উপজেলা নির্বাচন

রাত পোহালেই ভোট, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল, বার্তা ২৪.কম
কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম, ছবি: বার্তা২৪

কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই বরিশাল জেলার ৭ উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। এদিকে, ভোট গ্রহণে নির্বাচনী সকল সরঞ্জামাদি সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে ভোট সামগ্রী হস্তান্তর করে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, জেলার বাবুগঞ্জ, হিজলা, উজিরপুর, বানারীপাড়া, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিলসহ সকল ধরণের নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে গেছে কর্মকর্তারা। আর তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইকবাল আখতার জানান, উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কোথাও কোন কিছুর ঘাটতি নেই।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের যাবতীয় সরঞ্জামাদি প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পুলিশ এবং আনসারের সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৫ প্লাটুন সদস্য নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র অনুযায়ী প্রতি উপজেলায় সর্বনিম্ন ১ প্লাটুন এবং সর্বোচ্চ ৩ প্লাটুন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও কোস্টগার্ডের ৭ সেকশন সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে দায়িত্ব পালন করবে।’

অপরদিকে বিজিবি, কোস্টগার্ডের পাশাপাশি র‌্যাব, জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক সদস্য ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনে কাজ করবেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলা প্রশাসন, ভোলা ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের ২৭ জন নির্বাহী হাকিম নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।

বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় পর্যায়ে বরিশাল জেলার ৭ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৮৫টি কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ১০ লাখ ৬২ হাজার ৭৩৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এর মধ্যে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ২৮৯ জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৬ জন মহিলা ভোটার রয়েছে।

তবে এই ৭ উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার রয়েছে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এবং সর্বনিম্ন ভোটার রয়েছে হিজলা উপজেলায়। বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫৮ জন এবং হিজলা উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ৬৯১জন।

কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, নির্বাচনে ৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এর মধ্যে ৪ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ইতোমধ্যে তারা বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

অপরদিকে নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় প্রতিটি পদে একজন করে প্রার্থী হওয়ায় তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে উপজেলায় নির্বাচনে বেশ কয়েকটি উপজেলায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ খুব একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা।

   

নরসিংদীর দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীতে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল ) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে নরসিংদী সদর ও পলাশ উপজেলার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বিতরণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম।

জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে নরসিংদী সদর ও পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন , ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আগামী ৮ মে উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা ভোট: প্রথম ধাপে ভোটের মাঠ ছাড়লেন প্রায় ২০০ প্রার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথমে ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাড়িয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯৮ জন। এদিকে সব মিলিয়ে তিনপদে ভোটের মাঠে লড়ছেন ১ হাজার ৬৯৩ জন প্রার্থী।

সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য জানান।

প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় তিনপদে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৬৯৬ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ৯৫ জন প্রার্থী প্রত্যাহার করায় এখন ভোটের মাঠে আছেন ৬০১ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন মনোনয় দাখিল করলেও ৭৯ জন প্রত্যাহার করায় এখন রয়েছেন ৬৪৫ জন। সংরক্ষিত নারী পদের জন্য জমা পড়েছিল ৪৭১টি মনোনয়নপত্র। এর মধ্যে ২৪ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ফলে এখন রয়েছেন ৪৪৭ জন।

এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিধান বাধ্যতামূলক ছিল। এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছে কমিশন। সে অনুযায়ী আগামী ৮ মে দেশের ১৫০ উপজেলায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট হবে।

নির্ধারিত দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হবে। ব্যালট ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দুই মাধ্যমেই এবার ভোটগ্রহণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল রোববার। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।
আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার। এদিন কমিশন ডেকেছে ইসি।

;

১৫০ উপজেলার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ মঙ্গলবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫০ পরিষদে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে রোববার। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল সোমবার (২২ এপ্রিল)। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। আর প্রতীক নিয়েই প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল রোববার। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার। এদিন কমিশন ডেকেছে ইসি।

;

দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভোটের লড়াইয়ে এমপির ভাই-ছেলে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম লালমনিরহাট
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ছোট ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।

মাহবুবুজ্জামান আহমেদ রবিবার (২১ এপ্রিল) অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর আগে রাকিবুজ্জামান আহমেদ শনিবার একইভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোয়েব সিদ্দিকী জানান, চেয়ারম্যান পদে ওই দুই জন ছাড়াও তৌহিদুল ইসলাম নামের আরেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাবেক মন্ত্রীপুত্র রাকিবুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর তার চাচা মাহবুবুজ্জামান আহমেদ পরপর দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নেমে নৌকার প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জনসভায় সমালোচনা করেন।

ওই সময়ে নির্বাচনী সভায় তিনি ভাই নূরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষোদাগার করেন; এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

মন্ত্রী ও দলীয় এমপির কোনো স্বজন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তারপরও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের এমন কোনো নির্দেশনার কথা তিনি জানেন না। নির্বাচন করবেন বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আর বড় পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। এটি নতুন কিছু নয়; এর আগেও ছিল।’

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাই মাহাবুবুজ্জামান আহম্মেদ বলেন, ‘তার (নুরুজ্জামান) আগে থেকেই আমি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ ও দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। তার সঙ্গে আমার সম্পর্কও নেই। সে কারণে, আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই।’

এদিকে আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত সদ্যসাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মনোনয়ন দাখিল করেন।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকি আদিতমারী উপজেলায় দুইজন প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

;