ডিএনসি কর্মকর্তার একগুয়েমি, খেসারত দিলেন যাত্রী



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার বিমানবন্দর হয়ে নিয়মিত যাতায়েত করেন এক্সসিলেন্ট ওয়ার্ল্ড নামে একটি এনজিওর জেনারেল ম্যানেজার সুলতানা রাজিয়া শামীমা। বরাবরের মত সোমবার বেলা ১১টায় নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী সব চেকআপ পারও করেছেন।

হঠাৎ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) কক্সবাজারের ইন্সপেক্টর আব্দুল মালেক তালুকদারের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার কাছে মাদক রয়েছে বলে জানায়। এক পর্যায়ে টেনে-হিঁচড়ে তাকে খতিব আল-ফুয়াদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাদকের কথা বলে তার শরীরে দুইবার এক্স-রে করানো হয়। কিন্তু, কিছুই পাওয়া যায়নি। এক্সরে অবস্থায় তার ছবি তুলতে থাকেন ইন্সপেক্টর মালেক। এরপর সুলতানা রাজিয়া শামীমার কাছে কিছু পাওয়া না গেলে তাকে ছেড়ে দেন ইন্সপেক্টর মলেক। তবে ততক্ষণে তার নির্ধারিত ফ্লাইট ছেড়ে দিয়েছে।

সোমবার (২২ জুলাই) কক্সবাজার বিমানবন্দরের সব চেকিং পার হয়ে বোর্ডিং পাস পাওয়ার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) কক্সবাজারের কর্মকর্তাদের হাতে এমন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে সুলতানা রাজিয়াকে।

হয়রানির বিষয়ে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে তিনি বলেন, বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু চেকআপ করে বোর্ডিং পাসও নিয়েছি। হঠাৎ আব্দুল মালেক সাহেব এসে বলেন আপনার বিরুদ্ধে অবৈধ মালামাল বহনের সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে টেনে হিঁচড়ে টমটমে তুলে নিয়ে যান। আল-ফুয়াদ হসপিটালে নিয়ে গিয়ে এক্সরে করার সময় ছবি তুলতে থাকেন। যা আমার জন্য খুবই লজ্জাজনক।

সুলতানা রাজিয়া বলেন, তাদের এ হয়রানির কারণে আমাকে প্লেন মিস করতে হয়েছে। কিন্তু পরের প্লেনের যে খরচও তারা দেয়নি। উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে গেছেন। আমি এখন আতঙ্কে আছি আমার ছবিগুলো বিকৃত করে প্রকাশ করা হয় কিনা!

কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, চেকআপ শেষ হওয়ার পর শামীমা বোর্ডিং পাসও নিয়েছেন। আসলে বোর্ডিং পাস নিয়ে ফেললে তার দায়িত্ব আমাদের না, এটা নভোএয়ারের দায়িত্বে চলে যায়। কিন্তু কিভাবে তারা যাত্রীকে ডিএনসির কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন; বলতে পারি না। মূলত বোর্ডিং পাস নেওয়ার পর আর কিছু করার থাকে না।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। কিন্তু বোর্ডিং পাস নেওয়ার পর কিভাবে তাকে সংস্থার লোক নিয়ে যেতে পেরেছে তা আমি জানি না। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডিং পাস নেওয়ার পর কোন যাত্রীকে ছেড়ে ফ্লাইট যেতে পারে না। কিন্তু নভোএয়ার কর্তৃপক্ষ এটা কী করল বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য অধিদফতরের ইন্সপেক্টর আব্দুল মালেক তালুকদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গেলে মাঝে-মধ্যে ভুল হয়। আমরা তাকে সসম্মানে আবার পৌঁছে দিয়েছি।

এক্সরেতে ছবি তোলার প্রসঙ্গে তুললে তিনি কোন উত্তর দেননি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;