নড়াইল-কালিয়া সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নড়াইল
নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নড়াইলে সড়ক নির্মাণ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নড়াইলে সড়ক নির্মাণ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নড়াইল-কালিয়া পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে অভিযোগ উঠেছে। আর কাজ বন্ধ রেখে অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

অভিযোগ আছে, সড়কে এক এফএম বালু দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে .০২ এফএম। তাছাড়া নম্বর বিহীন ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। লেয়ার না করে রাস্তার পাশে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ফেলে বৃষ্টির পানিতে কম্পাকশন করা হচ্ছে। এতে কোনো রোলার ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাছাড়া বাইরের থেকে মাটি এনে রাস্তায় দেওয়ার কথা থাকলেও রাস্তার দু’পাশ থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। মাটি ক্রয় বাবদ প্রায় চার কেটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, সড়কটি সংস্কারে প্রায় ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সড়ক বিভাগ। জয়েন্ট ভেঞ্চার (জেভি) ভিত্তিতে ওই সড়কের সংস্কার কাজ পেয়েছে রানা বিল্ডার্স, এমএম বিল্ডার্স ও ইডেন প্রাইজ। তবে সড়ক সংস্কারের কাজ করছে মূলত ইডেন প্রাইজের মালিক রেজাউল আলম ওরফে জার্মান আলম।

সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে সদর উপজেলার আউড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারের লোকজন সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে দায়সারাভাবে কাজ করছে। রাস্তার দু’পাশের বক্স কাটিংয়ের মাটি দিয়েই সাইড লেভেলিং করছে।

বাঁশগ্রামের বাসিন্দা হাসমত আলী জানান, ঠিকাদার নিজেদের ভাটা থেকে নিম্নমানের ইট এনে সড়কের কাজ করছে।

পুরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন জানান, নড়াইল-কালিয়া সড়কে নিম্ন মানের ইট-খোয়া, বালির পরিবর্তে ধুলাবালি ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে কাজ শেষ করলে ভারী যানবাহন চালানো সম্ভব হবে না। উল্টো কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙে যাবে।

ঠিকাদার রেজাউল আলম ওরফে জার্মান আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'ওই রাস্তায় নম্বরবিহীন ইট ব্যবহার করা হচ্ছে না। আপাতত সড়কের সম্প্রসারণ জায়গায় ছোট রোলার দিয়েই কম্পাকশন করা হচ্ছে। তাই অন্য ঠিকাদাররা আমার বিরুদ্ধে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করছেন। শিডিউল মোতাবেক সড়কের কাজ করা হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'কোথাও কেউ অনিয়ম দেখাতে পারলে আমি কাজ বন্ধ করে দেব। এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।'

নড়াইলের সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়। যেটুকু কাজ হয়েছে, তা সন্তোষজনক। পরবর্তী কাজ শুরুর আগে কাজের গুণগত মানের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিডিউল মোতাবেক কাজ বুঝে নেয়া হবে।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;