উপজেলার দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৪১ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে শতকরা ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ পদে সবচেয়ে কম আট দশমিক ৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। আর সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায়, ৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

উপজেলার দ্বিতীয় ধাপের ভোটে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ১২২টি উপজেলার মধ্যে ১১৪টি ফল ঘোষণা করেছেন ইসি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭৪, জাতীয় পার্টির ২ ও স্বতন্ত্র ৩৮ জন চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের ৭৪ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে ৫১ জন ভোটের লড়াইয়ে আর ২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১২২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ঐদিন নির্বাচনের ফল নিয়ে ফেরার পথে বাঘাইছড়িতে ব্রাশফায়ারে সাত জন নিহত হন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ১১৪টি উপজেলার ফলাফল প্রস্তুত করেছে। তবে রাঙ্গামাটি জেলার আট উপজেলার ফল ঘোষণা হয়নি।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ভোটে দুটি উপজেলায় ১০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। ৩০ শতাংশ বা তার কম ভোট পড়েছে অন্তত ১৩ উপজেলায়। অপরদিকে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে চার উপজেলায়। ৬১ থেকে ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছে নয়টি উপজেলায়। 

প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও জৈন্তাপুর উপজেলায়। দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় এক লাখ ৭০ হাজার ৪৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ১৪ হাজার ৭০৪ জন ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ছয় হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আবু জাহিদ।

আর জৈন্তাপুর উপজেলায় এক লাখ ৬ হাজার ৬২২ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১০ হাজার ছয় জন। এ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামাল আহমদ পাঁচ হাজার ৬৬০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দুটি উপজেলায় ২০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। এর মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলায় ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ ও সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ১৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। বগুড়া সদর উপজেলায় তিন লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮ ভোটারের মধ্যে ৫০ হাজার ৮৬১টি ভোট পড়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের মো. আবু সুফিয়ান জয় পেয়েছেন।

অপরদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় এক লাখ ৭৯ হাজার ৩০২টি ভোটের মধ্যে ২৯ হাজার ৬৩৩টি ভোট পড়েছে। জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক আহমদ। এছাড়া ২১ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে ৯ উপজেলায়। সেগুলো হচ্ছে- বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ২৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ধুনটে ২৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ ও শাজাহানপুরে ২৭ দশমিক ২৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এছাড়া নওগাঁর মান্দায় ২৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ, পাবনার বেড়ায় ২৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ঈশ্বরদীতে ২৬ দশমিক ৬৩ ও সাঁথিয়ায় ২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এছাড়া সিলেটের গোপালগঞ্জে ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এদিকে সর্বোচ্চ ৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায়। এখানে ৩১ হাজার ৮৯৩ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ২৫ হাজার ৪০৯টি। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিমল কান্তি চাকমা ১৯ হাজার ৮৩৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে একই জেলার দীঘিনালায় ৭৮ দশমিক ১২ শতাংশ। এ উপজেলায় ৭৫ হাজার ৫৪০ জন ভোটারের মধ্যে ৫৯ হাজার ৯টি ভোট পড়েছে। আওয়ামী লীগের মো. কাশেম ৩৭ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া ৭১ দশমিক ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৩১ জন ভোটারের মধ্যে ৯৭ হাজার ৭৮১টি ভোট পড়েছে। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী আসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

৭১ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলা। এখানে ৬৭ হাজার ২৮টি ভোটের মধ্যে ৪৭ হাজার ৭৮৮টি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে ৪৭ হাজার দুই ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মোস্তফা কামাল।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ভোটার উপস্থিতি কম। বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়া ও দলীয় প্রতীকে ভোট হওয়ায় প্রার্থী সংখ্যা কমে গেছে। এ কারণে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আগ্রহ কম ছিল। তবে দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় প্রথম ধাপে বেশি ভোট পড়েছে।

এর আগে গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়ার হার বেশি। পার্বত্য এলাকাগুলোতে ভোট পড়ার হার বেশি দেখা গেছে। তবে সব মিলিয়ে প্রথম ধাপের (৪৩ শতাংশ) চেয়ে বেশি ভোটের হার হবে আশা করি।’

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;