রংপুর-১ আসন: জাপায় রাঙ্গা, আ.লীগে একাধিক প্রার্থী



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রংপুর-১ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রংপুর-১ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এরই মধ্যে নির্বাচনী ট্রেনের টিকেট পেতে রাজনৈতিক পল্লীতে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। কেউ কেউ আবার দলের আগাম সবুজ সংকেত পেয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন।

তেমনই একজন রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও রংপুর সিটি করপোরেশনের আংশিক) আসনের বর্তমান এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি একাধারে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হয়েছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। তার এই জয়ের মধ্য দিয়ে এক সময়ের অবহেলিত গঙ্গাচড়া প্রথমবারের মতো একজন প্রতিমন্ত্রী পেয়ে যান। এরপর থেকে বদলে যেতে থাকে তিস্তা নদী বিধৌত গঙ্গাচড়া।

এক সময়ের মঙ্গা কবলিত গঙ্গাচড়া এখন আগের অবস্থায় নেই। মসিউর রহমান রাঙ্গা তার জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় উন্নয়নের চাদর বিছিয়েছেন এখানে। প্রতিমন্ত্রী হয়েও ফ্রি সময় পেলেই ছুটে আসেন নির্বাচনী এলাকাতে। খোঁজখবর রাখেন সাধারণ মানুষের। কখনো কখনো মেঠোপথ ধরে হেঁটে হেঁটে যান কৃষকের কাছে। নতুবা তিস্তাপাড়ে বসে স্বপ্ন দেখেন রাক্ষুসে নদীর শোষণ দমনের।

গঙ্গাচড়ার নাড়ির সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করায় মসিউর রহমান রাঙ্গা এখন আমজনতার রাঙ্গা হিসেবে পরিচিত। তার হাত ধরে এই আসনে ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এ কারণে এখানকার অনেকেই বিশ্বাস করেন ‘রাঙ্গা মানে চাঙা’।

তবে এই ‘রাঙ্গাতে গঙ্গাচড়া চাঙা’ এটি মানতে নারাজ স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনার সুনজরেই অবহেলিত গঙ্গাচড়া থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে। উন্নয়ন ছড়িয়ে পড়েছে পল্লীর পরতে পরতে। তাই শেখ হাসিনার অবদানের মূল্যায়ন ও কৃতজ্ঞতা জানাতে ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জয়ী করতে কোমর বেঁধেছেন তারা।

গত সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের ব্যানারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পার পেয়ে গেলেও এবার সেই সুযোগের সম্ভাবনা নেই এই আসনে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা উঠে পড়ে নেমেছেন। বহিরাগত ঠেকাও স্লোগানে নিজেদের পক্ষে জোয়ার তুলতে গিয়ে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর প্রচারণায় মুখরিত আওয়ামী লীগে তৈরি হয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল।

জনসাধারণও আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। সেইদিক থেকে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন রাঙ্গা।

এখানে বর্তমানে কোন্দলমুক্ত দল হিসেবে ভোটারদের মন জয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দাবি মহাজোট হোক আর নাই হোক, ব্যালট যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয়ের মালা গলায় পড়তে জটিল অংক কষতে হবে না প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাকে।

পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সালের ভোট যুদ্ধে এই আসনটি বরাবরই জাতীয় পার্টির দখলে রয়েছে। জাতীয় সংসদের ১৯নং আসনটিতে (রংপুর-১ আসন) ১৯৯১ সালে এরশাদের লাঙ্গল কাঁধে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন করিম উদ্দিন ভরসা, ১৯৯৬ সালে সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু, ২০০১ সালে মসিউর রহমান রাঙ্গা, ২০০৮ সালে এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মসিউর রহমান রাঙ্গা। দ্বিতীয়বারের মতো এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী পরিষদে জায়গা হয় তার।

তবে রাঙ্গার জয় ঠেকাতে নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সুসম্পর্ক ও দারুণ সখ্যতার কারণে তিস্তা নদী শাসনের জন্য প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা ১২৯ কোটি টাকার বরাদ্দ আনতে পেরেছেন। গেল পাঁচ বছরে গঙ্গাচড়াতে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির, মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কারে ব্যাপক অনুদান এনেছেন তিনি। বদলে দিয়েছেন এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। নতুন নতুন রাস্তা, কালভার্ট, ব্রিজ, ছোট ছোট সেতু নির্মাণ করেছেন। মাইলের পর মাইল কাঁচা রাস্তাকে পিচঢালা রাস্তা বানিয়ে মূল সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। তার মাধ্যমে অভূতপূর্ব উন্নয়নের সমন্বয় ঘটেছে এই উপজেলাতে।

শীতার্ত ও বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ন্যাশনাল সার্ভিস চালু, বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, হতদরিদ্রদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। জনবান্ধব এমপি হিসেবে তার জনপ্রিয়তা এখানে ঈর্ষণীয়। তাই মহাজোটের ব্যানারে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে এলে এই আসনে রাঙ্গার বিকল্প কাউকে না দেখার সম্ভাবনাই বেশি। আর যদি একক নির্বাচন হয় বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা-লাঙ্গলের প্রার্থীর মধ্যে।

বর্তমানে গঙ্গাচড়াতে যে নির্বাচনী হাওয়া বইছে তাতে আওয়ামী লীগের তিন থেকে চারজন সম্ভাব্য প্রার্থী নিজেদেরকে নৌকার মাঝি হিসেবে জানান দিয়ে শুরু করেছেন প্রচারণা। এতে করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে গ্রুপিং। যার প্রভাব পড়েছে সাধারণ ভোটারদের ভেতরেও।

স্থানীয় ভোটারদের দেয়া তথ্য মতে, এ আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সঙ্গে ভোটে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো জামায়াতে ইসলামীর। আওয়ামী লীগ সব সময় তৃতীয় অবস্থানে থাকত। তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এখানে এখন আর আগের মতো অবস্থান নেই জামায়াতের।

বর্তমানে উন্নয়নের স্রোতে দেশকে এগিয়ে নেয়ার মন্ত্রে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জোরেশোরে। এতে করে জাতীয় পার্টির সঙ্গে লড়াই করার মতো অবস্থান এখানে সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন নৌকার সমর্থকরা।

অন্যদিকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান মাবু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন সুজনের নাম শোনা গেলেও তেমন কোনো প্রচারণা নেই গঙ্গাচড়াতে। তবে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভেতরের প্রস্তুতি ঠিক রয়েছে বলে জানা গেছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শামসুল আলম জানান, গঙ্গাচড়ায় জাতীয় পার্টি ৯০ দশকের মতো আবারো ফিরে এসেছে। জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করলেও এই আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। আর জোট হলে তো বিজয় ঠেকানোর সাধ্য কারো নেই।

জানা গেছে, নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে প্রচারণার মাঠে থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য রবিউল ইসলাম রেজভী, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম রাজু এবং আওয়ামী লীগের আরেক সমর্থন প্রত্যাশী শিল্পপতি সিএম সাদিককে ঘিরে দ্বিধাদ্বন্দ্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

মহাজোট থেকে জাপা বেরিয়ে এলে এখানে আওয়ামী লীগের নৌকায় বৈঠা হাতে পাবার সম্ভাবনা বেশি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলুর। আর যদি হিসেব উল্টাপাল্টা হয় তাহলে মনোনয়ন দৌড়ে অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম রাজুর ভাগ্যে যেতে পারে নৌকার টিকিট।

নির্বাচনের ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, ‘দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। এখানে স্থানীয় লোকের এমপি হবার সুযোগ হয়নি। বহিরাগত দ্বারা গঙ্গাচড়ার মানুষ যুগের পর যুগ শাসিত হয়ে আসছে। এবার জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। স্থানীয় প্রার্থীকেই জয়ী করবেন। সেই হিসেবে নৌকার মাঝির গলাতে বিজয়ের মালা উঠবে বলেও আমার বিশ্বাস।’

   

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;

নির্বাচনি ব্যয় জমা দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইসির নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনি ব্যয় জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনি ব্যয় জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৪৪গগ(১) ও (৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে দাখিল করার বিধান রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবরণী দাখিলের জন্য নির্দেশনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি (২০২৪) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও দেশের ২৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক ভোটে অংশ নেয়। দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বর্তমানে ৪৪টি।

;