চুয়াডাঙ্গায় যত্রতত্র ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

চুয়াডাঙ্গায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টার। এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে এসে প্রতিদিনই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন রোগীরা।

জেলার চার উপজেলায় এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। মাঝে মাঝে এসব ক্লিনিকে লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও তা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এসব অবৈধ ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টার গড়ে উঠছে। জেলা শহরের সদর হাসপাতালের পাশে গড়ে ওঠা ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো নীতিমালা মানছে না। তাছাড়া ১০টি বেডের অনুমোদন থাকলেও ক্লিনিকে তিনগুণ বেড রাখা হয়েছে।


অভিযোগ আছে, যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকেন না, এমনকি নেই প্রশিক্ষিত নার্সও। দুই মাস আগে হাসপাতাল রোডের মা নার্সিং হোম ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটারে অদক্ষ ডাক্তার ও নার্স রোগীর পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেন। পরবর্তীতে তীব্র যন্ত্রণা ও ইনফেকশন নিয়ে ওই রোগী ভর্তি হন সদর হাসপাতালে।

জেলার ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টারগুলোতে অদক্ষ কর্মী দিয়ে করানো হচ্ছে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ফলে রোগ নির্ণয় রিপোর্ট ভুল আসছে বলে অভিযোগ করছেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে। জেলায় ক্লিনিকের সংখ্যা ৬০টি এবং মোট প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ৭৮টি। অনলাইনের আবেদনে নতুন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা নীতিমালার সব তথ্য সঠিক দিলেও মাঠ পর্যায়ে তার মিল পায় না স্বাস্থ্য বিভাগ।


এক রোগীর স্বজন অভিযোগ করে জানান, এক প্রসূতি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাদের ফুসলিয়ে পাশের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে রোগীর অবস্থা খারাপ বলে ডাক্তার তাদের ওই ক্লিনিকেই সিজার করার পরামর্শ দেন।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন সেচ্ছাসেবী জানান, সদর হাসপাতালের পাশে গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দালালের মাধ্যমে রোগী নেওয়া হয়। এজন্য দালালরা কমিশন পায়। এছাড়া শহরের রিকশা ও ভ্যানচালকরাও ক্লিনিকে রোগী নিয়ে গেলে বাড়তি টাকা পান।


চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ক্লিনিকগুলোতে সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক ও ছয় জন ডিপ্লোমা নার্স থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ নির্দেশনা কেউ মানছে না। দ্রুত এসব অবৈধ ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ ক্লিনিক অনুমোদনের সাথে যদি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কেউ জড়িত থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;