চট্টগ্রামে নড়বড়ে অবস্থানে স্বাধীনতা পরিষদ
বিজিএমইএ নির্বাচন
তিন দিন পরেই দেশের ব্যবসায়ীদের অন্যতম শক্তিশালী সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচন। পাঁচ বছর পর গণতান্ত্রিকভাবে ভোটের মাধ্যমে হতে চলেছে এ নির্বাচন। কি হবে এ নির্বাচনে? কারা জিতবে আর কারা হারবে তা নিয়ে চলছে নানা হিসেব নিকেশ।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে পরিষদ-ফোরাম জোটের পক্ষ থেকে যে ৯ জন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। কারণ স্বাধীনতা পরিষদ থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক পদের বিপরীতে কোনো প্রার্থীই দেওয়া হয়নি। ফলে পরিষদ-ফোরামের প্রার্থী খন্দকার বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ মুছা, মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এ এম চৌধুরী, এ এম মাহবুব চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, অঞ্জন শেখর দাশ ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা, এনামুল আজিজ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছেন।
বিজিএমইএ এর নতুন পরিচালনা পর্ষদে চট্টগ্রামের ৯ পরিচালকের সবাই জোটের পক্ষ থেকেই আসন গ্রহণ করবেন। এটিকে পরিষদ-ফোরাম জোট থেকে স্বাধীনতা পরিষদকে দুর্বল বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদ থেকে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রামে পরিষদ-ফোরাম থেকে যেসকল প্রার্থী দেওয়া হয়েছে তাদেরই সমর্থন করেছে সংগঠনটি। আর সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও চট্টগ্রাম অঞ্চলের হিসেব নিকেশ পাল্টে যেতে পারে।
পরিষদ-ফোরাম প্যানেল লিডার মোহাম্মাদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'পরিষদ-ফোরামের মধ্যে আগেও সমঝোতা ছিলো যা এখনো বলবৎ আছে। স্বাধীনতা পরিষদ নির্বাচন চেয়েছে। আমরাও নির্বাচন করছি। আমাদের নির্বাচনে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তারাতো পুরো প্যানেলই দিতে পারেনি। তারা চট্টগ্রামে নয় পরিচালকের জায়গায় একজনও প্রার্থী দিতে পারেনি। অন্যদিকে ঢাকায় ২৬ পরিচালকের আসনে ১৮ জন প্রার্থী দিয়েছে। সেখানে ৮টি পরিচালক পদের জন্য তারা প্রার্থীই দিতে পারেনি।'
এদিকে স্বাধীনতা পরিষদ থেকে পরিষদ-ফোরামের সাথে সমঝোতা করার চেষ্টা করছে বলে বিজিএমইএ-তে গুঞ্জন রয়েছে। তবে স্বাধীনতা পরিষদের পক্ষ থেকে সমঝোতা চাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছেন পরিষদের প্যানেল লিডার ও ডিএসএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম।
এসব বিষয়ে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'আমরা চাইলে চট্টগ্রামেও প্রার্থী দিতে পারতাম। কিন্তু যারা পরিষদ-ফোরামের পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরই আমরা সমর্থন দিয়েছি। আর ঢাকায় আমরা ১৮ টি পরিচালক পদের জন্য প্রার্থী দিয়েছি। আশা করছি আমাদের সবাই পাস করবেন। আর সভাপতি নির্বাচনের জন্য আমাদের ১৮টি পরিচালকের ভোটই যথেষ্ট। তাছাড়া কে কাকে ভোট দেবে তাতো বলা যায় না। তাদের (পরিষদ-ফোরাম) প্রার্থী বেশি বলে জয় তাদেরই হবে এমন কোনো বিষয় নেই।'
আসছে ৬ এপ্রিল বিজিএমইএ এর ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য ভোট দেবেন ১ হাজার ৯৫৬ জন ভোটার। আর নির্বাচিত ৩৫ পরিচালক মিলে ১৪ এপ্রিল নির্বাচন করবেন বিজিএমইএ এর নতুন সভাপতি।