জানেন কি মাত্র ৩০ বছর আগে বিপ্লব ঘটেছিল নেট দুনিয়ার



কলকাতা ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজকের দিনে অন্তর্জাল বা ইন্টারনেট ছাড়া যেন আমাদের চলেই না। ইন্টারনেট বললে এর সঙ্গে উঠে আসে www. এই যে www.যা আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য নেট দুনিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ- তার আসলে বয়স কতো? কলকাতার সংবাদ মাধ্যম বর্তমান বলছে...

যা বেবি দৌড়ে যাবি শিখবি মাল্টিমিডিয়া/ গুবলু গাবলু স্বপ্নে পেল ডব্লু ডব্লু আইডিয়া/ইমেইলে যুক্ত হল হনুলুলু হলদিয়া/দুনিয়া ডট কম দুনিয়া ডট কম দুনিয়া ডট কম...’ বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর এই গানটি মনে আছে? এক সময় বাঙালির মনে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। তখন কিন্তু ইন্টারনেট এখনকার মতো সহজলভ্য হয়ে হাতের মুঠোয় আসেনি। ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পেতে গেলে তখন ভরসা বলতে ছিল সাইবার ক্যাফে বা বাবা-দাদাদের অফিস। মোটামুটি এই অবস্থাই ছিল দুই বাংলার বাঙালির।

তবে ডব্লু ডব্লু আইডিয়া -কে গবেষকরা এক সুতোয় বেঁধে যে বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছিলেন তা ভালোই টের পাওয়া গিয়েছিল। তা না হলে হনুলুলুর সঙ্গে হলদিয়ার যোগসূত্র কীভাবেই বা স্থাপিত হলো! আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী তথা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার স্যার টিম বার্নার্স লি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা তথ্যকে এক জায়গায় এনে অ্যাক্সেস বা ব্যবহার করার কাজটি করেছিলেন।

দিনটি ছিল ১৯৮৯ সালে ১২ মার্চ, সেই যুগান্তকারী আবিষ্কার, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব অর্থাৎ ডব্লু ডব্লু ডব্লু (www), এ বছর ৩০ বছর পূর্ণ করলো। ন’য়ের দশকে বিশ্বব্যাপী তথ্যের ভাণ্ডার সৃষ্টির পর আমাজন, টেমস, পদ্মা বা গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে বহু পানি। আজ ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছে সফটওয়্যার, তথ্যপ্রযুক্তি বা ইন্টারনেটের। কিন্তু, ১৯৮৯ সালে আজকের এই ডব্লুডব্লুডব্লু তৈরির কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। এক কথায় কাজের জগতে হতাশা থেকেই তৈরি হয়েছিল এই www.

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হওয়ার পর ‘সার্ন’-এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দেন বার্নার্স লি। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত সার্ন -এর এই প্রধান দপ্তর। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানীরা গবেষণার জন্য আজওে এখানে আসেন। কিন্তু সে সময় বার্নার্স লি লক্ষ করেন, তথ্য আদান প্রদানের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গবেষকদের।

কারণ, সে সময়টা বিভিন্ন তথ্য আলাদা করে প্রতিটা কম্পিউটারে রাখা থাকত। আর তা পেতে গেলে আলাদা আলাদা কম্পিউটার লগ অন করতে হত গবেষকদের। যার জেরে কাজের সময় নষ্ট হত। আর এর থেকেই আসে বিরক্তি। বলা যায় একপ্রকার হতাশা। বার্নার্স লির কথায়, এর থেকে বেশি সহজ ছিল কফি পানের সময় প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদান করে নেওয়া। আর এই বিরক্তি থেকেই ১৯৮৯ সালের ৪ মার্চ তার প্রধান মাইক সেন্ডেলের কাছে একটি প্রস্তাব জমা দেন বার্নার্স লি। সেটিই ছিল আজকের ডব্লুডব্লুডব্লু তৈরি করার ইনফরমেশন। ম্যনেজমেন্ট প্রস্তাবটি পড়ে সেদিন কিছু আঁচ করতে পারেননি। শুধু লিখেছিলেন, অস্পষ্ট হলেও রোমাঞ্চকর। আর সেই নোটের শেষে লেখা ছিল, অ্যান্ড নাও? অতএব এরপর কী?

এরপরেই সহকর্মীদের নিয়ে হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ (এইচটিএমএল) লিখতে শুরু করলেন বার্নার্স লি। তৈরি করা হল হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল (এইচটিটিপি)। আর ইউনিফর্ম রিসোর্স লোকেটর (ইউআরএল)-কে ভর করে ১২ মার্চ আত্মপ্রকাশ করল www। এরপর ১৯৯১ সালে তৈরি হল প্রথম ওয়েবসাইট, যা আজও অনলাইন রয়েছে। info.cern.ch. তবে ওয়েবসাইট সার্চ করতে গেলে তো ব্রাউজার প্রয়োজন। বার্নার্স-লি ও তাঁর টিম ১৯৯২ সালে তৈরি করল প্রথম ওয়েব ব্রাউজার বা পেজ এডিটর। নাম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ডট অ্যাপ। যা আজকের মতো ঝাঁ চকচকে ছিল না।

এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো ডব্লুডব্লুডব্লু আর ইন্টারনেট কিন্তু এক নয়। স্বয়ং স্রষ্টা বার্নার্স লি নিজেই এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ইন্টারনেট হল, অসংখ্য কম্পিউটার একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করে তৈরি একটি সুবিশাল নেটওয়ার্ক। যার অস্তিত্ব ডব্লুডব্লুডব্লু জন্মের বহু আগে থেকে রয়েছে। অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হল, এইচটিএমএল, ইউআরএল এবং এইচটিটিপি দিয়ে তৈরি একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন।

তবে, আজকের এই নেট দুনিয়া কখনই চাননি স্যার লি। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক লাভের জন্য মুষ্টিমেয় কয়েকটি সংস্থা ফায়দা তুলছে, সেই লক্ষ্য নিয়ে কখনই ওয়েব তৈরি করেননি তিনি। ২০১৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে ওয়েব স্রষ্টা বলেছেন, বৈষম্য ও বিভাজনের ইঞ্জিনে পরিণত হয়েছে এই ওয়েব। ক্ষমতাশালীরা তাদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে তাকে ব্যবহার করছে। আমি সর্বদা মনে করি, ওয়েব হল সবার জন্য। যে পরিবর্তন আমরা নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি, তা আরও ভালো ও সুসংবদ্ধ পৃথিবী তৈরি করেছে।

   

এক মাসেও ঠিক হচ্ছে না দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে দেশে ইন্টারনেট সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকেরা এবার দীর্ঘ দুর্ভোগে পড়েছেন।

ক্যাবল মেরামত না হওয়ায় সহসাই এই সমস্যার সমাধান মিলছে না। রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মূলত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সাবমেরিন ক্যাবলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাগর অংশে প্রবেশের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমতি পেতে তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এরপর কাটা ক্যাবল মেরামত করতে আরও ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। সব মিলিয়ে এক মাসেও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পুরোপুরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

তবে বিকল্প উপায়ে তারা দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চাহিদা পেয়েছেন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ৪০ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সচল এখনো করা যায়নি। এজন্য কাজ করছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। তারা বলছে, ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এই সময়কালে তারা চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট সচল করতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি)।

;

ডেটায় সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার পরেও ডেটা সেবা থেকে আয়ের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের ফলে রবি'র ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূন্য দশমিক ২ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডেটা ব্যবহার করেন যা এই খাতে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‍আমরা দেখতে পাচ্ছি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব আমাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। একইসাথে লক্ষণীয় যে, স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।

উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে অতি সত্বর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকার থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

গুণগত মান নিশ্চিত করে সেবা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে রাজীব শেঠি বলেন, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা দিয়েই বলা যায়, আমাদের নেওয়া উদ্যোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার জন্য আমি গর্বিত। গত এক বছরে গড় ডেটা স্পিড শতভাগেরও বেশি বেড়েছে। সারাদেশে কভারেজ ও নেটওয়ার্কের সর্বত্র ধারাবাহিক স্পিড নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ উন্নতি অর্জন করা হয়েছে। কল ড্রপের হার একইভাবে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমরা নিশ্চিত যে পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধির উপর চলমান উদ্যোগ গ্রাহকের আস্থা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

;

ইন্টারনেটের ধীরগতি প্রকট হতে পারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে। মূলত দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেটের এই ধীরগতি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। সমস্যা সমাধানে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। যেহেতু এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে তাই বিকল্প উপায় খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল `ব্রেক’ করায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে ফাইবার ব্রেক করায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কিছু দেশে ইন্টারনেটে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

এ বিষযে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, ইন্টারনেটের সমস্যা মেরামতে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। এই সময়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে তারা চেষ্টা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন কেবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব সাবমেরিন কেবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি)।

;

মেটা AI স্মার্ট নতুন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হোয়াটসঅ্যাপকে আরও স্মার্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে মেটা। তাও এআই স্মার্ট। সম্প্রতি ভারত-সহ বিশ্বজুড়েই ইউজারদের জন্য জেনারেটিভ এআই, মেটা এআই-এর মতো ফিচার ধীরে ধীরে আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ WhatsApp।

চ্যাটজিপিটি জেনারেটিভ এইআই ইউজারদের প্রম্পটের উপর ভিত্তি করে লেখা বা ছবি তৈরি করে দেয়। মেটা এআই ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দেবে, জোকস শোনাবে, ছবি বানিয়ে দেবে, আর সবটাই করবে হোয়াটসঅ্যাপ’র মাধ্যমে। ইউজাররা ডেডিকেটেড চ্যাটবট তো বটেই ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটের মধ্যেও মেটা এআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

শুরুতে এই ফিচার থাকবে সীমিত সংখ্যক ইউজারের জন্য। শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষা থাকবে। মেটা এখনও ফিচারটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ধীরে ধীরে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। যেমন মেটা এআই আগে শুধুমাত্র ছবি তৈরি করতে পারত, এখন সেই ছবিকে জিআইএফে আনতে অ্যানিমেট করতে পারে।

ইউজার এখন আরও মজাদার এবং আকর্ষক চ্যাটিংয়ের জন্য মেটা এআই-এর তৈরি যে কোনও ছবিকে জিআইএফ-এ অ্যানিমেট করতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই অ্যানিমেট ফিচার ব্যবহার করা যাবে যেভাবে

প্রথমে মেটা এআই খুলতে হবে। চ্যাট ইন্টারফেসের উপরে নীল রঙের গোলাকার আইকন রয়েছে। এতে ক্লিক করতে হবে। এবার চ্যাটে ডাকতে হবে মেটা এআই-কে। ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটে মেসেজ ফিল্ডে মেটা এআই-কে ট্যাগ করে সেন্ড করতে হবে। প্রম্পটে এআই-কে বলতে হবে পছন্দের ছবি তৈরির কথা।

ছবি তৈরি হয়ে গেলে সেই ছবিতেই মেটা এআইকে অ্যানিমেট করার কথা বলতে হবে। এই প্রম্পট পেলেই মেটা এআই জেনারেট ছবি থেকে জিআইএফ তৈরি করে দেবে।

মনে রাখতে হবে, ইউজার সরাসরি মেটা এআই-কে জিআইএফ তৈরি করার কথা বলতে পারবে না। প্রথমে ছবি করতে বলতে হবে। তারপর সেই ছবিকে জিআইএফে বদলানোর প্রম্পট দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, মেটা এআই-কে ডেটা ডিলিটের অনুরোধও করতে পারবেন ইউজাররা। গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এটা জরুরি।

;