‘কিশোরগঞ্জের বেগম রোকেয়া’ শাহনাজ কবীর



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
নিজ কার্যালয়ে 'কিশোরগঞ্জের বেগম রোকেয়া’ শাহনাজ কবীর/ ছবি: সংগৃহীত

নিজ কার্যালয়ে 'কিশোরগঞ্জের বেগম রোকেয়া’ শাহনাজ কবীর/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একই সঙ্গে তিনি লড়ছেন শরীরের ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সার এবং সমাজের অন্ধকার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। জীবনের প্রদীপ হাতে আলোর শিখা নিয়ে ছুটে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তিনি যুদ্ধ করছেন নারীর স্বাস্থ্য, স্বীকৃতি, শিক্ষা, প্রগতি ও আত্মোন্নয়নের জন্য।

কিশোরগঞ্জের শিক্ষা ও উন্নয়নের ইতিহাসে নারী জাগরণের উজ্জ্বল মুখচ্ছবি তিনি। লড়াকু শিক্ষয়েত্রী, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট শাহনাজ কবীর হার-না-মানা সংগ্রামশীলতার পথে চলে স্থাপন করেছেন অনন্য দৃষ্টান্ত। তাকে সবাই শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় সম্বোধন করেন ‘কিশোরগঞ্জের বেগম রোকেয়া’ নামে।

আদর্শবান পুলিশ অফিসার পিতার কাছ থেকে তিনি পেয়েছেন লড়াকু মনোবৃত্তি, নীতি-নৈতিকতা, অধ্যবসায়, নিয়ম ও নিষ্ঠা। বৃহত্তর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোণার সীমানায় বৃহত্তর সিলেটের হবিগঞ্জের জলমগ্ন হাওরের জন্মভূমি থেকে পেয়েছেন মানবিক উদারতা।

পিতার কর্মসূত্রে নৈসর্গিক বাংলাদেশের বহু স্থানে বসবাসের অভিজ্ঞতায় অর্জন করেছেন মানুষ ও প্রকৃতির প্রতি অসীম ভালোবাসা। গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন উচ্চশিক্ষা। দেশ-বিদেশ থেকে নিয়েছেন শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ। দিনে দিনে নিজেকে তৈরি করেছেন আদর্শ শিক্ষকের অবয়বে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/18/1552906112571.jpg

সুগভীর মমতা নিয়ে শাহনাজ কবীর শিক্ষকতার মহৎ পেশা গ্রহণ করে কঠোর শ্রম ও কর্মনিষ্ঠায় আরোহণ করেছেন উচ্চতম সম্মানের আসনে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে শতবর্ষস্পর্শী কিশোরগঞ্জ এস.ভি. সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষয়েত্রী হয়ে তিনি যখন এলেন, তখন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি অবক্ষয়ের মুখে।

কিন্তু অতি অল্প সময়ে ঐতিহ্য ও সুনামের দিক থেকে অস্তগামী একটি স্কুলকে অলৌকিক জাদুবলে হৃত-মর্যাদার আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন শাহনাজ। স্কুলের সাফল্যের সূত্রে সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে ‘কিশোরগঞ্জের বেগম রোকেয়া’ শাহনাজ কবীরের সুখ্যাতি।

নিজের পেশাগত সুনাম ও প্রতিষ্ঠানের সুখ্যাতি সমুন্নত রাখতে শাহনাজ কবীর পালন করেন চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা। ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের নিয়ে পরিবারের মতো গড়ে তুলেন স্কুলকে। ফলও পান হাতেনাতে। শুধু জেলা বা বিভাগের মধ্যেই নয়, দেশের সেরা স্কুলের কাতারে চলে আসে এস.ভি. স্কুল। তার নিজের নামও চলে আসে দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের তালিকায়।

শুধু পড়াশোনা নয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কাজেও তিনি নিজে ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়োজিত করেছেন সাফল্যের সঙ্গে। গান, বাজনা, আবৃত্তি, নৃত্য, বিতর্ক, বিজ্ঞানমেলার মাধ্যমে বিকশিত করেছেন বহু শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা। বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ প্রীতির ফলিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে সবুজে শোভিত করার মাধ্যমে। তপোবন-সদৃশ এস.ভি. স্কুলের ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণে কোণে ও শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের গোপন অলিন্দে তিনি কর্ম ও কীর্তির মাধ্যমে জীবন্ত করে রেখেছেন নিজেকে। কিশোরগঞ্জবাসীর কাছে হয়েছেন আদর্শ শিক্ষকের আলোকিত মডেল। 

সমাজের আলোকিত গুণিজনদের বিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়মিত আলাপচারিতা ও সভার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করেছেন শিক্ষার্থীদের। শ্রেণী কক্ষের সীমিত পরিসর ডিঙিয়ে শিক্ষার্থীরা যেন সফল মানুষের কথা শুনে জীবন সংগ্রামের কঠিন পথ পাড়ি দিতে পারেন, শাহনাজ কবীর সেই চেষ্টাই অব্যাহত রেখেছেন। 

জীবনমুখী ও সজীব শিক্ষয়েত্রী শাহনাজ কবীর কর্মকে মনে করেন ধর্মের মতো পবিত্র। কাজের ব্যস্ততায় টের পান না নিজের ভেতরের অসুস্থতা। অবস্থা খারাপের দিকে চলে গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে জানতে পারেন, তার ক্যান্সার হয়েছে, রোগটির নাম ‘মাল্টিপল মাইলোমা’। 

মোটেও ভেঙে পড়েননি তিনি। সৃষ্টিকর্তা ও নিজের সুকর্মের প্রতি ভরসা রেখে লড়াই শুরু করেন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে। কেমোথেরাপি আর কঠিন চিকিৎসা, নিয়মানুবর্তিতা ও লড়াকু-সাহসী মনোবৃত্তির মাধ্যমে নিজেকে সচল ও কর্মমুখর রাখতে সচেষ্ট হন তিনি। প্রিয় শিক্ষাঙ্গন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে কর্মনিষ্ঠ থেকে উপভোগ করেন জীবনকে এবং জীবনের প্রতিটি মূল্যবান সময়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/18/1552906133135.jpg

শাহনাজ কবীর ব্যক্তিগত যন্ত্রণা, কষ্ট ও পরিশ্রমকে হাসিমুখে বরণ করে শিক্ষা ও নারী উন্নয়নের পথে চলতে চলতে এক সময় কলম হাতে তুলে নেন। রচনা করেন ‘ক্যান্সার ও ভালোবাসা’ নামের জীবনঘনিষ্ঠ গ্রন্থ। যে সাহস ও লড়াইয়ের চেতনা তিনি সারা জীবন লালন করেছেন, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে লড়তে সেই অকুতোভয় কথাগুলোই মানুষকে জানিয়ে যান তিনি বেদনার্ত অক্ষরে। 

ব্রহ্মপুত্র আর মেঘনার দুহিতা নরসুন্দা নদী তীরের প্রাচীন জনপদ কিশোরগঞ্জের মাটি ও মানুষকে অবলম্বন করে পুরো দেশবাসীকে শাহনাজ জানিয়ে যান তার সংগ্রাম ও লড়াইয়ের কথা, নারীর শিক্ষা ও অগ্রগতির সংগ্রামের কথা। ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতাকে জয় করে সমাজের জন্য নিবেদিত হওয়ার কথা। 

একদা তিনি যখন থাকবেন না, তখন তার কর্ম ও লেখনি অনাগতকালের মানুষকে মনে করিয়ে দেবে ‘কিশোরগঞ্জের বেগম রোকেয়া’ নামে পরিচিত লড়াকু শিক্ষয়েত্রী শাহনাজ কবীরকে। সবাই জানবে, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার মতো শাহনাজ কবীর নামে একজন লড়াকু শিক্ষয়েত্রী এসেছিলেন এই জনপদে, ভাটিবাংলার জলছলছল শ্যামলিমাময় ভূগোল কিশোরগঞ্জে।

এই লেখাটি লেখার সময়ও শাহনাজ কবীর বিদেশে একটি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখান থেকে এই কঠিন পরিস্থিতিতেও তিনি প্রতিদিন তার প্রিয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের খোঁজ নেন বলে জানা গেছে।

   

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;