শোকের মাসে পটুয়াখালীতে ১০ লাখ গাছের চারা বিতরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী
শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা রোপণ করে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা রোপণ করে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুরো আগস্ট মাসে ১০ লাখ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- পেয়ারা, আম, জাম, লেবু, কাঁঠাল, লিচু, নিম, মেহগনি, রেইনট্রি, চাম্বুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।

জেলার সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে দুটি করে গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয়ভাবে তহবিল সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসন এসব গাছ সংগ্রহ ও বিতরণ করে।

আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে নদী দখল: বন্ধের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি স্মরণে এসব বৃক্ষ উপকূলীয় এলাকার জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/30/1567106881109.jpg

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোকের মাসে ১০ লাখ গাছের চারা বিতরণের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।

আরও পড়ুন: ফলক স্থাপনেই সীমাবদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা উদ্যান

পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতি বলেন, ‘বিভিন্ন নার্সারি থেকে সংগ্রহ করা এসব গাছের চারা প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এসব গাছের চারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই ইউনিয়নে অবস্থিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হিসেব করে গাছের চারা পাঠানো হয। প্রতি শিক্ষার্থীকে দুটি করে গছের চারা বিতরণ করা হয়।’

পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক (উপ সচিব) মো. হেমায়েত উদ্দিন জানান, সরকারি কোনো বরাদ্দ না থাকলেও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহ করা হয়। ১০ লাখ গাছের চারা সংগ্রহ ও বিতরণে জেলা প্রশাসনের প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। জেলার সকল মানুষের আন্তরিক সহযোগিতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/30/1567106896009.jpg

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এই ১০ লাখ গাছের চারা বিতরণের মাধ্যমে জাতির জনকের চেতনাকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হলো। যখন এসব গাছ বড় হবে তখন তারা বলবে এটি জাতির জনকের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রোপণ করা হয়েছে। এসব গাছের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের মাঝে জাতির পিতার আদর্শ ও চেতানা ছড়িয়ে পড়বে। এমন চিন্তা থেকেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।’

আরও পড়ুন: লঞ্চের প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে

পাশপাশি বিতরণকৃত এসব গাছের চারা উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;