দুই বছর ধরে ডাক্তার আসেন না, সেবা বঞ্চিত সাধারণ মানুষ



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ১নং ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ১নং ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও দক্ষ জনবল ও কর্মকর্তাদের দ্বায়িত্বহীনতার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তার সুফল পাচ্ছে না। এর বাস্তব চিত্রের দেখা মিলেছে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ১নং ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্য বিভাগের একজন মেডিকেল অফিসার, একজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন এমএলএসএস এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের একজন এফডব্লিউভি ও একজন আয়ার দায়িত্ব পালন করার কথা।

অথচ লাখাই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাগজে কলমে কর্মরত রয়েছেন মাত্র একজন মেডিকেল অফিসার। তাও গত দুই বছর যাবৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি। ফলে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন ওই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, লাখাই উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন ডা. নাহিদ চৌধুরী সুমন। কিন্তু ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি। তার স্থলে সপ্তাহে দুইদিন রোগী দেখেন লাখাই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার অমল চন্দ্র মোদক।

তিনি জানান, বামৈ ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তিনি। বর্তমানে উপজেলার দুইটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক তিনি। যার কারণে লাখাই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সপ্তাহে দুই দিনের বেশি রোগী দেখা সম্ভব হয় না।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সপ্তাহে ১-২ দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খোলা হয়। তাছাড়া যিনি সপ্তাহে ১-২ দিন রোগী দেখেন তিনিও ১-২ ঘণ্টা বসে চলে যান। যার ফলে তিনি কখন আসছেন বা চলে যান তা তারা (স্থানীয়রা) জানেন না। আবার সেখান থেকে ঠিকমতো ওষুধও পাওয়া যায় না।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘ঠিকমতো ওষুধ বা জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া থেকে গত দুই বছর ধরে আমরা বঞ্চিত রয়েছি। সপ্তাহে ১-২ দিন এখানে একজন ডাক্তার আসেন। কিন্তু ১-২ ঘণ্টা বসে চলে যান।’

উৎপল দাস নামে একজন জানান, এখানে একটি সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র আছে তা অনেকেই জানেন না। অনেকে মনে করেন এটা কোনো পরিত্যক্ত ভবন।

তিনি আরও জানান, বর্ষা মৌসুমে নানা রকম পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এ এলাকার লোকজন। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা তারা পাচ্ছে না। আবার অনেকের টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই।

লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মাসুম জানান, লাখাই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লোকবলের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। সরকারিভাবে কম জনবল নিয়োগসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে এমনটা হচ্ছে।

ডা. নাহিদ চৌধুরী সুমনের কর্মস্থলে না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মস্থলে আসেন না তিনি। বিষয়টি আমাদের জানা আছে। এ ব্যাপারে তাকে একাধিক কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। শিগগিরই কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

তিনি আরও জানান, অচিরেই এই পদটি শূন্য ঘোষণা করে নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে ডা. নাহিদ চৌধুরী সুমনের সঙ্গে মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;