ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনের মাঠে থাকার পরামর্শ সম্পাদকদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনের মাঠে থাকার পরামর্শ সম্পাদকদের, ছবি: সংগৃহীত

ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনের মাঠে থাকার পরামর্শ সম্পাদকদের, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পত্রিকার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশান হোটেল লেকশোরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এমন আহ্বান জানান তারা।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পত্রিকার সম্পাদক ও ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রধানদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সরকার বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখেন।

এরপর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কাছে প্রশ্ন রাখেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান। তিনি প্রশ্নে জানতে চান, ‘ক্ষমতায় অথবা বিরোধী দলে গেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করবে কিনা।'

নাঈমুল ইসলাম খান পরে আরেক প্রশ্নে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঐক্যফ্রন্টের জনসভাগুলোতে সকল ধর্মীয়গ্রন্থ পাঠ করে সভার কার্যক্রম শুরু করেছে, পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রশান্তিমূলক আলোচনা হচ্ছে- এগুলো তাদের ঐক্যবদ্ধ চিন্তার ফসল কিনা?

ঐক্যফ্রন্টের কাছে তিনি আরও জানতে চান, ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট নিয়ে তাদের কোনো ঐক্যবদ্ধ চিন্তা আছে কি না? আর থাকলে তা নির্বাচনের আগে লিখিতভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করবেন কিনা?

বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, সভায় কামাল হোসেন সাংবাদিকদের কাছে জানতে চেয়েছেন, আপনারা নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে কি করলে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে?

ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উভয়েই এসব প্রশ্নের জবাব দেন।

ক্ষমতায় গেলে ঐক্যফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন- বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালেদী জানাতে চাইলে এর উত্তরে কামাল হোসেন বলেছেন, আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

মতবিনিময় সভা শেষে সাপ্তাহিক এর সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা সাংবাদিকদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্তকে আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। তাদেরকে নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকার কথাও বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, নির্বাচনে প্রতিকূল অবস্থা থাকবেই। কিন্তু মাঝে-মধ্যে নির্বাচন বয়কটের সুর ঐক্যফ্রন্টের কাছে শোনা যায়। যা সাধারণ মানুষসহ গণমাধ্যমকে ভড়কে দেয়। তাই এসব বক্তব্য পাল্টে আগামীর বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনে থাকার কথা বলা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, ঐক্যফ্রন্ট গণমাধ্যমে কাছে প্রকৃত চিত্র দেখতে চায়। তারা বলেছেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে অনেক ঘাটতি আছে। আমরা বলেছি, ঐক্যফ্রন্ট প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের নিকট যেতে পারে। এতে নির্বাচনের পরিবেশ অনেকটাই তৈরি হবে। তারা এসব বিষয়ে গণমাধ্যমের সহায়তা চেয়েছেন। জোটের নেতাকর্মীরা যাতে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে কাজ করতে পারেন।

ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সম্পাদকরা আমাদের নিকট তাদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন। নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষা করা যেমন সরকারের কর্তব্য তেমনি আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।’

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা সব রকমের সহযোগিতা সম্পাদকদের কাছ থেকে চাই।

মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন, দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, আমাদের নতুন সময় সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা, সাপ্তাহিক বুধবার সম্পাদক আমির খসরু, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, দিনকাল সম্পাদক রেজোয়ান সিদ্দিকী, ইনকিলাবের যুগ্ম-সম্পাদক মুন্সি আবদুল মান্নান, এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম, রয়টার্সের সিরাজুল ইসলাম কাদির, ডেইলি স্টারের প্লানিং এডিটর সাখাওয়াত লিটন, যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক আবু তাহের, বাংলাদেশের খবরের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন ও সমকালের চিফ রিপোর্টার লোটন একরামসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

দুই ঘন্টাব্যাপী মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জেএসডির আসম আবদুর রব, তানিয়া রব, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মনটু, সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমেদ ও গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সাথে বসলেন তারা। এই ফ্রন্টে বিএনপি, জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এই ৬টি রাজনৈতিক দল রয়েছে।

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর কূটনীতিকদের সাথেও মতবিনিময় করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শনিবার (১৭ নভেম্বর) বেসরকারি টেলিভিশনসহ অনলাইন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে ঐক্যফ্রন্টের।

   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;