নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রা শুরু, যাত্রী কারা?



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা জল্পনা-কল্পনা, সন্দেহ, উদ্বেগ শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার মধ্যদিয়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর সেই যাত্রার সমাপ্তি ঘটবে। কিন্তু নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রী হচ্ছেন কারা? উত্তর জানতে আরো কয়েকদিন লাগবে।

কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুসারে, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার দেওয়ার শেষ সময় ১৯ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ২২ নভেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর ও ভোটের দিন ২৩ ডিসেম্বর।

নির্বাচন মানে উৎসব, আমেজ। রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়ে পদ প্রত্যাশীদের আনাগোনা, দলীয় মনোনয়ন, নির্বাচনী ইশতেহার, প্রার্থীদের প্রচারণা সব কিছুই যেন আনন্দের। ইতোমধ্যেই তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোট, জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্ট। অন্যদিকে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট, ঐক্যফ্রন্ট নেতারা তফসিল নিয়ে অখুশি। এখন দেখার বিষয় তারা নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রী হন কি না?

বাংলাদেশে ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত প্রথম ৪টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ক্ষমতাসীন সরকারগুলোর অধীনে। যার তিনটিই ছিলো সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার। তবে ১৯৯১ সালের নির্বাচনটি করে সব দলের ঐকমত্যে গঠিত একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

১৯৯৬ সাল থেকে পরপর তিনটি নির্বাচন হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। ২০১১ সালে সংবিধানে সংশোধনী এনে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধানে ফিরে যায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনেই সম্পন্ন হয়।

২০১৪ সালের সেই নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। তত্ত্ববধায়ক সরকারসহ বেশকিছু দাবিতে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট তখন ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

ঐ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে আওয়মী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। বিরোধীজোটের কাছে ‘ওয়াকওভার’ পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আবারো পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতার বাইরে চলে যায় বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, টানা ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে বিএনপির শক্তি এখন ক্ষয়িষ্ণু। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে ‘ওয়াক ওভার’ দেওয়া ছিল তাদের চরম একটি রাজনৈতিক ভুল। যার খেসারত আজো দিতে হচ্ছে দলটির নেতা-কর্মীদের।

২০১৪ সালের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি প্রার্থীরা মনোনয়ন সংগ্রহ না করলে তখন আওয়ামী লীগের তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘কোনো ট্রেন স্টেশন ছেড়ে গেলে তাকে যেমন আবার ওই প্লাটফর্মে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তেমনি নতুন করে তফসিল ঘোষণা করাও সম্ভব নয়।’

পাঁচ বছর পর এবারের প্রেক্ষাপটও বিএনপি নেতা-কর্মীদের জন্য জটিল। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এখন কারাগারে বন্দী। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও প্রায় এক দশক হল বিদেশে পলাতক, সম্প্রতি আবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।

হাজার হাজার দলীয় নেতা-কর্মী মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত। এমন অবস্থায় ২০১৮ সালের নির্বাচনী ট্রেন এসে দাঁড়িয়েছে তাদের সামনে। যেন এক অগ্নিপরীক্ষা। দলীয় চেয়ারপার্সনকে মুক্ত না করে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত যেমন তারা নিতে পারছে না, ঠিক তেমনি আরেকবার নির্বাচন বর্জন করে ‘নির্বাচনী ট্রেন’ মিস করার খেসারত দিতে চাচ্ছেন না।

সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে গঠন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জোটে ড. কামাল হোসেনকে সামনে রাখা হলেওে এর মূল চালিকা শক্তি বিএনপি। তাদের ধরাণা ছিল সরকার হয়ত তাদের দাবি মেনে নিয়ে নমনীয় হবে। সে জন্য ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে দুই দফা সংলাপেও বসেন। কিন্তু ফলাফল হতাশাব্যঞ্জক। সংলাপে কিছু ইস্যুতে সরকার ছাড় দিলেও সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়েনি।

তাই বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের মূলদাবির একটাও পূরণ হয় নি। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে তফসিল পেছানোর আবদার করলেও কমিশন তফসিল ঘোষণা করে জানিয়ে দিল যে, নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে।

   

নরসিংদীর দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীতে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল ) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে নরসিংদী সদর ও পলাশ উপজেলার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বিতরণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম।

জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে নরসিংদী সদর ও পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন , ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আগামী ৮ মে উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা ভোট: প্রথম ধাপে ভোটের মাঠ ছাড়লেন প্রায় ২০০ প্রার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথমে ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাড়িয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯৮ জন। এদিকে সব মিলিয়ে তিনপদে ভোটের মাঠে লড়ছেন ১ হাজার ৬৯৩ জন প্রার্থী।

সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য জানান।

প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় তিনপদে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৬৯৬ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ৯৫ জন প্রার্থী প্রত্যাহার করায় এখন ভোটের মাঠে আছেন ৬০১ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন মনোনয় দাখিল করলেও ৭৯ জন প্রত্যাহার করায় এখন রয়েছেন ৬৪৫ জন। সংরক্ষিত নারী পদের জন্য জমা পড়েছিল ৪৭১টি মনোনয়নপত্র। এর মধ্যে ২৪ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ফলে এখন রয়েছেন ৪৪৭ জন।

এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিধান বাধ্যতামূলক ছিল। এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছে কমিশন। সে অনুযায়ী আগামী ৮ মে দেশের ১৫০ উপজেলায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট হবে।

নির্ধারিত দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হবে। ব্যালট ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দুই মাধ্যমেই এবার ভোটগ্রহণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল রোববার। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।
আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার। এদিন কমিশন ডেকেছে ইসি।

;

১৫০ উপজেলার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ মঙ্গলবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫০ পরিষদে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে রোববার। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল সোমবার (২২ এপ্রিল)। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। আর প্রতীক নিয়েই প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল রোববার। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার। এদিন কমিশন ডেকেছে ইসি।

;

দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভোটের লড়াইয়ে এমপির ভাই-ছেলে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম লালমনিরহাট
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ছোট ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।

মাহবুবুজ্জামান আহমেদ রবিবার (২১ এপ্রিল) অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর আগে রাকিবুজ্জামান আহমেদ শনিবার একইভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোয়েব সিদ্দিকী জানান, চেয়ারম্যান পদে ওই দুই জন ছাড়াও তৌহিদুল ইসলাম নামের আরেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাবেক মন্ত্রীপুত্র রাকিবুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর তার চাচা মাহবুবুজ্জামান আহমেদ পরপর দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নেমে নৌকার প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জনসভায় সমালোচনা করেন।

ওই সময়ে নির্বাচনী সভায় তিনি ভাই নূরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষোদাগার করেন; এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

মন্ত্রী ও দলীয় এমপির কোনো স্বজন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তারপরও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের এমন কোনো নির্দেশনার কথা তিনি জানেন না। নির্বাচন করবেন বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আর বড় পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। এটি নতুন কিছু নয়; এর আগেও ছিল।’

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাই মাহাবুবুজ্জামান আহম্মেদ বলেন, ‘তার (নুরুজ্জামান) আগে থেকেই আমি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ ও দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। তার সঙ্গে আমার সম্পর্কও নেই। সে কারণে, আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই।’

এদিকে আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত সদ্যসাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মনোনয়ন দাখিল করেন।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকি আদিতমারী উপজেলায় দুইজন প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

;