ভ্যাট কমবে ইন্টারনেটে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে ভ্যাট এক তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার পর এখন পাইকারি পর্যায়ের সরবরাহ লাইনেও একই হারে কমানো হচ্ছে।

সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেটের খুচরা ব্যবহারে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এতেও খুব বেশি সুফল পাচ্ছিলেন না গ্রাহকরা।

তখন গ্রাহক পর্যায়ে কমলেও ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্টোরিয়াল কেবল বা আইটিসি, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে বা আইআইজি এবং ন্যাশন ওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন্স নেটওয়ার্ক বা এনটিটিএন পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে গিয়েছিল। এসব ভ্যাটের প্রভাব  চলে আসছিল গ্রাহকের ওপরেও।

এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সব পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ করছে সরকার। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমবে বলে মনে করছেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে এটি হবে গ্রাহকদের জন্য বড় এক উপহার।

গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হল বলে সাংবাদিকদের জানান টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর অর্থমন্ত্রীকে এ বিষয়ে এক চিঠিতে ভ্যাট কমানোর অনুরোধ করে চিঠি দেন মোস্তাফা  জব্বার।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর ভ্যাট কমানোতে গ্রাহকের ব্যয় কমবে – এমন বক্তব্যের সঙ্গে অবশ্য একমত নন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তাদের মতে,  এর ফলে গ্রাহক পর্যায়ে বরং খরচ আরও বেড়ে যেতে পারে। কারণ ১৫ শতাংশ ভ্যাট থাকলে সেটির বিপরীতে রিবেট পান ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ভ্যাট ১৫ শতাংশের নীচে নেমে গেলে রিবেট হয় না। ফলে অনেক খরচ তখন তারা সমন্বয় করতে পারে না। এমন ক্ষেত্রে তাদের ব্যয় বাড়তেই থাকে।

গত বছর সরকার ইন্টারনেটের ভ্যাট থেকে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা আয় করে।

মোস্তাফা জব্বার মনে করছেন, নতুন হার কার্যকর হলে গ্রাহকের খরচ কমবে। একই সঙ্গে গ্রাহক ব্যবহার বাড়ালে সরকারের আয়ও বাড়বে।

   

এবার পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ!



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এখন গুগল পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ। অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ পিক্সেল ৯ সিরিজে আসা কিছু মডেম আপগ্রেড করেছে যা জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেড নিয়ে বাজারে আসছে। প্রতিবেদন- অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।

বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে মডেমের প্রতি গুরুত্ব দেন না। তবে এটা কিন্তু সবচেয়ে জরুরি। কারণ ইন্টারনেট সংযোগে ব্যঘাত ঘটলে তা মোটেও কাজের ক্ষেত্রে সুফলদায়ক হয় না।

এদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সংযোগের এই সমস্যাগুলো সিরিজের অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার এ পরিস্থিতির উন্নতি স্বরুপ আসন্ন পিক্সেল ৯ সিরিজ আরও ভাল কিছু নিয়ে আসছে বলে আশা অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষের।

পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমেই যে বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়েছে তা হল এর মডেম। ২০২১ সালে গুগল টেনসর চিপগুলোতে স্যুইচ করার পর থেকে মডেমগুলো পিক্সেলে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু চিপগুলো স্যামসাংয়ের এসএলএসআই বিভাগের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছিল, তাই গুগল পূর্ববর্তী পিক্সেলগুলোর বিপরীতে বিকাশকে সহজ করার জন্য এক্সিনোস মডেম বেছে নিয়েছিল। যা কোয়ালকমের সমাধানে ব্যবহার কড়া হয়েছিল।

তবে দুর্ভাগ্যবশত, নতুন মডেমগুলোতে চলমান সফ্টওয়্যারটির স্থায়িত্ব খুবই কম ছিল, বিশেষ করে শুরুর দিকে। উদাহরণস্বরূপ, পিক্সেল ৬ ব্যবহারকারী একজন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছেন, আমি এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি যেখানে মডেমটি ক্র্যাশ হওয়া এবং এমনকি অন্যান্য সাবসিস্টেমগুলো যেমন এটির সেন্সরগুলো অফলাইনে নিয়ে যাওয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। তবে শুধু আমি একাই পিক্সেল ৬ সংযোগের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হওয়ার ক্ষেত্রে একা ছিলাম না।

এছাড়াও পিক্সেল ৭ এবং ৮ ব্যবহারকারীরা মার্চ ২০২৪ আপডেটের পর থেকে এর ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতারা এই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

টেনসর জি ৪, পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমবারের মতো একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্যামসাং মডেম ৫৪০০ আনছে অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ। যদিও এটি কোয়ালকম মডেম নয়। তবে তারা আশা করছে এটি পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় দ্রুত এবং আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া এটির সফ্টওয়্যার স্ট্যাক আপগ্রেড করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনার দীর্ঘস্থায়ী হবে। এর ৫ জি নন-টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক (এনটিএন), বা অন্য কথায় উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগের সুবিধা নিয়ে আসছে।

ধারণা করা হচ্ছে পিক্সেল ৯ সিরিজই প্রথম অ্যান্ড্রয়েডের নেটিভ স্যাটেলাইট বাস্তবায়নকে সমর্থন করবে।

প্রাথমিকভাবে এই বৈশিষ্ট্যটি মোবাইল (স্পেসএক্সের সহযোগিতায় নির্মিত) দ্বারা সরবরাহ করা হবে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য সরবরাহকারীদের সাথে যুক্ত হবে। স্যাটেলাইট লিঙ্কটি দিয়ে টেক্সট করা গেলেও কল করা যাবে না। সহজভাবে বলতে গেলে, একটি বিশেষ স্যাটেলাইট গেটওয়ে অ্যাপ্লিকেশন 'জরুরি এসওএস' নামে একটি বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে জরুরি যোগাযোগের সুবিধা দেবে।

মডেমটি পিক্সেল ৯ সিরিজ এবং পরবর্তী প্রজন্মের পিক্সেল ফোল্ড সহ সমস্ত সেলুলার-সক্ষম টেনসর জি ৪ ডিভাইসে আসছে। অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির সূত্র অনুযায়ী, গুগল একই মডেমসহ একটি ৫ জি ট্যাবলেট, কোডনেম 'ক্লিমেন্টাইন' বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ডিভাইসটি কখন বাজারে আসবে তা এখনো জানা যায়নি।

;

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম লাগবে: পলক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম লাগবে’

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম লাগবে’

  • Font increase
  • Font Decrease

টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করখাত পুনর্গঠনের সাথে সাথে টেলিযোগাযোগ খাত কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষে কাজ করতে হবে। রাজস্ব আদায়ের বড় খাত এখন টেলিযোগাযোগ। এই খাতের অবদানকে কীভাবে জিডিপি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমন্বয় করা যায় তা চিন্তা করতে হবে।

মোবাইল অপারেটরেরা এখন আসলে ডিজিটাল অপারেটর। বিটিআরসিও যেন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা না হয় সেই দিকে খেয়াল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশনকে উদ্ভাবনী সংস্থা হিসেবে তৈরি হতে হবে। এনবিআরকেও স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। টেলিযোগাযোগ খাতকে স্মার্ট খাত হিসেবে তৈরি করতে হবে। স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম গড়তে কাজ করতে হবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ টেলিকম এন্ড টেকনোলজি রিপোটাস নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) আয়োজিত রাউন্ড টেবিল বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব একথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী।

এসময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, এমটবের প্রেসিডেন্ট ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ) হোসেন সাহাদাত, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তাইমুর রহমান, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, ফাইবার@হোমের সিটিও সুমন আহমেদ সাবির উপস্থিত ছিলেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমটের সেক্রেটারি জেনারেল লে: কর্নেল (অব) জুলফিকার আহমেদ। বক্তব্য রাখেন- টিআরএনবি'র সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষে পৌঁছতে হলে টেলিযোগাযোগ খাতের কর পুনর্বিবেচনা করাসহ সবকিছু সহজিকরণ করতে হবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে ভিন্ন পৃথিবী দেখবে মানুষ। বাংলাদেশও সেই ভিন্ন পৃথিবীর অংশ হবে।

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ করনীতি পুনর্গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এমটবের প্রেসিডেন্ট ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, শুধু ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি যেন বাদ দেওয়া হয়। স্মার্টফোনকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন কঠিন হবে। তাই মোবাইল ফোনের পেনেট্রেশন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ফোনের ওপর থেকে যৌক্তিক কর ধার্য করা উচিত। সবকিছুতে জটিলতার জায়গা থেকে সহজিকরণ কীভাবে করা যায় সেই চিন্তা করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কর যেন অনেক বড় বোঝা না হয়।

রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেন, করের ক্ষেত্রে শুরুতেই এন্ট্রি ব্যারিয়ার থাকে। যেমন সিম ট্যাক্স শুরুতে ১২০০ টাকা ছিল, যা এখন ১০০ টাকা। অথচ এন্ট্রি ব্যারিয়ার তৈরি না করলে বরং পরবর্তীতে এখান থেকে আরো বেশি কর আদায় সম্ভব। টেলিযোগাযোগ খাতকে স্পেশাল খাত হিসেবে গণ্য করা হলেও স্পেশাল মর্যাদা দেওয়া হয় না। তরঙ্গের ওপর কর বিশ্বের কোথাও নেই। আমাদের এখানে তরঙ্গকে অবকাঠামো হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) হোসেন সাহাদাত বলেন, এবারের বাজেটে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবো। স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে যাতে এগিয়ে যেতে হবে। কর্পোরেট ট্যাক্সটাকে রেশনালাইজ করা উচিত।

বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তাইমুর রহমান বলেন, স্মার্ট ট্যাক্সেশন তৈরি করতে হবে। ট্যাক্স নেট কীভাবে বাড়াবো সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত চেঞ্জ মেকার। সিগারেট কোম্পানি ও টেলিকম খাতের কর কেন একই হারে হবে। কারণ সিগারেট কোম্পানি স্বাস্থ্যখাতের ব্যয় বাড়াবে। প্রযুক্তি কোনো আলাদা খাত নয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। অমীমাংসিত ইস্যুগুলো যদি সমাধান না হয় তাহলে খাত এগোবে না।

ফাইবার@হোমের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে যাচ্ছি। যে-সব দেশে কর কম সেদেশে জিডিপি তত বেশি। প্রতিটি লেয়ারে আমরা ভ্যাট দিচ্ছি। কর এমনভাবে আরোপ করা হোক যাতে এটি বোঝা না হয়।

লে: কনেল (অব) জুলফিকার আহমেদ বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটির পর এবার ডিজিটাল ইকোনমিতে সফলতা চাই। তবে এক্ষেত্রে অনেক ধরনের বাধা রয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ খাতে ৮ম সর্বোচ্চ মোবাইল মার্কেট। ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রায় প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। অথচ এই খাতে যৌক্তিক কর আদায় হচ্ছে না। বিশ্বের বহু দেশের চেয়ে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে কর বেশি।

;

রিয়েলমি সি৬৭ স্মার্টফোন কিনে ১ লাখ টাকা পুরস্কার জিতলেন রিয়েলমি গ্রাহক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিয়েলমি সি৬৭ স্মার্টফোন কিনে ১ লাখ টাকা পুরস্কার জিতলেন রিয়েলমি গ্রাহক

রিয়েলমি সি৬৭ স্মার্টফোন কিনে ১ লাখ টাকা পুরস্কার জিতলেন রিয়েলমি গ্রাহক

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রি-বুক রিয়েলমি সি৬৭ ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া ভাগ্যবান একজন বিজয়ীকে এক লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করেছে তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি।

রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনে একটি আকর্ষণীয় লটারির মাধ্যমে এক লাখ টাকার এ অসাধারণ সুযোগ জিতে নিয়েছেন শরীফ আহমেদ।

রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ডিরেক্টর ড্যারেন ঝ্যাং সম্প্রতি বিজয়ীর হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

এছাড়া, রিয়েলমি সি৬৭ কিনে আরও ১০ জন ভাগ্যবান ক্রেতা লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে পেয়েছেন বোগো (একটি কিনলে একটি ফ্রি) ডিলের পুরস্কার।

বাংলাদেশের স্মার্টফোনের বাজারে রিয়েলমি সি৬৭ ছাড়ার সময়, ব্র্যান্ডটি তাদের গ্রাহকদের জন্য অসাধারণ এক সুযোগ নিয়ে হাজির হয়। স্মার্টফোন সিরিজটি বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে রিয়েলমি’র অনুমোদিত আউটলেটগুলোতে ডিভাইসটির প্রি-বুকিং দিলে, লটারির মাধ্যমে বিজয়ী স্মার্টফোনপ্রেমী গ্রাহকদের এক লাখ টাকা এবং একটি কিনলে একটি ফ্রি অফারের ঘোষণা দেয় জনপ্রিয় এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি।

রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ডিরেক্টর ড্যারেন ঝ্যাং বলেন, “ অনন্য স্থায়িত্ব ও গুণগতমান ধরে রেখে একটি যথার্থ টেক ব্র্যান্ড হতে চায় রিয়েলমি। তার একটি উদাহরণ হলো রিয়েলমি সি৬৭। এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়ায়, আমি এক লাখ টাকা বিজয়ীকে এবং ১০ জন স্মার্টফোন বিজয়ীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”

এক লাখ টাকার ভাগ্যবান বিজয়ী শরীফ আহমেদ বলেন, “একটি ফোন কিনে এক লাখ টাকার পুরস্কার জিতে যাব, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। এতে আমি খুবই আনন্দিত। রিয়েলমিকে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রিয়েলমি ও এর স্মার্টফোন ডিভাইসের সঙ্গে আমার এই অভিজ্ঞতা সব সময়ই অসাধারণ ছিল!”

সি-সিরিজের রিয়েলমি সি৬৭ হলো সেগমেন্টের প্রথম স্মার্টফোন ডিভাইস, যাতে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের কোয়ালিটি ক্যামেরা। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শট নেওয়ার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন গ্রাহককে দেয় দারুণ ফটোগ্রাফিক সক্ষমতা। আনুষ্ঠানিকভাবে তোলা স্যাম্পল ছবিগুলোতে দেখা গেছে, প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলোর ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার তুলনায় এই ডিভাইসের ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা তুলনামূলক অনেক স্পষ্ট ছবি তুলতে সক্ষম।

বিশেষ করে বলতে গেলে, সি-সিরিজেই প্রথম রিয়েলমি সি৬৭- এর ৩x ইন-সেন্সর জুমে উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। বৈচিত্র্যময়তার সঙ্গে ছবি তোলার ক্ষেত্রে এই সেন্সর ছবিপ্রেমীদের দিচ্ছে অসাধারণ রেজোল্যুশন।

শুধু তাই নয়, এই প্রথমবারের মতো সি-সিরিজের সি৬৭ ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর। এতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ৬এনএম চিপসেট, যা নেক্সট-লেভেলের পাওয়ার প্রদানের পাশাপাশি ব্যবহারকারীকে দেয় নিশ্চিত কার্যকারিতা ও নির্ভরযোগ্যতা। ৩৩০কে- এর একটি শক্তিশালী স্কোরের মাধ্যমে, এই চিপসেট স্মার্টফোন গ্রাহকদের নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সের অসাধারণ অভিজ্ঞতা লাভের নিশ্চয়তা দেয়।

;

প্রায় ছয় শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যাপল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রায় ছয় শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যাপল

প্রায় ছয় শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যাপল

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী কর্মী ছাঁটাইয়ের তালিকায় এবার নাম লেখাল অ্যাপল। প্রায় ছয় শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ২৭ মে থেকে অ্যাপল'র এই কর্মী ছাঁটাই কার্যক্রম কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। 

সম্প্রতি অ্যাপেলের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট।

গণমাধ্যমগুলো জানায়, বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিখাতে চলছে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিযোগিতা। একের পর এক কর্মী ছাঁটাই করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এবার অন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। প্রায় ছয় শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করবে প্রতিষ্ঠানটি। ধারণা করা হচ্ছে করোনা মহামারির পর এবারই প্রথম এত বেশি সংখ্যক কর্মী ছাটাই করতে যাচ্ছে অ্যাপল।

অ্যাপল'র ক্যালিফোর্নিয়ার কর্মসংস্থান উন্নয়ন বিভাগের কাছে জমা দেওয়া এক নথিতে বলা হয়েছে, গাড়ি ও স্মার্টওয়াচ ডিসপ্লে প্রকল্প বন্ধ করার সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ায় ৬শ'র অধিক কর্মীকে ছাঁটাই করবে অ্যাপল।

এক্ষেত্রে ক্যালিফোর্নিয়ার আইন অনুযায়ী, গণহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের আগে কোম্পানিগুলোকে ৬০ দিনের নোটিশ দিতে হয়।

সম্প্রতি ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্থর অর্থনীতি ও ব্যয় বৃদ্ধির কারণে কর্মীসংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওয়ার্কার অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যান্ড রিট্রেনিং নোটিফিকেশন বা ওয়ার্ন প্রোগ্রাম মেনে চলতে রাজ্যটির কাছে আটটি পৃথক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অ্যাপল। এদের মধ্যে অন্তত ৮৭ জন অ্যাপলের পরবর্তী প্রজন্মের স্ক্রিন ডেভেলপমেন্টের গোপন ঠিকানায় কাজ করছেন এবং বাকিরা গাড়ি প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভবনে কাজ করছেন।

এদিকে স্যান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়ার কর্মসংস্থান উন্নয়ন বিভাগের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে অ্যাপলের একজন আইনজীবী ২৭ মে থেকে কর্মী ছাঁটাই কার্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কতজন কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। তবে ছাটাইয়ের তালিকায় প্রতিষ্ঠানের মেশিন শপ ম্যানেজার, হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং পণ্য নকশা প্রকৌশলীর নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এছাড়া প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে যে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারায় অ্যাপলের প্রধান গাড়ি-সম্পর্কিত অফিস থেকে ৩৭১ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে এবং একাধিক স্যাটেলাইট অফিস থেকেও কয়েক ডজন কর্মীর ছাটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

;