মানবতার রং, পর্তুগালে বাংলাদেশি শারমিন মৌয়ের চিত্রকর্ম



নাঈম হাসান পাভেল, লিসবন, পর্তুগাল থেকে
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্তুগালের রাজধানী মেট্রোপলিটান লিসবনের ব্যস্ততম এলাকা আলমিরান্তে রেইস। লিসবন মিউনিসিপ্যালিটির বৃহৎ দু’টি ওয়ার্ড সান্তা মারিয়া মাইওর এবং অ্যারিওস। পুরনো সব স্থাপত্য এবং পৃথীবির প্রায় ৭৯ দেশের ভিন্ন ভিন্ন মানুষদের বসবাস এই এলাকাগুলোতে। এই এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় পর্তুগিজ কমিউনিটি, ভিন্ন ভিন্ন দেশের মানুষ আর ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির অভিবাসীরা মিলে এই এলাকা মাল্টিকালচারাল মানুষদের এলাকা হিসেবে পরিচিত।

লিসবনের এই জোনটি সবচেয়ে বেশি মাল্টিকালচারাল এবং ভিন্ন ভিন্ন মানুষদের বসবাসের কারণে শহরের এই এলাকাটি খানিকটা ভিন্ন। ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতির মিশ্রণে অনেকটাই রঙিন। সব সময়ই বিশেষ এই একটি এলাকায় উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যায়। যেখানে স্থানীয় পর্তুগিজদের সাথে সমানতালে অভিবাসী সম্প্রদায়ও সংযুক্ত থাকেন।

এবার তাই লিসবন মিউনিসিপ্যালিটি ও লারগো রেসিডেন্সিয়াসের সহযোগিতায় গাবীব আলমিরান্তে রেইস নামের স্থানীয় একটি অ্যাসোসিয়েশন ভিন্ন এক উদ্যোগ নিয়েছে। ৭৯ ভিন্ন দেশের অভিবাসীদের নিয়ে অন্যরকম আয়োজন প্রজেক্ট ‘নেক্সট স্টপ’ বা ‘পরবর্তী গন্তব্য’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/31/1554003808921.jpg

এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- অভিবাসী বিভিন্ন দেশের প্রতিভাবান শিল্পীদের খুঁজে বের করা এবং তাদের মধ্য থেকে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। দীর্ঘ বাছাইয়ের পর স্থানীয় শিল্পীসহ ৬০ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে গান, চিত্রকর্ম, থিয়েটার, পাপেট শো, নাচ ইত্যাদির শিল্পী।

প্রকল্পের চমক বা ভিন্নতা যেটি রয়েছে সেটি হলো- সম্পূর্ণ প্রকল্পটি যেমন শিল্পীদের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, নাচ, গান পরিবেশন, সব কিছুই লিসবন মাল্টিকালচারাল জোনের চারটি মেট্রো স্টেশনের (মার্তৃম-মুনিজ, ইন্তেন্দেন্তে, আন্জুস, অ্যারিওস) ভেতরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতা ও বাছাইয়ের মাধ্যমে ফেস্টিভালে ১৫ দেশের প্রায় ৬০ জন শিল্পী অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। এরমধ্যে দুইজন বাংলাদেশি শিল্পী অংশগ্রহণ করছেন। চিত্রকর্মে শারমিন মৌ এবং গানে কে এম মোস্তফা আনোয়ার।

গত ২৮ মার্চ তিনদিনের এই ফেস্টিভাল শুরু হয়। সেদিন আয়োজক ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারগণ ছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/31/1554003793041.jpg

বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের একজন শারমিন মৌয়ের চিত্রকর্ম দু’টি স্টেশনে উদ্ধোধনের দিন থেকে চার মাসের জন্য প্রদর্শিত হবে। চিত্রকর্মের নাম ‘মানবতার রং’; মূল বিষয় মানুষের ভেতরের রং।

শারমিন মৌ জানান, মানুষকে বাইরে আমরা ভিন্ন রূপে দেখলেও প্রত্যেকটা মানুষের ভেতরে লুকানো একটি মানুষ থাকে, লুকানো একটি ছবি থাকে, যেটি বাইরের রূপের সাথে অনেক সময় মেলে না। সমাজের মানুষের ভেতরের আসল রূপ ভিন্ন হয়, হিংস্র হয়; অনেক সময় কোমল হয়। এসব রুপ চিত্রকর্মে তুলে ধরতে চেয়েছি।

শারমিন দীর্ঘ সময় ধরে পর্তুগালে বসবাস করছেন। তিনি পর্তুগালে বাংলাদেশকে তার রং তুলিতে তুলে ধরছেন প্রতিনিয়তই। স্থানীয় পর্তুগিজদের সাথে সমান তালে তার মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। পাশাপাশি তুলে ধরছেন নিজের দেশীয় সংস্কৃতি ও চিত্রকর্ম। পর্তুগালে বাংলাদেশি পোশাকে শারমিন মৌয়ের ফ্যাশন শো স্থানীয় কমিউনিটিতে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/31/1554003774207.jpg

ফেস্টিভালে অংশগ্রহণকারী আরেক গর্বিত বাংলাদেশি গবেষণারত শিল্পী কে এম মোস্তফা আনোয়ার। ‘নেক্সট স্টপ’ ফেস্টিভালে ‘মোস্তফা ও বন্ধুরা’ শিরোনামে একটি কনসার্ট করেছেন তিনি। এছাড়াও মেট্রো স্টেশনগুলোতে অডিওতে বাংলা ভাষার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের নানা তথ্যমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পর্তুগালে বাংলাদেশের সংগীত সংস্কৃতি তুলে ধরছেন এই সাধক। বাংলা গান এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে পরিচিত করাতে দীর্ঘ সময় ধরে পর্তুগালের ফেস্টিভ্যালগুলোতে তিনি পরিবেশনা করে থাকেন। ভিন্ন ভিন্ন ভাষা দক্ষতায় তিনি বাংলা গানের অনুবাদ করেও পরিবেশন করেন। বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষ ছাড়াও পর্তুগালের স্থানীয় অনেক ভক্ত, অনুরাগী রয়েছে মোস্তফা আনোয়ারের।

প্রকল্পটির অন্যতম পরিচালক মার্তা সিলভা বলেন, লিসবনের অ্যারিওস ওয়ার্ডের আলমিরান্তে রেইস এলাকাটি সবচেয়ে বেশি মাল্টিকালচারাল। ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, সংস্কৃতির মানুষদের মিশ্রণে এই এলাকা অনেকটাই রঙিন। সব সময়ই এই এলাকায় উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যায়। যা ভিন্ন একটি পরিবেশ তৈরি করে। আমাদের এই প্রকল্পটির একই রকম উদ্দেশ্য নিয়ে করা। যাতে করে স্থানীয় মানুষদের সাথে অভিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের সংস্কৃতির বিনিময়ের মাধ্যমে রঙিন একটি শহর হবে লিসবন। আমাদের প্রকল্পটি সম্পূর্ণ মেট্রোর ভেতরে এখানে শুধু স্থানীয় মানুষেরা আসেন না! অনেক বিদেশিও আছেন বিশেষ করে তাদের কাছেও তুলে ধরা যে, সুন্দর মাল্টিকালচারাল পরিবেশ আমাদের এখানে আছে।

   

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;

ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী

ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রুনাই দারুসসালামে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের জন্য ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী বা ওপেন হাউজ আয়োজন করেছে দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশন। গত বৃহস্পতিবারের (এপ্রিল ১১) এই আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি, ভারতীয় এবং স্থানীয় নাগরিকরা।

ব্রুনাই দারুসসালামে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অতিথিদের স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার সুমনা তার বক্তব্যে জানান, আয়োজিত ওপেন হাউজটি ব্রুনাইয়ে তার শেষ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। কারণ তার মেয়াদ শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে।

হাইকমিশনার বলেন, ব্রুনাইতে তার বন্ধুদের আন্তরিকতা তাকে মুগ্ধ করেছে। সুলতানাতে তার মেয়াদকালে সকল সহযোগিতা পেয়েছেন এবং ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন।

তিনি বলেন, ব্রুনাই এবং বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক মিলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই ঈদ-উল-ফিতরের পরের পুনর্মিলনী বা ওপেন হাউজ। যেখানে সকলের সঙ্গে দেখা হয় এবং ভাবের আদান প্রদান করা যায়।

কাম্পং তাানাহ জাম্বুতে অবস্থিত চ্যান্সারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

;

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ (৩১), আলি আজগর ও মো. সোহেল মিয়া।

বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদের দিন স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে দেশটির পেরাক রাজ্যের কাম্পার এলাকায় উত্তর-দক্ষিণ এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গাড়িতে থাকা ৮ বাংলাদেশির সবাই ক্যামেরন হাইল্যান্ডে একটি ফার্মে কাজ করতেন। এ খবর প্রকাশ করেছে দেশটির জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদপত্র বারনামা।

গাড়িচালক কবির হোসেন ( ৩২), সাইফুল ইসলাম ( ২৫), রাজু মিয়া (২৭) সোহেল রানা (৩০ ) অক্ষত অবস্থায় রয়েছেন। তবে মোহাম্মদ সোহেল নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় পার্শ্ববর্তি তাপাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কাম্পার পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, দুপুর ১ টা ৪৯ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুয়ালালামপুর আশার পথে চলন্ত গাড়ির টায়ার ফেটে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান এবং গার্ডরেলে ধাক্কা লেগে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে পেছন থেকে একটি লরি সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

;