প্রভাব বিস্তারের আগাম ‘রিহার্সাল’ রোহিঙ্গা মহাসমাবেশ?



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার
গত ২৫ আগস্টে আয়োজিত রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশ | ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

গত ২৫ আগস্টে আয়োজিত রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশ | ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৫ আগস্ট যে মহাসমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা তা নিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি দাবি করা হলেও রোহিঙ্গা নেতারা বলছেন প্রশাসনকে জানিয়েই সমাবেশ করেছেন তারা।

অন্যদিকে স্থানীয়দের ওপর প্রভাব বিস্তারের আগাম ‘রিহার্সাল’ হিসেবে রোহিঙ্গারা মহাসমাবেশ করেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে পুলিশ বলছে, আগামীতে এ ধরনের অনুষ্ঠান অনুমোদনের ক্ষেত্রে আরও ভাববার বিষয় রয়েছে।

উখিয়ার কুতুপালং বা বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যোগাযোগের মাধ্যম ইজিবাইক। তাও আবার অপর্যাপ্ত, সীমিত। এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে খুব কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। প্রশ্ন হলো—এত সীমাবদ্ধতার পরও ২৫ আগস্ট মুহূর্তেই পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা কিভাবে এক জায়গায় সমবেত হলো?

আরও পড়ুন: ৫ দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ

স্থানীয়রা বলছেন, নবগঠিত ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’র নেতারা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্যাম্পে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তারা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবারের মাধ্যমে মহা-সমাবেশের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। কোথাও কোথাও মসজিদ, স্কুল ও ডিস্ট্রিভিউশন সেন্টারের মাইক দিয়ে আহ্বান করা হয়েছিল মধুরছড়া ক্যাম্পে জড়ো হতে। প্রশিক্ষিত ওই তিন শতাধিক সদস্যকে দিয়ে যেকোন কর্মকাণ্ড ঘটানো যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

অন্যদিকে এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের মূল সহায়ক শক্তি। লাখ লাখ টাকা খরচ করে সমাবেশের জন্য প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, সাদা শার্ট আর গেন্জি তারাই সরবরাহ করেছে, এমন অভিযোগও রয়েছে।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ওপর আস্থা রাখা বোকামি, সমাবেশে রোহিঙ্গারা

রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, স্থানীয়দের ওপর আগামী দিনে কী ধরনের প্রভাব বিস্তার করবে তা বোঝানোর জন্য এমন সমাবেশ করেছে তারা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের প্রশাসন তার অনুমতি দিয়েছিল। আগাম রিহার্সাল যেখানে সহজে করতে পেরেছে সেখানে তারা যেকোন দুর্ঘটনা ঘটাতেও পারে।

কক্সবাজার পিপলস ফোরামের মুখপাত্র এইচ এম নজরুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বাংলাদেশের এনআইডি ছাড়া কারও সিমকার্ড পাওয়ার কথা নয়। কিভাবে তারা এই নম্বর পেলো এমন প্রশ্নও রয়েছে। এত বড় সমাবেশ করে কী বুঝাতে চাচ্ছে রোহিঙ্গারা, তা যদি এখনি উপলব্ধি করা না যায় তাহলে আগামী দিনে হয়তো বড় কিছু ঘটতে চলেছে। যা আমাদের প্রতিরোধ করতে হিমশিম খেতে হবে। তাই এখনি সতর্ক হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের সমাবেশের খবর জানতো না কর্তৃপক্ষ’

‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’র চেয়ারম্যান মাস্টার মুহিব উল্লাহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, গণহত্যা দিবসে গণজমায়েত করা হয়েছিল মিয়ানমারকে জানান দিতে। স্থানীয়দের ওপর যেন প্রভাব না পড়ে তাই ক্যাম্পের এত ভেতরে সমাবেশ করেছি। শুধু ঐক্যবদ্ধ থেকে নিজেদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের তিন শতাধিক কর্মী তৎপর থেকে সমাবেশের আয়োজন করেছে।

আরও পড়ুন: সমাবেশের অনুমতি ছিল, দাবি রোহিঙ্গা নেতাদের

রোহিঙ্গাদের এ সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সমাবেশ এর আগেও আমরা করেছি। প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। অনুমতি দেওয়ার পরই আমরা এ সমাবেশের আয়োজন করেছি। এখন যদি কেউ অস্বীকার করে তাতে আমরা কী করতে পারি?

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রোহিঙ্গাদের গণজমায়েত অহিংস ছিল। তবে আগামীতে এ ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;