই গোত্রের মানুষ ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বাস করতেন। সেখান থেকে তারা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের এক গবেষক।

১৬ এপ্রিল চেক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জন জেনসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ তথ্য প্রকাশ করেন। গবেষণাবিষয়ক সংবাদ সাময়িকী নিউ সায়েন্সটিস্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জন জেনসেন বলেন, আমরা আগে যে ধারণা করতাম, তারও আগে থেকে হোমিনিনস গোত্রের মানুষ সাইবেরিয়ার ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বসবাস করতেন। ৪ লাখ ১৭ বছর আগে থেকেই তারা এই এলাকায় বসবাস করতে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থান ছিল উত্তর অক্ষাংশে।

তিনি বলেন, আরেকটি আদিম গোত্রের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ৪৫ হাজার বছর আগে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

;