ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ: বিয়ে হলো ওদের, স্বপ্ন পুরণ হলো না



সোহেল রানা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, সিরাজগঞ্জ
ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বর রাজন শেখ ও কনে সুমাইয়া

ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বর রাজন শেখ ও কনে সুমাইয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

একমাত্র ছেলেকে বিয়ে দিয়ে নববধু ঘরে আনবেন। বছর ঘুরে নাতি-নাতনির মুখ দেখবেন। বাকী জীবন হেসে খেলে কাটিয়ে দিবেন। এমন স্বপ্ন নিয়েই সিরাজগঞ্জ শহরের কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন ও ঝর্না বেগম নিজেদের পছন্দ করা মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দেন। কিন্তু, বিয়ে পড়ানোর এক ঘণ্টা পরেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ছেলে আর নববধুকে লাশ হতে হলো।

সোমবার উল্লাপাড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। এই মৃত্যুর মিছিলে বর রাজন শেখ ও কনে সুমাইয়াও ছিলেন। ছেলে ও নববধুকে হারিয়ে শোকে মূহ্যমান আলতাফ হোসেন ও ঝর্না বেগম দম্পতি। শুধু ছেলে আর নববধু নয়, এই দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তাদের আরও ৯ স্বজনের।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নিহত রাজনদের বাড়িতে গেলে কান্না আর আহাজারি শব্দ কানে আসে। একদিন আগে যে বাড়ি গান বাজনার শব্দ আর হুই হুল্লোড়ে মেতে ছিলো আজ সেই বাড়ি শোকে নিস্তব্ধ। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে রাজন শেখের বাবা-মা পাগল প্রায়। কিছুতেই এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তারা। থেকে থেকে ডুকরে কেঁদে উঠছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563290690820.jpg

শোকের বাড়িটি ঘিরে প্রতিবেশি ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে আসা শত শত মানুষের ভিড়। কারো মুখে শান্তনা দেয়ার ভাষা নেই। সবার চোখের কোনে চিকচিক করছে জল।

প্রতিবেশীরা জানান, আলতাফ হোসেন একজন গরুর ব্যবসায়ী। তার ছেলে রাজন টুইস্টিং মিলের শ্রমিক। বড় মেয়ে স্বর্ণা খাতুনের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়ে রুপা লেখাপড়া করছে। বাপ-বেটা মিলে সংসারটা ভালোই চালাচ্ছিলেন। এর মধ্যেই ঘটে গেলো এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

নিহত রাজনের বোন রুপা জানান, এক সপ্তাহ আগে উল্লাপাড়া পৌর শহরের এনায়েতপুর গুচ্ছ গ্রামের মৃত গফুর শেখের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের (২১) সঙ্গে ভাইয়ের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। ভাই ও আত্মীয়-স্বজন মিলে দুটো মাইক্রোবাস নিয়ে কনের বাড়িতে যাই। বর-কনে কবুল পাঠ করে একে অপরকে জীবনসঙ্গী (স্বামী-স্ত্রী) হিসেবে গ্রহণ করেন। পৌনে ৭ টার দিকে বাড়িতে ফোন দিয়ে বলে দেয়া হয় নববধু নিয়ে রওনা দেয়া হয়েছে। আমরা রাজন ও সুমাইয়ার জন্য বাসরঘর সাজিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু, ভাই-ভাবির সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না…।

বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রুপা। আর কোনো কথা বলতে পারলেন না ভাই হারানো এ বোন। ভাই-ভাবি ও ৯ জন স্বজন হারিয়ে তাদের কাছে গোটা পৃথিবী যেন ভেঙে পড়েছে। কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না এ দুর্ঘটনা।  

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563290727539.jpg

এদিকে মঙ্গলবার সকালে নিহতের স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় সকালে জিআরপি পুলিশ মরদেহগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। সকাল ১১টার থেকে দুপুর (বাদযোহর) পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, রামগাঁতি, কালিয়া হরিপুর, সয়াধানগড়া, দিয়ার ধানগড়া ঈদগাহ ও এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের ঘাটিনা ঈদগাহ মাঠ ও রায়গঞ্জের উপজেলার কৃষ্ণদিয়ার গ্রামে পৃথকপৃথকভাবে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

এ দুর্ঘটনায় আরও যারা প্রাণ হারান, রাজনের মামা শামীম হোসেনের একমাত্র ছেলে বায়েজিদ ওরফে আলিফ (৯), রাজনের দুসম্পর্কের দাদা কাজিপুরা গ্রামের ভাষান শেখ (৫০), তার ফুপুর শ্বশুর সদর উপজেলার রামগাঁতী গ্রামের আব্দুস সামাদ (৪৫), সামাদের ছেলে শফিউল ওরফে শাকিল (১৯), ধর্ম বোনের স্বামী সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার দিয়ার ধানগড়া মহল্লার আলতাফ হোসেনের ছেলে শরিফ হোসেন (৩২), চাচাতো ভগ্নিপতি রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণদিয়ার গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে খোকন (২৪)।

এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন রাজনের আপন ছোট বোন স্বর্ণা খাতুনের স্বামী সুমন (৩০)। নিহত বাকিরা হলেন, মাইক্রোবাস চালক নুর আলম স্বাধীন (৫৫) ও তার সহকারি আহাদ আলী (৪৫)।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;