খুলনা-৬: আ.লীগ-বিএনপিতে একাধিক প্রার্থী



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনা-৬ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনা-৬ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসন। জাতীয় সংসদের ১০৪ নং আসন এটি। সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষরা বিভিন্নভাবে বনের উপরে নির্ভরশীল।

ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার ক্ষত বয়ে বেড়ানো উপকূলীয় এ অঞ্চলটিতে অধিকাংশ জনসাধারণই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। এছাড়া অব্যাহত নদী ভাঙনে দিশেহারা খুলনার এ অঞ্চলের মানুষ। কখনো শাকবাড়িয়া আবার কখনো কপোতাক্ষের ভাঙনে প্রতিনিয়তই চরম আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটায় গ্রামবাসী। বিশেষত কয়রা উপজেলার ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধগুলো মেরামতের দাবি রয়েছে বহুদিন ধরে। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও কার্যত দীর্ঘমেয়াদী কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি কেউই। এসব কারণেই সাধারণ মানুষের নির্বাচন ভাবনায় উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে যোগ্য প্রার্থীর বিষয়টিই প্রাধান্য পাচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বয়ে চলেছে দেশের সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় এ অঞ্চলটিতে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন নিয়মিত। সভা-সমাবেশে যোগ দেবার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন অনেকে।

সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় প্যানা, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে জানান দিচ্ছে নির্বাচন সমাগত। প্রার্থীদের আনাগোনা আর তৎপরতা এলাকায় এনে দিয়েছে নির্বাচনী আমেজ। এখন পর্যন্ত এ আসনে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের একক প্রার্থী থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে রয়েছে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। বড় দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা না থাকলেও মূলত নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে নিজ দলীয় প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায়ের জন্য এ প্রার্থীজট হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে আগামী নির্বাচন জোটগতভাবে হবে, নাকি জোট ছাড়াই হবে- তা নিয়ে এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে রয়েছে নানামুখী আলোচনা।

খুলনা-৬ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, এ আসনে বিগত সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। যার অধিকাংশ সময়ই আসনটিতে জিতেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বর্তমানেও এ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট ও তৃণমূলের প্রার্থী মিলিয়ে অনেকের আনাগোনা।

অপরদিকে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের কোনো কার্যক্রম প্রকাশিত না হওয়ায় নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিচ্ছে বিএনপি। তবে তাদেরও একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে বলে জানা গেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই। তাদের ভেতরে প্রথম সারিতে যারা এগিয়ে আছেন তারা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাড. শেখ মো. নুরুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সোহরাব আলী সানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মণ্ডল।

অপরদিকে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভেতরে যারা এগিয়ে আছেন তারা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা, কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আব্দুল মজিদ।

দশম জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মনোনয়নে এ আসন থেকে নির্বাচনের আশা প্রকাশ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু। তিনি মহাজোটের মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় দুটি উপজেলায় নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।

এছাড়া চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হয়ে এ আসন থেকে নির্বাচনের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন জেলা সভাপতি মাওলানা গাজী নূর আহমেদ। তিনি নিয়মিত দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগে থেকেই এ দলের প্রার্থী ‘মহানগর জামায়াতের’ আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বিভিন্নভাবে তার প্রার্থিতার জানান দিয়েছেন। ২০ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তে এ আসনটি জামায়াতকে দেবার কথা শোনা যায়। জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস অসুস্থ রয়েছেন। তাই দলীয়ভাবে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী।


নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, খুলনা-৬ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫০ হাজার ৪০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৮১ হাজার একশ ৭৩ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ২২৩ জন।

উল্লেখ্য, কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পাইকগাছা উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অ্যাড. স ম বাবর আলী, ১৯৭৯ সালে বিএনপির অ্যাড. শেখ রাজ্জাক আলী, ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির মমিন উদ্দীন আহমেদ, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির সরদার জহুরুল হক, ১৯৯১ সালে জামায়াতের অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির অ্যাড. শেখ রাজ্জাক আলী, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন আওয়ামী লীগের অ্যাড. শেখ মো. নুরুল হক, ২০০১ সালে জামায়াতের অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের অ্যাড. মো. সোহরাব আলী সানা, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অ্যাড. শেখ মো. নুরুল হক। টানা ২ বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় এ আসনে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। যে কারণে আওয়ামী লীগের জনসমর্থনও বেড়েছে। তবে দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় আগামী নির্বাচনে আসনটি ধরে রাখা দলটির জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি জোটগতভাবে হয় তাহলে জোট-মহাজোটের প্রার্থী যারা হবেন মূল লড়াই হবে তাদের মধ্যে। আর যদি জোটগত ভাবে নির্বাচন না হয় তাহলে কোন দলের প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;