কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া: জরাজীর্ণ ফেরি দিয়ে চলছে পারাপার



মো. রফিকুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মাদারীপুর
কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটে চলাচলরত ফেরিগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটে চলাচলরত ফেরিগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। ঘাটে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিড বোট ব্যবহার করে নদী পার হন যাত্রীরা। তবে এ নৌরুটে বেশিরভাগ মেয়াদোত্তীর্ণ লক্কর-ঝক্কর ফেরি দিয়ে চলছে পদ্মা পারাপার।

বিআইডাব্লিউটিসি'র কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্র জানায়, যাত্রী ও গাড়ি পারাপারের জন্য ১৮টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্য রো রো চারটি, ডাম্ব ছয়টি, কে টাইপ পাঁচটি ও ছোট ফেরি তিনটি।

জানা যায়, চলমান ফেরিগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ছয়টি ফেরি রয়েছে, যেগুলো ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে কলকাতা-নারায়ণগঞ্জ রুটে পাট পরিবহন করতো। এখন কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে যানবাহন পরিবহন করে চলছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566117037088.gif

তীব্র স্রোতের মধ্যেও প্রতিদিন ফেরিগুলো যাত্রী ও পণ্যবোঝাই যানবাহন পার করছে। বেশির ভাগ ফেরি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। যার কারণে অতিরিক্ত সময় গুনতে হচ্ছে যানবাহনগুলোর। যার ফলে যানজট বেড়েছে, এছাড়া দুর্ঘটনার শঙ্কাও রয়েছে। আবার পদ্মায় স্রোতের গতিবেগ বেশি থাকলে কর্তৃপক্ষ ফেরিগুলো বন্ধ রাখছে। আবার পুরাতন কিছু ফেরি রং করে নতুন করা হয়েছে বলেও জানা যায়।

কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্রে জানা গেছে, এই ঘাটের বেশকিছু ফেরি লক্কর-ঝক্কর ও মেয়াদোত্তীর্ণ। ফলে তীব্র ঢেউয়ের কারণে নদী পার হতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় ফেরিচালকদের। নাব্যতা সংকটের কারনে একমাস ধরে লৌহজং টার্নিং বিপজ্জনক হয়ে পড়ায় শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা বিকল্প চ্যানেল ব্যবহার করছে। ফলে পারাপারে নির্ধারিত সময়ের দ্বিগুণ সময় লাগছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মেরিটাইপ সংস্থার (আইএমও) কোড অনুযায়ী বাংলাদেশে চলাচলরত ফেরিগুলো ৩০ বছর চলার কথা থাকলেও এ রুটের বেশির ভাগ ফেরিই আরও বেশি পুরনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566117111308.gif

ফ্ল্যাট ফেরিগুলোর মধ্যে ১৯৩৮ সালে থোবাল ও যমুনা, ১৯২৫ সালে রানীক্ষেত, রায়পুরা, রানীগঞ্জ ও টাপলো এক সময় নারায়ণগঞ্জ থেকে কলকাতা পাট বহন করেছে। পরে তা ফেরি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। অথচ এগুলোর মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এছাড়া রো রোসহ কয়েকটি ফেরির ইঞ্জিন শক্তিশালী হওয়ায় সব মিলিয়ে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন কর্তৃপক্ষ।

ঘাট পারের অপেক্ষায় থাকা ট্রাকচালক মহিউদ্দিন বলেন, ‘এ রুটের ডাম্ব ফেরিগুলো অনেক ভাঙাচোরা। অনেক সময় আবহাওয়া খারাপ থাকলে মাঝ নদী থেকে আবার পাড়ে ফিরে আসতে হয়।’

বনফুল পরিবহনের চালক নাইম আহম্মেদ বলেন, ‘মাঝে মাঝে কিছু ফেরি বন্ধ থাকে। যেগুলো চলাচল করে, সেগুলোতে যাত্রীবাহী পরিবহনই বেশি পারাপার করে। প্রতিটি ফেরিই পুরাতন। কখন যে কী দুর্ঘটনা ঘটে!’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডাম্ব ফেরির এক মাস্টার ইনচার্জ জানান, ডাম্ব ফেরিগুলো এক সময় নারায়ণগঞ্জ থেকে ভারতের আসাম পর্যন্ত পাট টানার কাজে ব্যবহৃত হতো। ফেরিগুলো এখন অনেক পুরাতন হয়ে গেছে, ইঞ্জিনের শক্তিও কমে গেছে। ফলে স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেক সময় পারছে না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566117129189.gif

রো-রো ফেরি এনায়েতপুরীর মাস্টার ইনচার্জ মো. আমিন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে স্রোতের গতিবেগ অনেক বেশি থাকে। রো রো ফেরিগুলোই চলাচল করতে হিমশিম খেতে হয়। এর চেয়ে ডাম্ব ফেরিগুলোর ইঞ্জিনে শক্তি কম হওয়ায় তাদের সমস্যা আরও বেশি।’

বিআইডাব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার আ. সালাম বলেন, ‘তীব্র স্রোতে সেলফ ইঞ্জিনচালিত রো রো ফেরিগুলো ঠিকমতো চলতে পারছে। ডাম্ব ফেরির জন্য সমস্যা। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে নৌ চলাচলে সমস্যা হয় না।’

বিআইডাব্লিউটিএ'র শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (মেরিন) আহমদ আলী বলেন, 'এ রুটের বেশির ভাগ ফেরিই পুরাতন। তবে এখনো ইঞ্জিন সবল রয়েছে। স্রোতের সময় ডাম্ব ফেরির চলতে সমস্যা হয়। এছাড়া অন্যান্য ফেরি চলাচলে তেমন সমস্যা নেই। আর নতুন ফেরি যুক্ত হবার বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ জানেন।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;