দিন যত যাচ্ছে মানুষের মাঝে বাড়ছে স্বাস্থ্য সচেতনতা। আর সেই অনুভূতিকে কেন্দ্র করে অধিক লাইকের আশায় ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে ভুয়া স্বাস্থ্য বার্তা। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে মেদ কমানো নিয়ে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেলথ ফিডব্যাক জানিয়েছে, ফেসবুকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেসব লেখা প্রচার করা হয় তার বেশির ভাগই ভিত্তিহীন। ২০১৮ সালে ফেসবুকে প্রচার করা গড়ে ১০ টি স্বাস্থ্য প্রতিবেদনের মধ্যে ৭ টিই মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।এর ফলে সেগুলোকে অনুসরণ করতে গিয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির শিকার হতে পারেন বলে আশংকা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সঠিক তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ছাড়ানো খবরগুলো শেয়ার করা হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ বার। ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর খবর শেয়ার হওয়ার পরিমাণ এক কোটি ২৩ লাখ বার।

তবে শুধু ফেসবুকের দোষ দিয়ে লাভ নেই অনেক নামি দামি পত্রিকার প্রতিবেদনেও ভুল তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়েছে সংস্থাটি।

তারা জানায় মূলত গবেষণার জন্য বেছে নেওয়া তথ্য গুলো কে ভিত্তি ধরে শেয়ার করা ঐ সব পোস্টের কারণে মানুষের মাঝে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

তবে টিকা সম্পর্কে লেখা সব প্রতিবেদনই তারা নির্ভুল এবং সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে জানায় তারা।

ফেসবুক বলছে তারা ভুয়া খবরের মত ভুয়া স্বাস্থ্য বার্তা এর ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিবে।