প্রচার শুরু, রাজশাহীতে মহাজোট-ঐক্যফ্রন্টের শক্ত লড়াইয়ের আভাস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে, ছবি: বার্তা২৪

নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিক প্রতীক বরাদ্দ। সেই সময় পর্যন্ত তর যেনো সইছে না নেতাকর্মীদের। সকাল থেকেই শুরু করেছে পোস্টার টাঙানোর কাজ। সব মিলিয়ে পুরো রাজশাহীজুড়ে প্রচারণার সাজসাজ রব পড়েছে। আর এ প্রচারণার শুরুতেই রাজশাহীর সবকটি আসনে এবার মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে শক্ত লড়াইয়ের আভাস মিলছে।

ইতিমধ্যে প্রচারণার সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজশাহীর ৬টি আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। দলীয় কোন্দলও মিটিয়ে ফেলেছেন তারা।

এবার শুরুতেই রাজশাহীর সবকটি আসনে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে শক্ত লড়াই হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে আগে থেকেই মাঠ গুছিয়ে রাখায় এখানে সব আসনে সুবিধায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে ১০ বছর পর মাঠে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেতে হতে পারে বিএনপি। কারণ রাজশাহী বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্তরা গত ১০ বছর ধরে ছিলেন এলাকা ছাড়া। এখনো অনেকে নিজ এলাকার মাটি ছুঁতে পারেন নি। এ অবস্থায় মাঠে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেতে হতে পারে বিএনপির প্রার্থীদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজশাহী আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটে যাওয়ায় প্রার্থীরা রয়েছেন ফুরফুরে। সব নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা নৌকাকে বিজয়ী করতে শপথও নিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপির কোন্দল এখনো জিইয়ে থাকায় শুরুতেই হোচট খেতে পারেন তাদের প্রার্থীরা। তবে এখনো পর্যন্ত রাজশাহীর ভোটের মাঠ গোছানো রয়েছে আওয়ামী লীগের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/10/1544424455204.gif

সোমবার আনুষ্ঠানিক প্রতীক বরাদ্দের আগেই মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণায় নেমে গেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার।

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে সবচেয়ে শক্ত লড়াই হবে এবার। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে লড়াই হবে বিএনপির ব্যারিস্টার আমিনুল হকের। প্রায় ১৭ বছর পর এ আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক। আর ১০ বছর ধরে এটি ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী। ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ওমর ফারুক চৌধুরী শক্ত অবস্থানে রয়েছেন এখানে। অন্যদিকে জঙ্গি মদদদানের অভিযোগ রয়েছে ব্যারিস্টার আমিনুলের বিরুদ্ধে। ১/১১ এর পর থেকে এলাকা থেকে লাপাত্তা ছিলেন তিনি। এবারেও মনোনয়ন বাতিল হলেও শেষ পর্যন্ত আপিলে টিকে যাওয়ায় লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি।

ফারুক চৌধুরী বলেন, আজ তিনি আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করলেও তার মাঠ গোছানো রয়েছে। তিনি বলেন, তার উন্নয়নের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন একজন জঙ্গী মদদদাতা। বর্তমান প্রজন্ম সেটা জেনে উন্নয়নের পক্ষে নৌকায় বেছে নিবে।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনে এবার ১০ বছর পর মুখোমুখি লড়াই হবে ১৪ দলের প্রার্থী বর্তমান এমপি ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে বিএনপির মিজানুর রহমান মিনুর। এখানে দুই প্রার্থীই শক্ত। তবে গেল সিটি নির্বাচনের প্রভাবে রাজশাহী সদরের বাতাস বাদশার দিকেই ভর করেছেন। বাদশাও সিটি নির্বাচনে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রাপ্ত ভোট হিসেব করেই সক্রিয় রয়েছেন মাঠে। তবে মিন্ওু বিএনপির শক্ত প্রার্থী।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুরে) আসনে বর্তমান এমপি আয়েন উদ্দিন গত ৫ বছর ধরে সক্রিয় রয়েছেন। এবারো তিনি মনোনয়ন পেয়ে মাঠে রয়েছেন সক্রিয়। তবে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। নির্বাচনী এলাকায় ‘বহিরাগত’ হিসেবে পরিচিত তিনি। এখানেও শক্ত লড়াই হতে পারে দুই প্রার্থীর মধ্যে।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রকৌশলী এনামুল হক। এ আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক আমলা আবু হেনা। ২০০৮ সালের আগে তিনি এলাকার এমপি ছিলেন। তার আমলেই বাগমারায় জঙ্গী উত্থান ঘটে। গত ১০ বছর বাগমারার মাটি ছুঁয়ে দেখেন নি তিনি। তার রাজনীতি রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল কেন্দ্রিক।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে এবার নতুন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে চমক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার এ আসনে চিকিৎসক নেতা ডা. মনসুর রহমান মাঝি হয়েছেন নৌকার। শুরু থেকে এ আসনে মনোনয়ন নিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হলেও এখন সব নেতারা মনসুর রহমানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। বর্তমান এমপি কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও এলাকায় এসে মনসুর রহমানের প্রতি একাত্ত্বতা প্রকাশ করেছেন। নৌকার পক্ষেই কাজ শুরু করেছেন। এ আসনে এবার নাটকীয়ভাবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা। গত ১০ বছরের বেশী সময় ধরে এলাকায় অনুপস্থিত নাদিম। নাদিম মোস্তফা ওই আসনের জনপ্রিয় বিএনপির নেতা।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বর্তমান এমপি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম শুরু থেকেই নৌকার পক্ষে ঝড় তুলেছেন। এ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী একাধিক নাশকতার মামালার আসামি বর্তমানে কারাবন্দি আবু সাঈদ চাঁদ। শাহরিয়ার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরীক্ষিত বাস্তবায়নে এলাকার মানুষ এবার দলমত নির্বিশেষে নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দলীয় সব সংকটও কেটে গেছে। লোকাল নেতা হিসেবে তৃণমুল বিএনপিতে চাঁদের জনপ্রিয়তা আছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে না এসে সারাদেশে অগ্নিসন্ত্রাসের যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিলো মানুষ এখনও তা ভুলেনি। বিএনপি-জামায়াত বারবার দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করেছে। মানুষ আর রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ধ্বংসযোগ্য চায়না। তারা চায় দেশের উন্নয়ন। আর দেশের উন্নয়ন করতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে তিনি পরীক্ষিত। তাই তার অবস্থান শক্ত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। শাহরিয়ার আলম জানান, তার মাঠ সাজানো রয়েছে। আজ বাঘার শাহদৌল্লাহর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন।

তৃণমুল ভোটাররা জানান পরপর দুইবার নির্বাচিত হয়ে এলাকায় নানামুখি উন্নয়ন করার কারণে শাহরিয়ারের পাল্লা অগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।

   

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করার অভিযোগে অপর প্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিবকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সংস্থাটির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান অভিযুক্তকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপের ০৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রথম আলো পত্রিকায় ‘নাটোরে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে সম্ভাব্য প্রার্থী ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণ’ শিরোনামে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় উক্ত পত্রিকায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বর্ণিত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থা হতে প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া সকল জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উল্লিখিত প্রতিবেদন ও পত্রিকান্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। এরূপ ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল অথবা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) আগামী ২২ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৪টা ১০ ঘটিকায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে দেলোয়ার হোসেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে আহত অবস্থায় তাকে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এই ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল কবীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

;