দৌলতদিয়ায় নদী পারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক যান



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজবাড়ী
নদী পারের অপেক্ষায় কোরবানির গরুবাহী ট্রাক, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নদী পারের অপেক্ষায় কোরবানির গরুবাহী ট্রাক, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈরী আবহাওয়া, তীব্র স্রোত আর ফেরি স্বল্পতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক যানবাহন। এর মধ্যে পশুবাহী ট্রাক রয়েছে তিন শতাধিক। সময় মতো গরুগুলো হাটে তুলতে না পারায় মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে গরু ব্যবসায়ীরা।

স্বাভাবিক সময়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে। ঈদের সময় সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণ। অথচ ঘাট কর্তৃপক্ষ সে তুলনায় ফেরির সংখ্যা বাড়ায় না। এরমধ্যেও অনেক ফেরি নষ্ট হয়ে ঘাটে বসে থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565238901172.jpg

বর্তমানে এ রুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। দুটি ফেরি নষ্ট হয়ে ঘাটে বসে আছে। এতো অল্প ফেরি দিয়ে ঘাটের যানজট নিরসন সম্ভব নয় বলে অভিযোগ যাত্রী ও চালকদের।

তবে বিআইডব্লিউটিসি বলছে- যথেষ্ট ফেরি রয়েছে। এক সঙ্গে অনেক গাড়ি আসায় চাপ বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে খানখানাপুর ছোট ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার নদী পারের জন্য ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় সহস্রাধিক গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে গরুর গাড়ি রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩০০ এর মতো। সময় মতো গরুগুলো হাটে তুলতে না পারায় অনেক ব্যবসায়ী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565238919788.jpg

মাগুরা থেকে আসা গরুব্যবসায়ী রহমত আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ঘাট কর্তৃপক্ষের মাথায় কোনো বুদ্ধি নেই। তারা জানে না কোরবানি ঈদের আগে ঘাটে অতিরিক্ত গরুর গাড়ির চাপ থাকে। তারা কেন আগে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এখন আমাদের যে ক্ষতি হবে তা কে দেবে?’

কুষ্টিায়া থেকে আসা আরেক গরু ব্যবসায়ী সালাম মোল্লা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে এখানে এসেছি। অথচ এখনো ঘাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে পড়ে আছি। ঘাটের যে অবস্থা তাতে আজ নদী পার হতে পারব কিনা জানি না।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘এখানে কোনো ফেরির স্বল্পতা নেই। তীব্র স্রোত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফেরিগুলো ঠিক মতো চলতে পারছে না। স্বাভাবিক সময় থেকে দ্বিগুণ সময় লাগায় ফেরির টিপ সংখ্যা কমে গেছে। তাছাড়া এক সঙ্গে অনেক গাড়ি প্রবেশ করায় ঘাটে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565238932405.jpg

১৭টি ফেরি দিয়ে এতো গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটে যানবাহন পারাপার সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজকের মধ্যে আরও একটি ফেরি আসবে। আর যে দুটি ফেরি নষ্ট হয়ে বসে আছে সেগুলোও দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে। আশা করছি ২০টি ফেরি নিয়মিত চলছে আর সমস্যা হবে না।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;