করপোরেট 'নারী দিবস'এ আমার মা কই!



মাজেদুল নয়ন; স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
নারী দিবসের প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

নারী দিবসের প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

  • Font increase
  • Font Decrease

সকালেই ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা হলো। ভাত চুলায় বসিয়ে বাবার সঙ্গে এক প্রস্তর ঝগড়া শেষে ফোন দিলেন। অনেকক্ষণ ধরে ক্ষোভ ঝাড়লেন। এটা খুবই চমৎকার রসায়ন যে, এই বাঙালি সমাজে অধিকাংশ সন্তানরাই মায়েদের মুখে শুনতে পেরেছেন, 'জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল, তোর বাবার সঙ্গে ঘর বাঁধা।' তবে এক অমোঘ ভালবাসায় মায়েরা সংসারগুলোকে টিকিয়ে রেখেছেন কয়েক দশক ধরে। অন্তত গেলো শতাব্দীতে যারা বেড়ে উঠেছেন, তাদের কাছে এই চিত্র মোটামুটি একই রকম।

মায়ের ক্ষোভ শেষ হলে, যখন জানতে চাইলাম, আজকেতো নারী দিবস। জানেন নাকি? হয়তো প্রশ্ন না শুনেই বাবাকে নিয়ে আরও কিছু অভিযোগ প্রকাশিত হলো। বোঝা গেলো বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নয়। আর এই দিবস তার জন্য ভিন্ন কিছুও নয়। বরং জীবন সংগ্রামেই তিনি নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করে গিয়েছেন, লড়াই করে যাচ্ছেন। সেখানে কোন কোম্পানি এসে উনাকে অধিকারের কথা বলে যাননি৷

অন্তত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী দিবস উদযাপন যতটা নারীরা নিজ থেকে সামনে এগিয়ে আনতে পেরেছে তার চেয়ে একটি 'ত্বক ফর্সাকারী স্নো' কোম্পানির ব্যাপক প্রচারণাতেই গত দশকের গোঁড়ার দিকে হৈ-হুল্লোড় তৈরি হয়। যেখানে অধিকারের সচেতনতার চাইতে উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যে উদযাপনে বারবার ত্বক নিয়ে ব্যবসা করা কোম্পানিগুলো সামনে এগিয়ে আসে৷

করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো তার প্রচারে আর উদযাপনে বারবারই এগিয়ে আনে সকল উৎসবকে। যেখানে অধিকার প্রতিষ্ঠার বদলে প্রচারণার হৈ-হুল্লোড় লক্ষণীয় থাকে। যেখানে গণমাধ্যমে প্রকাশিত আর প্রচারিত ছবিতে গ্লামারের বিষয়টি থাকে ব্যাপকভাবে।

আজ ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। তবে আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে দেশের প্রায় সকল অফিসে বৃহস্পতিবার ৭ মার্চেই পালিত হয়েছে দিবসটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই দুনিয়ায় ছবি আপলোডে রঙিন হয়েছে দিনটি। তবে ৭ মার্চ কেনো পালিত করা হচ্ছে!

বাঙালির জীবনে ৭ মার্চ ঐতিহাসিক৷ ৪৮ বছর আগে রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্র কণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন, 'এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম...।' ৭ মার্চে নারী, পুরুষ, সকল বাঙালির অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে আর কি অনুপ্রেরণা লাগে! যারা ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর থেকে অনুধাবন করে শুনবেন, গায়ের লোম কাঁটা দিয়ে উঠবে৷ সকল পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বেড়িয়ে আসার জন্য মনকে অনুপ্রাণিত করবে ভাষণ। সেই ৭ মার্চে কেনো অনুপ্রেরণার জন্য উদযাপন করতে হবে 'নারী দিবস'!

অফিস ছুটি থাকবে বলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি আপ করার জন্যই কি একদিন আগেই পালন করতে হলো দিনটি! হয়তো করপোরেট চাহিদাই তা। অথচ নারীকে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হতে হবে ঘরে, পথে ঘাটে, সমাজের সবখানেই। কারণ আমার মা'য়েরা সেখানেই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন যুগের পর যুগ ধরে। বাসে উঠতে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন নারীরা। এখনো চা দোকানের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় পুরুষের লালসা চোখের দৃষ্টির দরজা বন্ধ হয়নি৷ ঘরের কাজের মূল্য পায়নি আমাদের মায়েরা।

এখনো দেশের প্রান্তিক নারীদের কাছে পৌঁছায়নি নারী দিবসের প্রতিপাদ্য। করপোরেট আর এনজিও সেক্টর ছবি তোলা ছাড়া কিছু করেছে, এমন উদাহরণ খোঁজা কষ্টের হবে। কারণ দিবসটি পালনের জন্য প্রান্তিক পর্যায়ের নারীকে এখনো টার্গেট গ্রুপ হিসেবে মূল্যায়নে আনেনি করপোরেট বা এনজিও'রা।

১৯১৭ সালে সোভিয়েত রাশিয়ায় নারীদের ভোটাধিকার পাওয়ার মাধ্যমে ৮ মার্চ নারী দিবসের যাত্রা। তাই দিবসটির সত্যিকারের মূল্যায়ন ধরে রাখতে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকেই মূল্যায়িত করতে হবে৷ যা ঘর থেকে শুরু করে কর্মস্থল আর দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। আর যখন দিবসটির প্রতিপাদ্য পৌঁছে যাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে, আমার মাও প্রতিবাদ করতে পারবেন, সমাজের শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে, তখনই ৮ মার্চের নারী দিবস আমাদের জন্য হয়ে উঠবে সার্থক দিবস।

   

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;

৪ লাখ বছর আগে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ লাখ বছর আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করে এই গোত্রের মানুষ পরে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সাইবেরিয়ায় নতুন একটি এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ১৭ হাজার বছর আগে হোমিনিনস (Hominins) গোত্রের মানুষের উপস্থিতি ছিল। এই গোত্রের মানুষ ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বাস করতেন। সেখান থেকে তারা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের এক গবেষক।

১৬ এপ্রিল চেক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জন জেনসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ তথ্য প্রকাশ করেন। গবেষণাবিষয়ক সংবাদ সাময়িকী নিউ সায়েন্সটিস্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জন জেনসেন বলেন, আমরা আগে যে ধারণা করতাম, তারও আগে থেকে হোমিনিনস গোত্রের মানুষ সাইবেরিয়ার ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বসবাস করতেন। ৪ লাখ ১৭ বছর আগে থেকেই তারা এই এলাকায় বসবাস করতে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থান ছিল উত্তর অক্ষাংশে।

তিনি বলেন, আরেকটি আদিম গোত্রের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ৪৫ হাজার বছর আগে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

;