জনগণ ফুঁসে উঠলে দায় ক্ষমতাসীনদের : মান্না
সারাদেশে পরাজয়ের গ্লানি ঢাকার চেষ্টা করছেন ক্ষমতাসীনরা। জোর করে জেতার চেষ্টা করলে জনগণ যদি ফুঁসে ওঠে, সেই পরিণতির জন্য ক্ষমতাসীনরা দায়ী থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও বগুড়া-২ আসনের প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্না।
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, এখন পর্যন্ত বহু প্রার্থী গ্রেফতার করা হয়েছে এবং নির্বাচনে প্রার্থীতা নিয়ে নাটক করা হচ্ছে। এতে সমগ্র বিশ্ব উদ্বিগ্ন। আজকের পত্রিকায় দেখলাম, জাতিসংঘ পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটা একটা নারকীয় পরিবেশ, এটা কোনো নির্বাচনী পরিবেশ নয়, এভাবে নির্বাচন যদি হয়- তাহলে একপক্ষ জোর করে জেতার চেষ্টা করবে। তখন জনগণ যদি ফুঁসে ওঠে, সেই পরিণতির জন্য এরাই দায়ী থাকবে, যারা এখন ক্ষমতায় আছে।
তিনি বলেন, সারাদেশ থেকে খবর পাচ্ছি- উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁও থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম- সব জায়গাতেই মানুষের মধ্যে একটা স্বত:স্ফূর্ততা, এক ধরণের ঢল। মানুষের মধ্যে একটা দৃঢ় মনোভাব, এবার তারা ভোট দিতে চায়। কিন্তু একটি পক্ষ মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে, সেজন্য সব রকম সন্ত্রাস করে ভোট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে আমি একটা কথা বলি, আমরা আগে বলতাম নির্বাচনী যুদ্ধ। আর এখন এটা নির্বাচনের নামে যুদ্ধ হচ্ছে। সরকারপক্ষ তাই করছে। রাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করে, সারাদেশে একই অবস্থা চলছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলি; কিন্তু কোনো কাজ হয় না। নির্বাচন কমিশন একটা ঠুঁটো জগন্নাথ। শুধু কথা শোনে, আর বলে। যেমন আজকেও উনি বলেছেন, আচ্ছা! এই কাগজটা আমি ডিসি সাহেবকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমি বললাম, তারপর তদন্ত করতে যদি চারদিন লাগে? তাহলে তো ভোটই শেষ হয়ে যাবে। উনি বলছেন, না তাড়াতাড়ি করবো। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরণের অ্যাকশন আমরা দেখতে পাইনি। আমরা সবাই মিলে অন্তত দুই-তিনবার নির্বাচন কমিশনের সাথে একসঙ্গে কথা বলেছি। এগুলোর কোনো ফলাফল আমরা পাইনি।