৭ আসনে আওয়ামী লীগের একক মনোনয়নপ্রত্যাশী



তপন কান্তি রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাসহ সাত জন। সোমবার (১২ নভেম্বর) মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমাদান কার্যক্ষম শেষ হওয়ার পর আটটি বুথে মনোনয়ন বিক্রির দায়িত্বে থাকা নেতারা এ তথ্য জানান।

যে সাতটি আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন একক প্রার্থী কিনেছেন সেগুলো হল- গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বরিশাল-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ হাসনাত আবদুল্লাহ।

বাগেরহাট-২ থেকে শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসন থেকে শেখ জুয়েল, মৌলভীবাজার-১ আসন থেকে শাহাবুদ্দিন ও নোয়াখালী-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার থেকে টানা  চারদিন মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়। এরপর সোমবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষ করে দলটি। চার দিনে চার হাজার ২৩টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এতে আসন প্রতি ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

শুরুদিন শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দুটি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে একটি ফরম কেনা হয়েছে শেখ হাসিনার নিজের আসন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনের জন্য। ওবায়দুল কাদের ফরমটি কিনে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লার কাছে হস্তান্তর করেন। শেখ হাসিনার জন্য কেনা অন্য ফরমটি কোন আসনের তা পরে প্রকাশ করা হবে বলে ওবায়দুল কাদের জানান।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনের পাশাপাশি তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জ (রংপুর-৬) আসনে নির্বাচন করে জয়ী হন। পরে তিনি রংপুর-৬ আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে ঐ আসনে এমপি হন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এবারও শিরীন শারমিন চৌধুরীর জন্য রংপুর-৬ আসনের মনোনয়ন ফরম কিনে চীপ হুইপ আ স ম ফিরোজের কাছে হস্তান্তর করেন ওবায়দুল কাদের। এরপর ওবায়দুল কাদেরের জন্য নোয়াখালী-৫ আসনের একটি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

   

'নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে'



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে শুধু প্রার্থী নয়, যে কেউ প্রভাব বিস্তার করবে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি আরও বলেন, এখানে কে কার আত্মীয় বা আত্মীয় নয় সেটা দেখার বিষয় নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের নয়। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে নরসিংদী জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, নির্বাচনটা হতে হবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। জাতীয় নির্বাচন থেকে আরও ভাল নির্বাচন হবে উপজেলা নির্বাচন। এজন্য যা যা করা দরকার তা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। নির্বাচনে যাতে কেউ প্রভাব বিস্তার না করেন সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কেউ যদি চাপ অনুভব করেন সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ করার অনুরোধ জানান ইসি।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মৌসুমী সরকার রাখীসহ জেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা, র‍্যাব ও জেলার ৬ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

;

মাগুরার দুই উপজেলায় ২৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ধাপের নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ২৯ জন প্রার্থীর সকলের মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে ২৯ জনের মনোনয়নই চূড়ান্ত ঘোষণা করেন নির্বাচন অফিস।

জেলা নির্বাচন অফিসার মাসুদুর রহমান জানান, বুধবার মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে ২৯ জনের মনোনয়নই চূড়ান্ত হয়েছে। যার মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জনের মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত হয়েছে। অপর দিকে শ্রীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জনের মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত হয়েছে।

যাচাই-বাছাই শেষে মাগুরা সদরের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমীর ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এ এইচ এম জাহিদুর রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সদরের কুচয়ামোড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন শিকদার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী নবীব আলী, আওয়ামী লীগের সমর্থক, সদরের কছুন্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মীর আব্দুল কুদ্দুস, আওয়ামী লীগের সমর্থক উত্তম কুমার বিশ্বাস।

অপর দিকে শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদের ৪ জন হচ্ছেন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ মিয়া মাহমুদুল গনি শাহীন, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম, আওয়ামী লীগের সমর্থক শরিয়াত উল্লাহ মিয়া রাজন, আওয়ামী লীগের সমর্থক খন্দকার আশরার এলাহী।

;

উপজেলা নির্বাচন: কুষ্টিয়ায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় মোট ১০ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদে ৩ জন এবং খোকসা উপজেলায় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৭ জন প্রার্থী।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচাই-বাছাইয়ে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদের তিনজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। খোকসা উপজেলার ছয়জনের প্রার্থিতা বৈধতা ঘোষণা করা হয় ও একজনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

সদর উপজেলা পরিষদের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজাউদ্দিন জোয়ারদার ও আবু আহাদ আল মামুন।

আর খোকসা উপজেলায় প্রার্থী রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম খান ও তার ছেলে শাওন মাহমুদ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আল মাসুম মোরশেদ শান্ত, ওসমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলামে স্ত্রী ছালেহা বেগম এবং ভাই সাইফুল ইসলাম। আর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে ওসমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলামের।

এছাড়াও দুই উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং খোকসা উপজেলার ৯ জনের মধ্যে ৮ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয় ও ১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ।

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় মোট ১০ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে এক জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে এবং ৯ জনে প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে একজনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে ও ১১ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

;

নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ, প্রার্থী বৈধ হলে ব্যবস্থা নেবে ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসনেকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় প্রার্থীর বৈধতা পেলে নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ৩১ তম কমিশন সভা শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই কথা বলেন।

ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, নাটোরের ঘটনাটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। ফৌজদারি অপরাধের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে। দুইজনকে ইতিমধ্যে আটক করেছে। এদের একজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

সুতরাং ক্রিমিনাল অফেন্সের বিষয়ে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর কমিশন সংক্রান্ত বিষয়ে আইনগত দিকটা দেখতে হবে। যিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তার পক্ষে যারা কাজ করেছেন তিনি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বৈধ হলে তখন সেটা নির্বাচন কমিশনের আওতায় আসবে। তখন নির্বাচন সংক্রান্ত আইন কানুন প্রতিফলিত হবে।

এদিকে নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসনেকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে স্বপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে তদন্তে সত্যতা পেয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি ।

 

;