নাটোরে ভুয়া ফিজিওথেরাপিস্টদের ছড়াছড়ি



নাইমুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোর জেলায় রেজিস্টার্ড ফিজিওথেরাপিস্ট মাত্র চারজন। অথচ সারা জেলায় স্পর্শকাতর এই সেবা দিচ্ছেন ভুয়া ফিজিওথেরাপিস্টরা। দিন দিন তাদের বেপরোয়া চিকিৎসা বাণিজ্যে ভুক্তভোগী হচ্ছেন রোগীরা। এমনকি পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে অনেক রোগীকে।

জানা গেছে, নাটোরে সাত উপজেলায় প্রতিদিন প্রায় এক হাজার রোগী বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি সেবা নেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অপচিকিৎসা দিচ্ছেন ভুয়া ফিজিওথেরাপিস্টরা। তবে ভুয়াদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের নীতিমালা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি ডিগ্রিধারীরাই ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে গণ্য হবেন। আর স্বাস্থ্য অধিদফতর স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোামা ইন হেলথ টেকনোলজি ডিগ্রিধারীরা ফিজিওথেরাপিস্টদের সহকারী হিসেবে গণ্য হবেন। কিন্তু নাটোরে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। এখানে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরাই ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে সেবা দিচ্ছেন। নিজেদের নামে ভুয়া সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে করছেন রমরমা বাণিজ্য।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নাটোরে বর্তমানে রেজিস্টার্ড চারজন বিপিটি (ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি) ডিগ্রিধারী ফিজিওথেরাপিস্ট আছেন। তারা হলেন- কেয়া ফিজিওথেরাপি সেন্টারের শিমুল হোসেন, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার ভক্ত প্রসাদ সাহা এবং কমফোর্ট ফিজিওথেরাপি সেন্টারের মিজানুর রহমান ও মাহফুজুর রহমান। অথচ সারা জেলায় অর্ধ শতাধিক প্রতিষ্ঠান থেরাপি দিচ্ছে টেকনিশিয়ান ও তাদের সহকারীদের দিয়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাটোর স্ট্রোক সেন্টার, নাটোর ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার এবং রিলাক্স ফিজিওথেরাপি সেন্টার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/27/1564241318556.jpg

নাটোর স্ট্রোক সেন্টারে গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে কাজ করেন রবিউল আলম মুহিত। প্রথম সাক্ষাতে ৩০০ টাকা ও দ্বিতীয় সাক্ষাতে দুইশ টাকা ভিজিট দিতে হয় তাকে। তিনি নিজেকে ঢাকার কমিউনিটি স্ট্রোক ফাউন্ডেশনের রেজিস্টার্ড ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি।

রবিউল ইসলাম মুহিত জানান, তার মেয়ে এবং শ্যালিকা দুইজন ফিজিওথেরাপিতে বিপিএড করেছে। তারা ঢাকায় থাকেন ও মাঝে মাঝে নাটোর এসে এখানে বসেন।

অন্যদিকে, শহরের মাদ্রাসা মোড়ে রিলাক্স ফিজিওথেরাপি সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, একটি ঘরে ঘিঞ্জি পরিবেশে রোগীদের ফিজিওথেরাপি দিচ্ছেন নাছির উদ্দীন নামের এক যুবক। তিনি জানান, তার ফিজিওথেরাপির ওপর কোনো ডিগ্রি নেই। তিনি ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী হেলথ টেকনোলজিস্ট বা টেকনেশিয়ান। রোগী প্রতি সেবা দিতে তিনি ২০০ টাকা নেন। যেখান থেকে ১০০ টাকা দিতে হয় অর্থপেডিক্স ডাক্তারদের।

একই অবস্থা শহরের স্টেশন বাজার এলাকার নাটোর ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা ও ফিজিওথেরাপি দিচ্ছেন আব্বাস আলী। তিনি ফিজিওথেরাপি টেকনিশিয়ান হলেও বিশাল সাইনবোর্ডে নিজেকে ফিজিওথেরাপিস্ট আব্বাস আলী বলে পরিচয় দিয়েছেন। এখানে রোগী প্রতি নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানে গেলে আব্বাস আলীকে না পেয়ে কথা হয় আকাশ নামে অন্য একজনের সাথে।

তিনি জানান, আব্বাস আলী বাইরে থাকায় তিনিই এই প্রতিষ্ঠানে ফিজিওথেরাপি দিচ্ছেন। তবে তিনি কোনো ফিজিওথেরাপিস্ট নন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক এক ফিজিওথেরাপিস্ট জানান, এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে আসেন গ্রামের রোগীরা। চিকিৎসা নিতে এসে অপচিকিৎসার শিকার হন। তবে প্রতিষ্ঠানের পেটোয়া ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না। স্থানীয় বখাটে ও চাঁদাবাজদের সাথে তাদের মাসিক চুক্তি থাকে। কোনো রোগী অপচিকিৎসার অভিযোগ করতে চাইলে তাকে দমিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে তারা। তাছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনের অভিযান না চালানোয় তারা অবাধে কার্যক্রম চালাচ্ছে। পাশাপাশি দালালের মাধ্যমে স্বল্প সময় ও অল্প টাকায় রোগীদের সুস্থ করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করা হয়।

কমফোর্ট ফিজিওথেরাপি সেন্টারের থেরাপিস্ট মিজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘নাটোরে ব্যাঙের ছাতার মতো ফিজিওথেরাপি সেন্টার গজিয়ে উঠেছে। তারা নিয়মিত রোগীদের সাথে প্রতারণা করছে। এসব ভুয়া ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠানের প্রতি প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।’

কেয়া ফিজিওথেরাপি সেন্টারের থেরাপিস্ট শিমুল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বিপিটি ডিগ্রিধারী থেরাপিস্টরাই নাটোরে কোণঠাঁসা। ভুয়াদের সংখ্যা এখানে এতো বেড়ে গেছে, যে কারা প্রকৃত থেরাপিস্ট সেটাই চেনা দায়।’

এ ব্যাপারে নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ভুয়া ফিজিওথেরাপি সেন্টার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;