সমুদ্রের বালুচরে অবকাশের মারমেইড জীবন



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
মারমেইড বিচ রিসোর্ট/ছবি: বার্তা২৪.কম

মারমেইড বিচ রিসোর্ট/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মারমেইড বিচ রিসোর্ট (কক্সবাজার) থেকে ফিরে: সকালে জানালা গলে চোখ মেললেই বিস্তৃত বালুচর। কাঠের বারান্দায় এসে পড়েছে ভোরের রক্তিম সূর্যের লাল আভা। যেন দরজা খুলে পা বাড়ালেই সাগরের বালুতে ডুবে যাবে পা। সমুদ্রের লোনা পানি এসে ধুয়ে দিয়ে যাবে।

এই রুমগুলোকে বলা হয় বিচ বাংলো। রুম থেকে বের হলে কাঠের বারান্দার সামনেই ঘাসের ওপর তরতর করে বেড়ে উঠছে একটি বড়ই গাছ। এরই মধ্যে সূর্য আরও আলো নিয়ে ধরা দিতে থাকে। যেন দিনের আলোকে ঠেলে নিয়ে আসছে সাগরের ঢেউ। বিচ বাংলোর এই রুমগুলোতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা রয়েছে। কারণ একেবারে বাংলো থেকে না বের হলে পাশের বাংলোর কাউকে চোখে পড়ে না।

গেলো ফেব্রুয়ারির ছুটির দিনগুলো যেন কেটেছে এক আভিজাত্যময় বিশ্রামে। যেখানে চাইলেই নিজেকে নিয়ে ভাবা যায়। সময়কে বেধে রাখা যায়। নিজের জন্য নিজের যত্ন নেয়া যায়। পেঁচার দ্বীপের এই মারমেইড বিচ রিসোর্টে প্রতিটি খাবারই সতেজ আর সজীব। সাগরের সতেজ হাওয়া আর সজীব খাবার আর নিজের একান্ত সময় এই হচ্ছে মারমেইড লাইফ।

কক্সবাজার থেকে পশ্চিমে মেরিন ড্রাইভ ধরে এগোলে বাম পার্শ্বে পাহাড় আর ডান পার্শ্বে ঝাউ গাছের সারি। এরপর বালুচর আর সাগরের ঢেউ। হিমছড়ি পেরিয়ে ইনানী পৌছানোর আগেই পেঁচারদিয়া গ্রামে গড়ে উঠেছে পেঁচার দ্বীপ। আর সেখানে রেজু খালকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মনোরম মারমেইড বিচ রিসোর্ট।

এখানের বিচের পাশে কাঠের উচুঁ পাটাতনে হাঁটার জায়গা। পাটাতন ধরে ঝুলছে বড় ডিম্বাকৃতির বাতি। সেখানে একটি নৌকা এমনভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে, যেন বহু বছর আগে এখানে এসে হারিয়ে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নিমো।

হরেক রকমের গাছকে এড়িয়ে নীল সাগরের পাড়ে নামলে সেখানে দৌড়ে বেড়াচ্ছে লাল কাঁকড়ার দল। এই কাঁকড়াদের সঙ্গে খেলে বেড়ানো যায় ঘণ্টা ধরে। কয়েকটি কাঁকড়া যেন আমাকে দেখেও দাঁড়িয়ে ছিল! কৌতুহল নিয়ে একটু একটু করে এগোতেই দৌড়ে বর্ষা-তলোয়ার নিয়ে বালুর ভেতরে গোপন ডেরায় ঢুকে যায় তারা।

এখানে রুমগুলো নির্মাণে প্রাকৃতিক বস্তুই ব্যবহৃত হয়েছে বেশি। আবার স্রেফ কুটিরের মতোই রয়েছে কিছু ঘর। তবে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে ভেতরে। যেমন গোসলখানাটাই সাজানো হয়েছে খুব প্রাকৃতিক ভাবে। প্লাস্টিকের বোতলের শ্যাম্পুর বদলে কাঁচের শিশিতে দেয়া হয়েছে ভেষজ শ্যাম্পু। এখানকার ইয়োগা সেন্টার, স্পা, নৌকা ভ্রমণ, ব্যায়ামাগারে ঘুরেও নিজেরে অবসরকে উদযাপন করা যায়। 

এই পুরো রিসোর্ট জুড়েই রয়েছে ফুলের ছড়াছড়ি। আর ফুলগুলো ফুটেও কিন্তু এই মারমেইড রিসোর্ট আঙ্গিনাতেই। সকালে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়বে হয়তো একটি টেবিলে পানির বোতলের পাশে সাঁজিয়ে রাখা হয়েছে দুটি জবা ফুল। আর এখানে প্রবেশের দিনই স্বাগত পানীয় হিসেবে থাকে সদ্য গাছ থেকে পারা ডাব। আর ফুলের কথা যদি বলা হয়, তবে পুরো মারমেইডই ফুলের বাগান।

নেই কোন কোলাহল। কোন যন্ত্রের হাঁকডাক পাওয়া যাবে না। বিকেলের রোদ যখন পড়ে যেতে থাকে তখন কুঠির বা বাংলার সামনের বেঞ্চে গাঁ এলিয়ে দিয়ে সূর্যাস্তটা যেন জীবনের সিনেমার মতোই মনে হবে। রয়েছে নৌকা নিয়ে রেজু খালে ভ্রমণ করে সন্ধ্যার আলো আর অন্ধকারে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের সুযোগ।

ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে তখন ভারা পূর্ণিমা। এখানে সাগরপাড়ে খাটিয়াতে শুয়ে আকাশপানে তাকালাম। পুরো চাঁদটা যেন আমার। আর তুলার মতো ভেসে বেড়ানো মেঘকে পর্দা বানিয়ে চাঁদ যেন লুকোচুরি করতে চাইছে।

 

এখানে রয়েছে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা। আর মারমেইডের নিরাপত্তা রক্ষী আর কর্মীরাও নিয়োজিত থাকেন সবসময় নিরাপত্তায়। তাই ভাটার সময় সাগরে যেতে চাইলে বাধার মুখে পড়তে হবে।

মারমেইডের সবচেয়ে আকর্ষনীয় সেবার মধ্যে অবশ্যই খাবার। সমুদ্রের পারে সামুদ্রিক মাছের প্রাধান্য থাকবে, এটাইতো স্বাভাবিক। তবে লবস্টার, স্কুইড আর চিংড়ির দিয়েই রয়েছে ৪০ এর ওপর খাবার। আর এখানে যে মুরগির মাংস খাওয়ানো হয়, এই মুরগিগুলো স্থানীয় গ্রাম থেকেই কেনা হয়। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, খাবারের মশলা আর অন্যান্য উপাদান। ধনিয়া, লেটুস, পুদিনা আর অন্য সবজিগুলো এখানেই চাষ করা হয়। আর এখানকার কর্মীরাই সেখানে নিজেদের এই শখের কাজগুলো করে থাকে।

মারমেইডের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে কথা হলো এসব নিয়ে। তিনি বললেন, এখানে বাজারের সেরা মশলাটা নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। আর গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সকল সম্ভাব্য সেবাই আমরা প্রদান করে থাকি।

তিনি বলেন, এখানে কর্মীদের মানবিক মূল্যবোধ এবং দায়িত্ব সর্ম্পকে সচেতন করা হয়, শিক্ষা দেয়া হয়। কর্মীরা যেন নিজেদের কাজটিকে ভালবাসতে পারে, এই প্রতিষ্ঠানটিকে ভালবাসতে পারেন, সেই চেষ্টা করা হয়। আর সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আগত অতিথিদের সেবা দেয়া।

মারমেইডের রেস্টুরেন্ট একেবারে সাগর পাড়ে। এখানে সন্ধ্যায় বসলে যেমন সাগরের গর্জন কানে আসবে তেমনি হিমেল হাওয়ায় মৃদু সঙ্গীতের সুর যেন অন্য এক মায়ার দুনিয়ায় প্রবেশ করায়। রেস্টুরেন্টে অতিথির জন্যে সেরা সব খাবার তৈরি করেন শেফ মোহাম্মদ রাজু। তিনি বলেন, এখানে অনেক বিদেশি অতিথিও আসেন। তারা বিভিন্ন ধরনের স্বাদে খাবারের কথা বলেন। যেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে মান ধরে রাখি আমরা। খাবারে উপাদানে যেসব ভেষজ ব্যবহৃত হয়, সেগুলো সবগুলোই এখানে চাষ হয়। আর আমাদের খাবার তৈরির ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ যত্ন দিয়ে থাকি।

কাঁঠালিচাপা ও  শুভ্র স্পাইডার লিলিফুলের গন্ধ নাগরিক ব্যস্ততা থেকে পালানো ক্লান্ত মনকে চাঙ্গা করে তোলে। এখানে বিভিন্ন রিসাইকলড ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভাস্কর্য। গাছের ডালে ডালে রং বেরং এর লণ্ঠন, দেয়ালের গ্রাফিতি, মজার মজার সব ফ্রেম আর তৈলচিত্রের প্রদর্শন মারমেইডের বাঁকে বাঁকে চিত্রপট পাল্টে দেয়।

মারমেইডে ব্যস্ততার সময় যেমন থমকে থাকে, তেমনি অবসর আর সুস্থ্য সময়টা কাটতে থাকে দিনের আলোর সঙ্গেই। মারমেইডের ভালবাসা ছেড়ে আসতে ইচ্ছে করবে না। প্রকৃতির অমোঘ মায়ায় জড়িয়ে রাখতে চায়।

   

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;