অঘটনের জন্ম দিতে চায় আ.লীগ, প্রস্তুত এরশাদ



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুর-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লাঙ্গল মার্কা হলেই জাতীয় পার্টির (জাপা) দুর্বল প্রার্থীও নির্বাচনে জয়ী হতেন। নির্বাচনী প্রচারণারও খুব একটা প্রয়োজন হতো না। কিন্তু এখন চিত্র একেবারেই উল্টো। আগের মতো নেই রংপুর অঞ্চলের ভোটারদের সস্তা আবেগ। রাজনীতিতে এরশাদের ডিগবাজি নাটকে ভারাক্রান্ত এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এতে করে দুর্গ খ্যাত রংপুরে এখন কঠিন পরীক্ষা দিতে হচ্ছে দলটিকে। অথচ এক সময় এরশাদ মানেই রংপুরকে বোঝানো হতো।

অতীত নির্বাচনের ইতিহাস বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে ভোটের লড়াইয়ে জাতীয় পার্টি বরাবরই এগিয়ে ছিল। ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি ১৭টি, আওয়ামী লীগ ৯টি এবং বিএনপির দখলে ছিল একটি আসন। অন্যান্য দল জয় পেয়েছিল ছয়টি আসনে। ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি ২১টি, আওয়ামী লীগ ৮টি, বিএনপি ৩টি আসন পায়। আর অন্যান্য দল পায় একটি আসন। ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের আসন কমে, আর বাড়ে বিএনপির। সে সময় বিএনপি ৯টি, আওয়ামী লীগ ৬টি, জাতীয় পার্টি ১৪টি আসন পায় এবং অন্যান্য দল ৪টি আসন পেয়েছিল।

তবে রাজনীতিতে জোট মহাজোটের নতুন মেরুকরণে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির দখলে ভাগ বসাতে থাকে আওয়ামী লীগ। এতে করে হোঁচট খেয়ে বসে এরশাদের জাতীয় পার্টি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৯টি, জাতীয় পার্টি ১৩টি এবং অন্যান্য দল একটি আসন পায়। আর সর্বশেষ বিএনপিহীন ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এরশাদের দুর্গের ভিত তছনছ করে এই বিভাগের ৩৩টি আসনের মধ্যে ২২টি আসনে জয় ছিনিয়ে নেন আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পায় মাত্র সাতটি। আর অন্যান্য দল পায় ৪টি আসন।

একের পর এক নির্বাচনে জাতীয় পার্টির শোচনীয় পরাজয় আর নিজ দুর্গ হাতছাড়া হওয়ায় বর্তমানে রংপুর সিটির মধ্য থেকে ২৫টি ওয়ার্ড ও সদর এলাকা নিয়ে গঠিত রংপুর-৩ আসনে সেই আগের উজ্জ্বলতা নেই।

এখানকার আওয়ামী লীগসহ বাম দলের নেতাদের দাবি, মহাজোটের বাইরে থেকে জাপার চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবার নির্বাচন করলে ঘটতে পারে অঘটন। আর সেই অঘটনের জন্ম ঠেকাতে এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে জাতীয় পার্টি। সঙ্গে রংপুর অঞ্চলে হারানো আসনগুলো ফিরে পেতেও চায় তারা।

এদিকে এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি সাংগঠনিকভাবে অনেকটা দুর্বল হওয়ায় রংপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। তাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা তুলে ধরে নৌকার প্রার্থী হতে গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যক্তি।

স্থানীয় ভোটারদের অভিমত, বিএনপি দুইবার ক্ষমতায় থেকে রংপুরের জন্য কিছুই করেনি। বরং রংপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষাবোর্ডকে সরিয়ে দিনাজপুরে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার নামে টালবাহানা করতে করতে সেটিও নিয়ে গেছেন দিনাজপুরে। এ কারণে বিএনপির প্রতি আস্থা নেই। এই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু ও সহ-সভাপতি কাওছার জামান বাবলা।

অন্যদিকে নয় বছরের শাসনামলে কোলের ছাওয়াল এরশাদ স্থানীয় জনগণের কাঙ্ক্ষিত দাবি পূরণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে জোটগত রাজনীতির মেরুকরণে ভিন্নতা এনে শেখ হাসিনা ও এইচ এম এরশাদ ক্ষমতার মসনদে বসে এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো পূরণ করেছেন। রংপুরকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলতে সবটাই করেছেন তারা। রংপুর বিভাগ, সিটি করপোরেশন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনসহ রংপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বর্তমান শাসকদলের নেক নজরে। উন্নয়নের ক্যালকুলেশনে জাতীয় পার্টির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী এখন আওয়ামী লীগ।

এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে এরশাদই রংপুর-৩ আসনে নির্বাচন করবেন। ইতোমধ্যে কাঙালি ভোজ, গণসংযোগ, বেশ কয়েকটি ছোট জনসভা করেছেন তিনি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার মনোনয়ন তদবিরে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববিসহ বেশ কয়েকজন। সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে পাড়া-মহল্লায় প্রচারণার পাশাপাশি ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন নৌকা প্রতীক প্রত্যাশীরা।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি বলেন, সস্তা আবেগ আর মায়াকান্না দিয়ে এখন ভোট হয় না। মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। কাজ দেখতে চায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরবাসীর জন্য অনেক কিছু করেছেন। এ কারণে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। শেখ হাসিনার ঋণ শোধ করতে নৌকা প্রতীকে ব্যালট বিপ্লব হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের কৃষক আবদুল হামিদ মিয়া, মাহিগঞ্জ এলাকার আসমত উল্লাহ বলেন, ‘আমরা তো বারবার লাঙ্গলে ভোট দিয়েছি। এরশাদকে জেল থেকে মুক্ত করেছি। কিন্তু আমাদের জন্য তিনি তো কিছুই করেননি। কয়েক দফায় এমপি নির্বাচিত হয়েও এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারেননি। বেশিরভাগ সময় তিনি ঢাকায় থাকেন। তাকে সুখ-দুঃখে কাছে পাওয়া যায় না। এ বিষয়টি প্রবীণ ভোটারদের পাশাপাশি তরুণ ভোটারদেরও ভাবাচ্ছে। তাই আসন্ন নির্বাচনে ভোটাররা নতুন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না।’

এরশাদের বাসার পাশের এলাকা শাপলা চত্বর। সেখানকার ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী জানান, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একজন সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে এরশাদকে জিততে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। সুযোগ সন্ধানী আচরণ ও কথা-কাজের মধ্যে অমিলের কারণে আগের মতো এরাশাদকে বিশ্বাস করতে পারে না মানুষ।

সাধারণ ভোটারদের এই ভাবনা সঠিক নয় বলে মনে করছেন রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি জানান, রংপুরের উন্নয়নে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের যে অবদান রয়েছে, তা আর কোনো এমপির নেই। রংপুরে যা হয়েছে সবই এরশাদের কারণে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে তুলে রংপুরকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন। এখন তিনি প্রতি মাসে রংপুরে আসেন। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। শুধু তাই নয়, জাতীয় পার্টি এখন পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই রংপুর-৩ সহ হারানো সব আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীদেরই বিজয়ী হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে।

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে রংপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, জাতীয় পার্টি ছাড়াও জাসদ, বাসদ, ইসলামী আন্দোলন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্যসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজেদের প্রস্তুত করে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। গত নির্বাচনে এরশাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা জাসদের সাব্বির আহমেদের এবার নির্বাচন করার কথা রয়েছে।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;