উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ‘ভোট’কে চূড়ান্ত লড়াই মানছে আ.লীগ



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আর কয়েক ঘণ্টা পর শুরু হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। সারাদেশের ২৯৯টি আসনে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ হবে। এবার মোট ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ। এই ভোটের মাধ্যমেই নির্ধারণ হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। ভোট যুদ্ধে দল ও প্রার্থীদের জয়-পরাজয় দেখার প্রতীক্ষায় পুরো জাতি।

টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অনেকটাই নির্ভার। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসী এবারও তাদের ভোট দেবে বলে মনে করেন দলটির শীর্ষনেতারা। তাই  এই ‘ভোট’কে চূড়ান্ত লড়াই হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীনরা। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে, দেশের উন্নয়নের সুফল সুষমভাবে ছড়িয়ে দিয়ে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন তারা।

আওয়ামী লীগের পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য তুলনামূলক অনুকূল পরিবেশে হচ্ছে। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সুবিধা তারা পাচ্ছে। গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের চিত্রকে তুলে ধরে এবার তারা ভোটাদের কাছে গেছে। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়াও পেয়েছেন তারা। 

তাদের মতে, এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হলে জামায়াত-শিবিরের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন সম্ভব হবে। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবারই প্রথম অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচন ছিল বিএনপিবিহীন, অনেকটা একতরফা ও নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ১০ বছর পর ভোটের লড়াইয়ে মুখোমুখী হচ্ছে নৌকা ও ধানের শীষ।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শীতের হিম হাওয়ায় নির্বাচনের উত্তাপ ছড়াতে থাকে। নানা নাটকীয়তা, সংশয় ও উৎকণ্ঠা দূর করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল। সবদলের অংশগ্রহণেই হতে চলেছে নির্বাচন।

গত নভেম্বরের শেষ থেকে দলগুলো প্রার্থী বাছাই, মনোনয়নপ্রত্র গ্রহণ, দাখিল, যাচাই-বাছাই, প্রত্যাহার ও সর্বশেষ প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় প্রার্থীদের একটানা প্রচারণা। দেশের বেশির ভাগ আসনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের ছিল একচেটিয়া প্রচারণা। তবে বিএনপি ও ঐক্যফন্টের প্রার্থীরা ‘কৌশলী প্রচরণা’ চালিয়েছেন। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা সমান ভাবেই প্রচারণা চালিয়েছেন। গত ১৮ দিনের প্রচার লড়াইয়েও আভাস মিলেছে, ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে, সমানে সমান।’

নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেশের কমপক্ষে ২ শতাধিক আসনে হামলা, মামলা ও বাধার সম্মুখীন হয়েছেন সরকারবিরোধী জোটের প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও আক্রান্ত হয়েছেন অনেকগুলো আসনে। আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলা, নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

দেশের বিভিন্ন জেলা ও সংসদীয় আসন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলেও তথাকথিত ‘উৎসবমুখর’ হচ্ছে না এবারের নির্বাচন। উৎসবের আমেজ শুধু সরকারি দলের প্রার্থীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বিরোধী জোটের প্রার্থীরা অনেকটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে নীরবে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। অনেক আসনে ধানের শীষের পোস্টারও সাঁটাতে পারেননি ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা। বিপরীতে সারাদেশ ছেয়ে গেছে নৌকার নির্বাচনী পোস্টারে। শহরের অলি-গলি, পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জে পর্যন্ত সর্বত্র ভাসছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গান ‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়াবার নির্বাচন। এই নির্বাচন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাত থেকে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে বাংলাদেশ সাম্রাজ্যবাদীদের দখলে চলে যাবে। শায়েখ রহমান বাংলা ভাইদের মতো মানুষ দেশের জনগণের ওপর আবারো নির্যাতন চালাবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে ভোট বিপ্লব হবে দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে। যারা সন্ত্রাস দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায় তাদেরকে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেবে না।’

   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;